০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীপুরে অপবাদ সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা।

  • Update Time : ০৫:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০
  • ৪৫ Time View

শ্রীপুরে অপবাদ সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা।

মোঃ এনামুল হক স্টাফ রিপোর্টার

গাজীপুরের শ্রীপুরে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর সাথে মুঠোফোনে অশ্লীল কথা বার্তার জেরে মাতব্বরদের ধার্য করা ত্রিশ হাজার টাকা দিতে না পেরে হাবিব রানা নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। এসময় তাকে মারধর ও বিভিন্ন ভাবে অপমান, অপদস্ত করে গ্রাম্য মাতব্বরা। হাবিব রানা (২২) বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের আবুল কালাম শেখের ছেলে। সে পৌর এলাকার দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামের মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় হ্যামস্ গার্মেন্টস্ নামক একটি কারখানায় চাকুরী করতো। শিশুটির বাবা জানান, পরিবাবরসহ মনির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় ভাবে দিনমজুরের কাজ করেন তিনি। পারিবারিক কারণে তিনি তার স্ত্রীর মুঠোফোনে অটো রেকডিং চালু রাখতেন। তাদের পাশের কক্ষেই ভাড়া থাকতেন হাবিব রানা। মাঝে মধ্যে তার মেয়ের জন্য মজাদার খাবার কিনে আনতো হাবিব। শনিবার রাতে তিনি কাজ থেকে ফিরে ফোনের অটো রেকর্ডিংয়ে হাবিব ও তার মেয়ের বিভিন্ন আপত্তিকর কথা শুনতে পান। এসময় তিনি হাবিবকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ ও মারধর করেন। পরে বিষয়টি বাড়ির মালিকসহ স্থানীয়দের জানান। নিহতের বড় ভাই মো: মফিজুর রহমান বলেন, আমি নারায়নগঞ্জের একটি গার্মেন্টস্ কারখানায় কাজ করি। রাত ৯টার দিকে বাড়ির মালিক মনির হোসেন বিষয়টি আমাকে জানান। দ্রত ঘটনাটি মীমাংসা না করলে তাকে থানা পুলিশের কাছে দেয়া হবে বলে জানান, ঘটনা শুনে রাতেই আমি নারায়নগঞ্জ থেকে চলে আসি। পরে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোজাম্মেল, জহির, বাড়ির মালিক মনির, নবী হোসেন ও চান মিয়া ঘটনার মীমাংসা করে দেয়ার ত্রিশ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি মাঝ রাতে টাকার কোন ব্যবস্থা করতে পারেননি। সকালে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পাঠানো টাকা তুলতে বাজারে যান। পরে বাজারে থাকাকালীন তাকে জানানো হয় তার ভাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন তিনি।

Tag :
জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

শ্রীপুরে অপবাদ সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা।

Update Time : ০৫:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০

শ্রীপুরে অপবাদ সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা।

মোঃ এনামুল হক স্টাফ রিপোর্টার

গাজীপুরের শ্রীপুরে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর সাথে মুঠোফোনে অশ্লীল কথা বার্তার জেরে মাতব্বরদের ধার্য করা ত্রিশ হাজার টাকা দিতে না পেরে হাবিব রানা নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। এসময় তাকে মারধর ও বিভিন্ন ভাবে অপমান, অপদস্ত করে গ্রাম্য মাতব্বরা। হাবিব রানা (২২) বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের আবুল কালাম শেখের ছেলে। সে পৌর এলাকার দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামের মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় হ্যামস্ গার্মেন্টস্ নামক একটি কারখানায় চাকুরী করতো। শিশুটির বাবা জানান, পরিবাবরসহ মনির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় ভাবে দিনমজুরের কাজ করেন তিনি। পারিবারিক কারণে তিনি তার স্ত্রীর মুঠোফোনে অটো রেকডিং চালু রাখতেন। তাদের পাশের কক্ষেই ভাড়া থাকতেন হাবিব রানা। মাঝে মধ্যে তার মেয়ের জন্য মজাদার খাবার কিনে আনতো হাবিব। শনিবার রাতে তিনি কাজ থেকে ফিরে ফোনের অটো রেকর্ডিংয়ে হাবিব ও তার মেয়ের বিভিন্ন আপত্তিকর কথা শুনতে পান। এসময় তিনি হাবিবকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ ও মারধর করেন। পরে বিষয়টি বাড়ির মালিকসহ স্থানীয়দের জানান। নিহতের বড় ভাই মো: মফিজুর রহমান বলেন, আমি নারায়নগঞ্জের একটি গার্মেন্টস্ কারখানায় কাজ করি। রাত ৯টার দিকে বাড়ির মালিক মনির হোসেন বিষয়টি আমাকে জানান। দ্রত ঘটনাটি মীমাংসা না করলে তাকে থানা পুলিশের কাছে দেয়া হবে বলে জানান, ঘটনা শুনে রাতেই আমি নারায়নগঞ্জ থেকে চলে আসি। পরে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোজাম্মেল, জহির, বাড়ির মালিক মনির, নবী হোসেন ও চান মিয়া ঘটনার মীমাংসা করে দেয়ার ত্রিশ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি মাঝ রাতে টাকার কোন ব্যবস্থা করতে পারেননি। সকালে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পাঠানো টাকা তুলতে বাজারে যান। পরে বাজারে থাকাকালীন তাকে জানানো হয় তার ভাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন তিনি।