মিল্টন সমাদ্দার,
বদের হদ্দর,
ভয়ংকর রূপ তার,
মৃত মানুষের লাশ,
তার করে সর্বনাশ।
সে নাকি মানবতার নিশানা বরদার!
আসলে সে চোরদের সর্দার।
খুলিয়াছে সে মানব সেবার দরবার,
চলে তথায় যত সব অন্যায় অনাচার,
সেবা প্রার্থীদের সাথে করে নির্মম ব্যবহার,
তাদের কিডনি কেটে করে পাচার।
আপন পিতাকে যে করে মারধর,
ছিন্ন মানুষকে সে কিভাবে করতে পারে আদর?
সে নাকি মানবতার ফেরিওয়ালা!
দানের অর্থ লুট করে ভরে তার গোলা।
ঝোপ বুঝে সে মারে কোপ,
ছিন্ন মানুষকে নিঃশেষ করায় নেই তার কোন শোক।
সমাদ্দার আচরণে সে একজন চামার,
আগন্তুকদের সাথে তার মারমুখী ব্যবহার,
কখনো সে তাদেরকে করে প্রহার,
তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে বারবার।
তার বড্ড তিরিক্ষি মেজাজ,
অকারণে মানুষকে করে গালিগালাজ।
তার আশ্রয় শিবিরে প্রায় সহস্র মানুষ মরিয়াছে,
নাকি মারিয়াছে?
সে সব মানুষ কে সে কোথায় করিয়াছে দাফন?
মেলে নাই তার অনুসন্ধান।
পাওয়া গেছে শুধু শ‘ খানেক মানুষের কবর,
বাকি আট শ‘ মানুষের কবরের পাওয়া যায়নি খবর।
আট শত লাশ বেহদিস,
দিচ্ছে না সে তার সঠিক হদিস।
হেথায় তার প্রতি সন্দেহ ঘনায়মান,
হয়তো সে আটশো লাশের করিয়ছে অন্তর্ধান।
প্রশ্ন আসিয়াছে কেন সে লাশ করে গোপন?
হয়তো সে এ সব লাশের কিডনী করে কর্তন।
প্রকাশ্যে আসিলে সে সব লাশ,
কিডনী কর্তনের বিষয়টি পাইবে প্রকাশ।
অনলাইনে প্রকাশিতএ সব নিউজ,
তাকে নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে খবর হিউজ।
সব কিছু জানা যাবে তদন্তের ‘পর,
তদন্ত যেন হয় দ্রুততর।
সাধু সাবধান!
অসাধু লোকের আনাগোনা বাড়িয়াছে সব খান,
সাধুর বেশে দরবেশ সেজে বারোটা বাজিয়ে,
সর্বনাশ করে চম্পট দেয় লেজ গুটিয়ে।
মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম
বিএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক)