মোঃ আব্দুল্লাহ হক:চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (A+) অর্জনকারী ২৫০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা।মঙ্গলবার (১২ আগস্ট ২০২৫) সকাল ৯টায় চেয়ার ভবন (আব্দুল্লাহ কমিউনিটি সেন্টার), বাস টার্মিনালে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সাগর আহমেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবির এর কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক মুফখরুল ইসলাম এবং সাবেক কেন্দ্রীয় পরিবেশনা ও গবেষণা সম্পাদক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ রাসেল। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা আমির এ্যাড: রুহুল আমিন বলেন,“আজকের এই মেধাবী শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদেরকে শুধু ভালো ফলাফলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আদর্শ, নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেমে গড়ে উঠতে হবে। জীবনের প্রতিটি ধাপে সততা ও সত্যনিষ্ঠা বজায় রেখে জ্ঞানার্জন অব্যাহত রাখতে হবে। বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কেবল বইয়ের জ্ঞানই যথেষ্ট নয়, বরং প্রযুক্তি, সৃজনশীলতা ও মানবিক গুণাবলী একসাথে অর্জন করতে হবে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির একটি আদর্শিক ও সুশৃঙ্খল সংগঠন, যা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও নৈতিকভাবে বিকশিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আজকের এই মেধাবীরা আগামী দিনের নেতৃত্বে থাকবে, তাই তাদের মনোযোগী হয়ে জ্ঞানার্জনে মনোযোগ দিতে হবে। জ্ঞান, নৈতিকতা ও আদর্শের সমন্বয়ে গড়ে তুলতে হবে নিজেদের, যাতে তারা জাতি ও দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে পারে।”
অনুষ্ঠানে ২৫০ জন এ+ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা উপহার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া মনোমুগ্ধকর ইসলামী সংগীত পরিবেশনায় অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়।এছাড়া অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আমিরুল ইসলাম।বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক বায়েজিদ বোস্তামী সহ শিক্ষার্থী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।