চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার রামদিয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত মাসেম জোয়ার্দ্দারকে মামলা তুলে না নেওয়াতে প্রাননাশের চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাননাশের চেষ্টার কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার ।
ভুক্তভোগী মারফত জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার রামদিয়া গ্রামের মৃত মসলেম এর ছেলে দিনমজুর মাসেম মাঠের কাজ শেষ করে গত ১১আগষ্ট বেলা ১২ টার সময় রামদিয়া নসিমন ষ্ট্যার্ডের নিকট পৌছালে তার উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের আওলাদ হোসেন টাকু, গোলাম সরোয়ার মিঠু, গোলাম, রসুল,
২লক্ষ টাকা দিয়ে ৭থেকে ৮ জন সন্ত্রাসী একটি গ্রুপকে হত্যার উদ্দেশ্য ভাড়া করে। পুলিশ প্রশাসন কর্মবিরতিতে থাকায় এই সুযোগে সন্ত্রাসী একটি দল নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় তার উপর।হামলার একপর্যায়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মাসেম জ্ঞান হারালে সন্ত্রাসীরা তাকে নিয়ে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে।স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য উদ্ধার করার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের উপর চড়াও হয় সন্ত্রাসীদল। পরবর্তীতে ২ ঘন্টা পর সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেও হামলার পরিকল্পনার ছক কসলে সেখান থেকে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে টমা সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণ করে। পরে আনসার আলী চুয়াডাঙ্গা সার্কেল এসপি আনিসুজ্জামান লালনের সহোযোগিতায় বাদী হয়ে ১৬/০৮/২৪ তারিখে আলমডাঙ্গা থানায় আহম্মদ, দুর্জয়, হালিম, সেলিম, আওলাদ হোসেন টাকু, গোলাম সরোয়ার মিঠু, গোলাম, রসুল, গোলাপকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পরে নিজ বাড়িতে আসলে সেখানে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আসামিপক্ষ প্রাণনাশের চেষ্টা চালায় । বর্তমানে দুই পা ও এক হাত ভাঙ্গা এবং মাথায় সেলায়রত অবস্থায় বিচানায় কাতরাচ্ছেন। এখন গোটা পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। উল্লেখ্য যে গত ৫ তারিখের পর থেকে পুলিশ প্রশাসন কর্ম বিরতিতে গেলে এই সুযোগে তাকে হত্যার পরিকল্পনা সাজাই প্রতিপক্ষরা।
জানা যায় দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি প্রবাসী মোঃ ফরিদ আলীর সাথে জমি নিয়ে মামলা চলছিলো প্রতিপক্ষ গ্রামের আওলাদ হোসেন টাকু, গোলাম সরোয়ার মিঠু, গোলাম রসুল গোলাপের পরিবারের সাথে। ফরিদ আলী বিদেশ থাকায় তার জমি বর্গা করতেন চাচাতো ভাই মাসেম। এই রাগে তার উপর এমন আক্রমণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।