১১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো জুবায়ের

কত বিশাল একটা মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত! এ যে কতবড় আত্মত্যাগ!! অন্য কোথাও হলে তাকে জাতীয় বীরের স্বীকৃতি দিতো। রাস্ট্র তার পরিবারকে পুরস্কৃত করতো, কিন্তু এখানে কিছুই হয় না। মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া এই খবরটাকে পাশ কাটিয়েই গেল। গোপালগঞ্জের ছোট্ট কিশোর অবৈধভাবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বেস্টনী পেরিয়ে প্লেনে উঠলো এমন নেগেটিভ খবর বিশাল কাভারেজ পায়। কিন্তু জুবায়ের পেল না।

ছবির ছেলেটির নাম জুবায়ের। গাইবান্ধা আদর্শ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। তার কলেজ এর সামনের রেললাইনে সে তাকিয়ে দেখে এক কিশোরী মা তার শিশু সন্তানকে কোলে চলন্ত ট্রেনের সামনে দাড়িয়ে আছে।মুহুর্তে তার ভালোবাসায় ভরা হৃদয়ে কি এক বোধ সঞ্চারিত হলো। এদের বাঁচতে হবে, বাঁচাতেই হবে। তিলবিলম্ব না করে সে চলন্ত ট্রেনের সামনে দাড়ানো মাকে সজোরে ধাক্কা দিলো। মাকে বাঁচাতে পারলোনা। কিন্তু শিশুটি ছিটকে পড়লো রেললাইন থেকে দুরে। মায়ের সাথে সাথে জুবায়েরের দেহটা লৌহদানব ট্রেনের চাকায় তিন টুকরো হয়ে গেলো। তার কলেজ ইউনিফর্মের শাদা শার্টটা রক্তে লাল হয়ে গেলো। আর মানুষের জন্য, সব সৃস্টির জন্য ভালোবাসায় ভরা তার বুকটা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে রইল রেললাইনের উপরে।তোর এ আত্মত্যাগে আমরা গর্বিত। তুই আমাদের দেশের নস্ট খবরে অনেক দিন পড়ে এক আকাশ ভরা সুবাতাস। তুই ওপারেও ভালো থাকবি। তোমাকে জানাই লাখো সালাম 

 

লেখক: প্রভাষক মুফতি বনি ইয়ামিন

চেয়ারম্যান ও প্রকাশক: শাপলা টিভি বাংলা

Tag :
জনপ্রিয়

ভালো মানুষ  —- রফিকুল ইসলাম 

মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো জুবায়ের

Update Time : ১১:০৬:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

কত বিশাল একটা মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত! এ যে কতবড় আত্মত্যাগ!! অন্য কোথাও হলে তাকে জাতীয় বীরের স্বীকৃতি দিতো। রাস্ট্র তার পরিবারকে পুরস্কৃত করতো, কিন্তু এখানে কিছুই হয় না। মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া এই খবরটাকে পাশ কাটিয়েই গেল। গোপালগঞ্জের ছোট্ট কিশোর অবৈধভাবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বেস্টনী পেরিয়ে প্লেনে উঠলো এমন নেগেটিভ খবর বিশাল কাভারেজ পায়। কিন্তু জুবায়ের পেল না।

ছবির ছেলেটির নাম জুবায়ের। গাইবান্ধা আদর্শ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। তার কলেজ এর সামনের রেললাইনে সে তাকিয়ে দেখে এক কিশোরী মা তার শিশু সন্তানকে কোলে চলন্ত ট্রেনের সামনে দাড়িয়ে আছে।মুহুর্তে তার ভালোবাসায় ভরা হৃদয়ে কি এক বোধ সঞ্চারিত হলো। এদের বাঁচতে হবে, বাঁচাতেই হবে। তিলবিলম্ব না করে সে চলন্ত ট্রেনের সামনে দাড়ানো মাকে সজোরে ধাক্কা দিলো। মাকে বাঁচাতে পারলোনা। কিন্তু শিশুটি ছিটকে পড়লো রেললাইন থেকে দুরে। মায়ের সাথে সাথে জুবায়েরের দেহটা লৌহদানব ট্রেনের চাকায় তিন টুকরো হয়ে গেলো। তার কলেজ ইউনিফর্মের শাদা শার্টটা রক্তে লাল হয়ে গেলো। আর মানুষের জন্য, সব সৃস্টির জন্য ভালোবাসায় ভরা তার বুকটা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে রইল রেললাইনের উপরে।তোর এ আত্মত্যাগে আমরা গর্বিত। তুই আমাদের দেশের নস্ট খবরে অনেক দিন পড়ে এক আকাশ ভরা সুবাতাস। তুই ওপারেও ভালো থাকবি। তোমাকে জানাই লাখো সালাম 

 

লেখক: প্রভাষক মুফতি বনি ইয়ামিন

চেয়ারম্যান ও প্রকাশক: শাপলা টিভি বাংলা