০৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা সদর ওসির বিদায় নিয়ে উদ্যোক্তা তাওহিদ হৃদয়ের আবেগময় স্ট্যাটাস

  • Update Time : ১০:০০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৩৬১ Time View

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান কে আবেকময় সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাওহীদ গ্রুপের চেয়ারম্যান উদ্যোক্তা তাওহিদ হৃদয়। যা শাপলা টিভির পাঠকদের হুবহুব তুলে ধরা হলো

 

আসসালামু আলাইকুম,

এই যে, আমি যে মানুষ টাকে নিয়ে লিখতে শুরু করেছি তিনি হলেন আমার মাহাবুব চাচা। 

তিনি পেশায় “বাংলাদেশ পুলিশ এর একজন অফিসার ইনচার্জ” 

কিন্তু আমার কাছে তিনি হলেন আমার মাহবুব চাচা। মানুষটির সাথে আমার পরিচয় হয় (০৫ নভেম্বর ২০২২ সালে)। এখন আপনারা বলতে পারেন কেন আমি ওনাকে নিয়ে লিখতে বসেছি। তার কারণ হচ্ছে মানুষটি আমাকে যখন কারোর সাথে পরিচয় করে দিতেন তিনি তাকে পরিচয় এর শেষে একটা কথা বলতেন যেটা আমার খুব ভালো মনে আছে। 

সেটা হল, তাওহীদ এর সাথে আমার রক্তের কোন সম্পর্ক নাহ তবে তাওহীদ আমার খুব স্নেহের। 

একই কথা আমিও আজ বলছি সেটা হল, 

মাহবুব চাচা এর সাথে আমার রক্তের কোন সম্পর্ক নাহ তবে মাহবুব চাচা আমার খুব সম্মানের। 

এই কারনেই আমি আজ তার সম্পর্কে লিখতে বসেছি।   

মাহবুব চাচার পোস্টিং ছিল চুয়াডাঙ্গা সদর থানায়। আপানরা সবাই জানেন আমি দেশের বাহিরে থাকি এবং খুব ছোট থেকে। বাংলাদেশ এ আসার পর একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে তার সাথেই আমার প্রথম পরিচয় এই ১ বছরের পরিচয়ে আমি এটা (চ্যালেঞ্জ করতে/ বলতে) পারি যে, আপনি বাংলাদেশ পুলিশ এর একজন কর্মকর্তা এর কাছে যাবেন এবং তারপর আপনি বাংলাদেশ পুলিশ এর মাহবুব এর কাছে যাবেন। 

পার্থক্য টা আপনি নিজেই বলতে পারবেন

“যে কেন আমি আজ আবেগি হয়ে লিখতে বসেছি”

আজ (০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ সাল শনিবার) চাচা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা থেকে স্থানান্তর হয়ে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় পোস্টিং হয়ে যাচ্ছেন। আমার কাছে কেন জানি মনে হচ্ছে আমি যেন আমার একজন অভিভাবক কে হারিয়ে ফেলছি। যদিও ঝিনাইদহ আমারই জেলা। তারপরও আমি দেশে যতটুকু সময় থাকি চুয়াডাঙ্গা তেই থাকি। এবং কারণে অকারণে আমি থানাই যায় এবং চাচার কাছে বসে থাকি মনের কথা গুলা শেয়ার করি। চাচা আমাকে সমস্যা থেকে পরিত্রান এর যেকোন একটা পথ বের করে দিত। এবং তিনি আমাকে বাস্তবতা সম্পর্কে অনেক কথা বলতেন তার ভিতর একটা কথা হল তিনি আমাকে বলতেন বাবা শোন তুমি আমার সাথে চ্যালেঞ্জ করবা সেটা কিভাবে জানো? সেটা হল, 

আমি তোমাকে যদি রাগ করে কিছু বলি সেটা তুমি চ্যলেঞ্জ হিসাবে নিবা এবং আমাকে ভুল প্রমান করবা তোমার সফলতা আমাকে অনেক আনন্দ দেয়।

মাহবুব চাচা কে নিয়ে আমি আর কিছু লিখছি নাহ যতটুকু লিখেছি সেটা হল ১০০% এর .১% এখন ও ৯৯.৯% বাকি আছে। কেউ একজন আমাকে ৩০ দিন সকাল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত সময় দিবে আর আমি মাহবুব চাচা সম্পর্কে লিখতে শুরু করবো মনে হয় আমি ৫% লিখতে পারবো। 

শূন্য থেকে আমাকে আজ এই পর্যন্ত আসার জন্য মানসিক ভাবে এই মানুষটি আমাকে যে কিভাবে সাহায্য করেছেন তা আমি কোন ভাবেই প্রকাশ করতে পারব নাহ। এবং তার ঋণ আমি পরিশোধ করতে পারবো নাহ।

কেউ যদি তার সম্পর্কে আমাকে বলেন আমি বলতে পারি নাহ যে “মাহবুব চাচার স্থান আমার বাবার উপরে দেব নাহ বাবার পরেই তার স্থান দেব”

মানুষের অন্তরের অন্ত:স্হলে জায়গা করে নেবার ক্ষমতা সবার থাকেনা । মহান আল্লাহ সেই সক্ষমতা আপনাকে দিয়েছেন। যেখানেই যাবেন আপনি আপনার কর্মদক্ষতায় মানুষের মনে জায়গা করে নেবেন এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস । স্নেহের ভাতিজা হিসেবে সবসময় আমাকে মূল্যায়িত করেছেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমার জন্য দোয়া করবেন । 

চুয়াডাঙ্গা সদর এ থাকা অবস্থায় আমার আচরণে যদি কখন ও কষ্ট পেয়ে থাকেন আমাকে মাফ করে দেবেন। 

ধন্যবাদ চুয়াডাঙ্গা সদর থানা- স্বাগতম মহেশপুর থানা। মহেশপুরে আপনার সাথে আমার নতুন স্মৃতি তৈরি হবে 

 

Tag :

মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গা সদর ওসির বিদায় নিয়ে উদ্যোক্তা তাওহিদ হৃদয়ের আবেগময় স্ট্যাটাস

Update Time : ১০:০০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান কে আবেকময় সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাওহীদ গ্রুপের চেয়ারম্যান উদ্যোক্তা তাওহিদ হৃদয়। যা শাপলা টিভির পাঠকদের হুবহুব তুলে ধরা হলো

 

আসসালামু আলাইকুম,

এই যে, আমি যে মানুষ টাকে নিয়ে লিখতে শুরু করেছি তিনি হলেন আমার মাহাবুব চাচা। 

তিনি পেশায় “বাংলাদেশ পুলিশ এর একজন অফিসার ইনচার্জ” 

কিন্তু আমার কাছে তিনি হলেন আমার মাহবুব চাচা। মানুষটির সাথে আমার পরিচয় হয় (০৫ নভেম্বর ২০২২ সালে)। এখন আপনারা বলতে পারেন কেন আমি ওনাকে নিয়ে লিখতে বসেছি। তার কারণ হচ্ছে মানুষটি আমাকে যখন কারোর সাথে পরিচয় করে দিতেন তিনি তাকে পরিচয় এর শেষে একটা কথা বলতেন যেটা আমার খুব ভালো মনে আছে। 

সেটা হল, তাওহীদ এর সাথে আমার রক্তের কোন সম্পর্ক নাহ তবে তাওহীদ আমার খুব স্নেহের। 

একই কথা আমিও আজ বলছি সেটা হল, 

মাহবুব চাচা এর সাথে আমার রক্তের কোন সম্পর্ক নাহ তবে মাহবুব চাচা আমার খুব সম্মানের। 

এই কারনেই আমি আজ তার সম্পর্কে লিখতে বসেছি।   

মাহবুব চাচার পোস্টিং ছিল চুয়াডাঙ্গা সদর থানায়। আপানরা সবাই জানেন আমি দেশের বাহিরে থাকি এবং খুব ছোট থেকে। বাংলাদেশ এ আসার পর একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে তার সাথেই আমার প্রথম পরিচয় এই ১ বছরের পরিচয়ে আমি এটা (চ্যালেঞ্জ করতে/ বলতে) পারি যে, আপনি বাংলাদেশ পুলিশ এর একজন কর্মকর্তা এর কাছে যাবেন এবং তারপর আপনি বাংলাদেশ পুলিশ এর মাহবুব এর কাছে যাবেন। 

পার্থক্য টা আপনি নিজেই বলতে পারবেন

“যে কেন আমি আজ আবেগি হয়ে লিখতে বসেছি”

আজ (০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ সাল শনিবার) চাচা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা থেকে স্থানান্তর হয়ে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় পোস্টিং হয়ে যাচ্ছেন। আমার কাছে কেন জানি মনে হচ্ছে আমি যেন আমার একজন অভিভাবক কে হারিয়ে ফেলছি। যদিও ঝিনাইদহ আমারই জেলা। তারপরও আমি দেশে যতটুকু সময় থাকি চুয়াডাঙ্গা তেই থাকি। এবং কারণে অকারণে আমি থানাই যায় এবং চাচার কাছে বসে থাকি মনের কথা গুলা শেয়ার করি। চাচা আমাকে সমস্যা থেকে পরিত্রান এর যেকোন একটা পথ বের করে দিত। এবং তিনি আমাকে বাস্তবতা সম্পর্কে অনেক কথা বলতেন তার ভিতর একটা কথা হল তিনি আমাকে বলতেন বাবা শোন তুমি আমার সাথে চ্যালেঞ্জ করবা সেটা কিভাবে জানো? সেটা হল, 

আমি তোমাকে যদি রাগ করে কিছু বলি সেটা তুমি চ্যলেঞ্জ হিসাবে নিবা এবং আমাকে ভুল প্রমান করবা তোমার সফলতা আমাকে অনেক আনন্দ দেয়।

মাহবুব চাচা কে নিয়ে আমি আর কিছু লিখছি নাহ যতটুকু লিখেছি সেটা হল ১০০% এর .১% এখন ও ৯৯.৯% বাকি আছে। কেউ একজন আমাকে ৩০ দিন সকাল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত সময় দিবে আর আমি মাহবুব চাচা সম্পর্কে লিখতে শুরু করবো মনে হয় আমি ৫% লিখতে পারবো। 

শূন্য থেকে আমাকে আজ এই পর্যন্ত আসার জন্য মানসিক ভাবে এই মানুষটি আমাকে যে কিভাবে সাহায্য করেছেন তা আমি কোন ভাবেই প্রকাশ করতে পারব নাহ। এবং তার ঋণ আমি পরিশোধ করতে পারবো নাহ।

কেউ যদি তার সম্পর্কে আমাকে বলেন আমি বলতে পারি নাহ যে “মাহবুব চাচার স্থান আমার বাবার উপরে দেব নাহ বাবার পরেই তার স্থান দেব”

মানুষের অন্তরের অন্ত:স্হলে জায়গা করে নেবার ক্ষমতা সবার থাকেনা । মহান আল্লাহ সেই সক্ষমতা আপনাকে দিয়েছেন। যেখানেই যাবেন আপনি আপনার কর্মদক্ষতায় মানুষের মনে জায়গা করে নেবেন এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস । স্নেহের ভাতিজা হিসেবে সবসময় আমাকে মূল্যায়িত করেছেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমার জন্য দোয়া করবেন । 

চুয়াডাঙ্গা সদর এ থাকা অবস্থায় আমার আচরণে যদি কখন ও কষ্ট পেয়ে থাকেন আমাকে মাফ করে দেবেন। 

ধন্যবাদ চুয়াডাঙ্গা সদর থানা- স্বাগতম মহেশপুর থানা। মহেশপুরে আপনার সাথে আমার নতুন স্মৃতি তৈরি হবে