০৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার মাসুদ রানার গানে গানে সেরা মন কেড়েছে দর্শকের।

  • Update Time : ০৮:২৫:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৩৪২ Time View

মোঃ আব্দুল্লাহ হক চুয়াডাঙ্গা:

 চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ গ্রামের মোঃ মাসুদ রানা, নাগদাহ এলাকার পরিচিত ও জনপ্রিয় গায়ক, সবার কাছে দুয়া চেয়েছেন কন্ঠশিল্পী মাসুদ রানা। ছোট্ট থেকে গান গাইতে ভালবাসতেন, যেখানেই গানের প্রোগ্রাম হতো সেখানে গান শুনতে চলে যেতেন কন্ঠশিল্পী মাসুদ রানা। এভাবে সঙ্গিতের প্রতি ভালবাসা তিলে তিলে মনে গেঁথে যাই কন্ঠশিল্পী মাসুদ রানার কথায় আছে ইচ্ছা শক্তি সঠিক থাকলে গন্তব্যে পৌঁছাবেই। 

মাসুদ রানা বলেন আমি অতি দরিদ্র পরিবারের ছেলে। আমার বাবা একজন দিনমজুর। আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৭ জন হওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয় আমার বাবাকে। আমার বাবা মা আমার জন্য অনেক কষ্ট করে। আমার গানের কথা বলতে গেলে প্রথমে মনে পরে ছোটবেলার কথা,আমার বয়স যখন তিন থেকে চার বছর মজার বিষয়, আমি আমার দাদুর সাথে পাশের গ্রামে সাধু সঙ্গ হচ্ছিল সেখানে গান শুনতে গেছিলাম। ওখানে গান হচ্ছিল, “হে বড় পীর আব্দুল কাদির আগুন হয়ে যায় পানি”। আমি বাসায় ফিরে তেলের ঢোম বাজায়ে গান করছিলাম, “হে বড় পীর আবুল হয়ে যাই পানি ” এখন আমার মায়ের মুখে শুনি, এটাই ছিল আমার জীবনে প্রথম গান। সেই ছোট্ট আমি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকি। আমার জীবনটা অনেক সুন্দর ভাবে কাটতে থাকে। আমি স্কুলে ভর্তি হলাম। আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়ি. স্কুলে গানের প্রতিযোগিতা হয় সেখানে অংশগ্রহণ করি, আমি প্রথম স্থান অর্জন করি। এই প্রতিযোগিতায় জেলা ভিত্তিক প্রথম স্থান অধিকার করে শিক্ষক ও মা বাবার মুখ উজ্জ্বল করি। আমার গানের আগ্রহ দেখে আমার গ্রামের ওস্তাদ পলান শাহ ও মিনাজ ওস্তাদ তাদের হারমোনিয়াম নিয়ে আমার বাসাতে গান শিখাতে আসতো। গানে আনন্দের চেয়ে কষ্টটা অনেক গুণ বেশি ছিল। কারণ গ্রামের নানান মানুষের বাজে কথায়। এইসব বাজে কথা শুনেও আমি থেমে থাকিনি। আমি আস্তে আস্তে গানে আরো পারদর্শী হতে থাকি। তারা আমার জীবনে প্রথম ভূমিকা রাখায় আমি অনেক বেশি গানে এগিয়ে যাই। কিন্তু হঠাৎ আমার গানে খারাপ একটা মোড় নেই। একদিন রাতে গানের রেওয়াজ করার সময় ওস্তাদ পলান শা্হ বলল আমার বাসায় রেখে আসো, আমার ওস্তাদের বয়স ছিল ১১২ বছর।রেখে আসতে যায়, যাওয়ার সময় ওস্তাদ কিছু কথা বলে গেছিলেন। মাসুদ তুমি অনেক বড় শিল্পী হবে, আমাদের অনেক নাম হবে, আর নিজের হাতে দোতারা বানানো আছে ওইটা তুমি নিয়ে আসবে বলার পর ওস্তাদ আমার হাতের উপর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আমি একেবারেই ভেঙে পরি। গান থেকে ছিটকে পরি, আমি কিছুতেই গানে ফিরতে পারিনা। অনেকদিন কেটে গেল।বন্ধুদের কথাই একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলি।সেখানে খালি গলায় গান করতাম, সেই গান জয়যাত্রা টেলিভিশনের সামনে পড়ে. তারা আমার গ্রামে এসে আমার গান রেকর্ড করে নিয়ে যাই। গ্রামের সকল জনসাধারণ দেখতে আসে। দুঃখের বিষয় টাকার জন্য গান প্রচার হয়েছিল না। অনেক অপমানিত হই পরিবার সহ। গ্রামের কিছু মানুষের বাজে ব্যবহার ও বাজে কথায়। আমি আবারো ভেঙ্গে পড়ি । মানুষের এই ব্যবহার দেখে. আমার দ্বিতীয় উস্তাদ মিনাজ ও রমজান কাকা আমার গানের জগতে ফিরিয়ে আনে। এবার প্রয়োজন হয় হারমোনিয়াম যা আমার পরিবারের পক্ষে অসম্ভব ছিল।অনেক চেষ্টা করে টাকার জন্য আমার পরিবার. পরে একটি এনজিও থেকে টাকা নিয়ে হারমোনিয়াম কিনেছিলাম। গানে উন্নতি দেখে আমার পরিবার ঠিক করে একটি গানের ক্লাবে ভর্তি করবে। আলমডাঙ্গাতে মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংসদে ভর্তি করে আসে।সেখানে আমার তৃতীয় ওস্তাদ অন্ধ রেজাউল করিম। ক্লাবের সকল সদস্য আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। বিশেষ করে আমার তৃতীয় ওস্তাদ অন্ধ রেজাউল করিম ও সুশীল কাকা অনেক সহযোগিতা করেছে। আবারো আমার গানের উন্নতি দেখে বিশিষ্ট বংশীবাদক মনোয়ার হোসেন খোকন আমাকে কুষ্টিয়া লালন একাডেমিতে ভর্তি করে আসে। আমার বাসা থেকে লালন একাডেমী ৪৫ কিলোমিটার দূরে হাওয়াই অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমার।আমার বাসা থেকে লালন একাডেমিতে যাতায়াত ভাড়া লাগে ৩০০ টাকা যা পরিবারের জন্য কষ্টসাধ্য কারন আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পরে. ডাঃ বললেন মাথা সহ অনেক গুলা সমস্যা। বাবাকে কাজ করতে নিষিদ্ধ করছিলো। তখন আমার পরিবারের পাশে দাঁড়াবার মত কেউ ছিলো না. তার পর আমি একটা চা দোকান চালাইয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াই। এখনো আমার বাবা কাজ করতে পারে না। আমার পরিবার ঠিক রেখে গান করতে হয়।আমার এই সমস্যার কথা জানতে পেরে আমার চতুর্থ ওস্তাদ আক্কাস (লালন একাডেমি প্রধান শিক্ষক)আমার যাতায়াতের অধেক ভাড়া দিছে। এইভাবে আমার জীবন চলতে থাকে। 

 হঠাৎ রিয়েলিটি শো গানে গানে সেরা আমার চোখে পড়ে। আমি রেজিস্ট্রেশন করি। অডিশন দিয়ে ঢাকা পর্বের জন্য সিলেক্ট হই। আপনাদের ভালোবাসা ও দোয়ায় অষ্টম রাউন্ড শেষ করে নবম রাউন্ডে অবস্থান করছি। আপনাদের অবদান অনেক। আপনাদের দোয়াতে আমি দেশের বিভিন্ন জায়গাতে গান করে বেড়াই । সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। কিছু দিন পর আমার গানে গানে সেরার সুপার রাউন্ড অনেক মেসেজ করে আমাকে জিতাবেন মনে করি। প্রানের শহর চুয়াডাঙ্গার সন্মান বাচাতে হলেও আমাকে ভোট দিবেন।

চুয়াডাঙ্গা এবং গোটা দেশের ভালোবাসা এবং বাহিরের শ্রোতাদের ভালোবাসা এভাবে অবিরাম থাকলে সে স্বপ্নের চৌকাটে গোটা দেশের ভালো প্ল্যাটফর্ম অর্জন করতে সক্ষম হবে। তিনি দেশ এবং দেশের সাধারণ অতি সাধারণ এবং সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে। দোয়া ভালোবাসা চেয়েছেন মাসুদ রানা। এবং তার স্বপ্ন পূরণে গোটা দেশের মানুষের সাপোর্ট চেয়েছেন, সকলের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা চেয়েছেন। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন সকল গণমাধ্যম এবং কৃতজ্ঞ ভালোবাসা জ্ঞাপন করেছেন গানে গানে সেরা সকল কর্তৃপক্ষ এবং বিচারক মন্ডলীর প্রতি।

জনপ্রিয়

ভালো মানুষ  —- রফিকুল ইসলাম 

আলমডাঙ্গার মাসুদ রানার গানে গানে সেরা মন কেড়েছে দর্শকের।

Update Time : ০৮:২৫:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

মোঃ আব্দুল্লাহ হক চুয়াডাঙ্গা:

 চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ গ্রামের মোঃ মাসুদ রানা, নাগদাহ এলাকার পরিচিত ও জনপ্রিয় গায়ক, সবার কাছে দুয়া চেয়েছেন কন্ঠশিল্পী মাসুদ রানা। ছোট্ট থেকে গান গাইতে ভালবাসতেন, যেখানেই গানের প্রোগ্রাম হতো সেখানে গান শুনতে চলে যেতেন কন্ঠশিল্পী মাসুদ রানা। এভাবে সঙ্গিতের প্রতি ভালবাসা তিলে তিলে মনে গেঁথে যাই কন্ঠশিল্পী মাসুদ রানার কথায় আছে ইচ্ছা শক্তি সঠিক থাকলে গন্তব্যে পৌঁছাবেই। 

মাসুদ রানা বলেন আমি অতি দরিদ্র পরিবারের ছেলে। আমার বাবা একজন দিনমজুর। আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৭ জন হওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয় আমার বাবাকে। আমার বাবা মা আমার জন্য অনেক কষ্ট করে। আমার গানের কথা বলতে গেলে প্রথমে মনে পরে ছোটবেলার কথা,আমার বয়স যখন তিন থেকে চার বছর মজার বিষয়, আমি আমার দাদুর সাথে পাশের গ্রামে সাধু সঙ্গ হচ্ছিল সেখানে গান শুনতে গেছিলাম। ওখানে গান হচ্ছিল, “হে বড় পীর আব্দুল কাদির আগুন হয়ে যায় পানি”। আমি বাসায় ফিরে তেলের ঢোম বাজায়ে গান করছিলাম, “হে বড় পীর আবুল হয়ে যাই পানি ” এখন আমার মায়ের মুখে শুনি, এটাই ছিল আমার জীবনে প্রথম গান। সেই ছোট্ট আমি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকি। আমার জীবনটা অনেক সুন্দর ভাবে কাটতে থাকে। আমি স্কুলে ভর্তি হলাম। আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়ি. স্কুলে গানের প্রতিযোগিতা হয় সেখানে অংশগ্রহণ করি, আমি প্রথম স্থান অর্জন করি। এই প্রতিযোগিতায় জেলা ভিত্তিক প্রথম স্থান অধিকার করে শিক্ষক ও মা বাবার মুখ উজ্জ্বল করি। আমার গানের আগ্রহ দেখে আমার গ্রামের ওস্তাদ পলান শাহ ও মিনাজ ওস্তাদ তাদের হারমোনিয়াম নিয়ে আমার বাসাতে গান শিখাতে আসতো। গানে আনন্দের চেয়ে কষ্টটা অনেক গুণ বেশি ছিল। কারণ গ্রামের নানান মানুষের বাজে কথায়। এইসব বাজে কথা শুনেও আমি থেমে থাকিনি। আমি আস্তে আস্তে গানে আরো পারদর্শী হতে থাকি। তারা আমার জীবনে প্রথম ভূমিকা রাখায় আমি অনেক বেশি গানে এগিয়ে যাই। কিন্তু হঠাৎ আমার গানে খারাপ একটা মোড় নেই। একদিন রাতে গানের রেওয়াজ করার সময় ওস্তাদ পলান শা্হ বলল আমার বাসায় রেখে আসো, আমার ওস্তাদের বয়স ছিল ১১২ বছর।রেখে আসতে যায়, যাওয়ার সময় ওস্তাদ কিছু কথা বলে গেছিলেন। মাসুদ তুমি অনেক বড় শিল্পী হবে, আমাদের অনেক নাম হবে, আর নিজের হাতে দোতারা বানানো আছে ওইটা তুমি নিয়ে আসবে বলার পর ওস্তাদ আমার হাতের উপর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আমি একেবারেই ভেঙে পরি। গান থেকে ছিটকে পরি, আমি কিছুতেই গানে ফিরতে পারিনা। অনেকদিন কেটে গেল।বন্ধুদের কথাই একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলি।সেখানে খালি গলায় গান করতাম, সেই গান জয়যাত্রা টেলিভিশনের সামনে পড়ে. তারা আমার গ্রামে এসে আমার গান রেকর্ড করে নিয়ে যাই। গ্রামের সকল জনসাধারণ দেখতে আসে। দুঃখের বিষয় টাকার জন্য গান প্রচার হয়েছিল না। অনেক অপমানিত হই পরিবার সহ। গ্রামের কিছু মানুষের বাজে ব্যবহার ও বাজে কথায়। আমি আবারো ভেঙ্গে পড়ি । মানুষের এই ব্যবহার দেখে. আমার দ্বিতীয় উস্তাদ মিনাজ ও রমজান কাকা আমার গানের জগতে ফিরিয়ে আনে। এবার প্রয়োজন হয় হারমোনিয়াম যা আমার পরিবারের পক্ষে অসম্ভব ছিল।অনেক চেষ্টা করে টাকার জন্য আমার পরিবার. পরে একটি এনজিও থেকে টাকা নিয়ে হারমোনিয়াম কিনেছিলাম। গানে উন্নতি দেখে আমার পরিবার ঠিক করে একটি গানের ক্লাবে ভর্তি করবে। আলমডাঙ্গাতে মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংসদে ভর্তি করে আসে।সেখানে আমার তৃতীয় ওস্তাদ অন্ধ রেজাউল করিম। ক্লাবের সকল সদস্য আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। বিশেষ করে আমার তৃতীয় ওস্তাদ অন্ধ রেজাউল করিম ও সুশীল কাকা অনেক সহযোগিতা করেছে। আবারো আমার গানের উন্নতি দেখে বিশিষ্ট বংশীবাদক মনোয়ার হোসেন খোকন আমাকে কুষ্টিয়া লালন একাডেমিতে ভর্তি করে আসে। আমার বাসা থেকে লালন একাডেমী ৪৫ কিলোমিটার দূরে হাওয়াই অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমার।আমার বাসা থেকে লালন একাডেমিতে যাতায়াত ভাড়া লাগে ৩০০ টাকা যা পরিবারের জন্য কষ্টসাধ্য কারন আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পরে. ডাঃ বললেন মাথা সহ অনেক গুলা সমস্যা। বাবাকে কাজ করতে নিষিদ্ধ করছিলো। তখন আমার পরিবারের পাশে দাঁড়াবার মত কেউ ছিলো না. তার পর আমি একটা চা দোকান চালাইয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াই। এখনো আমার বাবা কাজ করতে পারে না। আমার পরিবার ঠিক রেখে গান করতে হয়।আমার এই সমস্যার কথা জানতে পেরে আমার চতুর্থ ওস্তাদ আক্কাস (লালন একাডেমি প্রধান শিক্ষক)আমার যাতায়াতের অধেক ভাড়া দিছে। এইভাবে আমার জীবন চলতে থাকে। 

 হঠাৎ রিয়েলিটি শো গানে গানে সেরা আমার চোখে পড়ে। আমি রেজিস্ট্রেশন করি। অডিশন দিয়ে ঢাকা পর্বের জন্য সিলেক্ট হই। আপনাদের ভালোবাসা ও দোয়ায় অষ্টম রাউন্ড শেষ করে নবম রাউন্ডে অবস্থান করছি। আপনাদের অবদান অনেক। আপনাদের দোয়াতে আমি দেশের বিভিন্ন জায়গাতে গান করে বেড়াই । সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। কিছু দিন পর আমার গানে গানে সেরার সুপার রাউন্ড অনেক মেসেজ করে আমাকে জিতাবেন মনে করি। প্রানের শহর চুয়াডাঙ্গার সন্মান বাচাতে হলেও আমাকে ভোট দিবেন।

চুয়াডাঙ্গা এবং গোটা দেশের ভালোবাসা এবং বাহিরের শ্রোতাদের ভালোবাসা এভাবে অবিরাম থাকলে সে স্বপ্নের চৌকাটে গোটা দেশের ভালো প্ল্যাটফর্ম অর্জন করতে সক্ষম হবে। তিনি দেশ এবং দেশের সাধারণ অতি সাধারণ এবং সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে। দোয়া ভালোবাসা চেয়েছেন মাসুদ রানা। এবং তার স্বপ্ন পূরণে গোটা দেশের মানুষের সাপোর্ট চেয়েছেন, সকলের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা চেয়েছেন। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন সকল গণমাধ্যম এবং কৃতজ্ঞ ভালোবাসা জ্ঞাপন করেছেন গানে গানে সেরা সকল কর্তৃপক্ষ এবং বিচারক মন্ডলীর প্রতি।