০৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুলশানে পরিচয়, বিয়ের দাবিতে ভোলায় অনশনে তরুণী

  • Update Time : ০৩:০১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
  • 211

গাজীপুর থেকে ভোলায় এসে প্রেমিকের বসতঘরের সামনে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন এক তরুণী। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চর কালি গ্রামের হারুন মাস্টারের বাড়িতে অনশনে বসেন তিনি। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম মো. হাফিজুর রহমান সজিব।

তরুণীর অভিযোগ, তিনি ঢাকার গুলশান-২ এ একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে মো. হাফিজুর রহমান সজিবের সঙ্গে তার পরিচয়। এক বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সজিব মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। একপর্যায়ে বিয়ে জন্য চাপ দিলে সজিব কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি ভোলায় চলে আসেন।

অনশনে বসা মেয়েটি বলেন, অনেক কষ্টে হাফিজুর রহমান সজিবের বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করে আমি এসেছি। কিন্তু তার বাড়ির লোকজন বসতঘরের গেট বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন। সজিব বসতঘরের ভেতরেই আছেন। তার বাবা-মাও ঘরেই আছেন। সজিব আমাকে বিয়ে না করলে বাড়ির সামনেই আত্মহত্যা করবো।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান সজিবের মোবাইল নম্বরে কয়েকবার ফোন দিলে রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে রিসিভ করে সংবাদকর্মীর পরিচয় শুনে কল কেটে ফোনটি বন্ধ রাখেন।

ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. ইমজামুল হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। কিন্তু মেয়েটি এখনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে

Tag :
জনপ্রিয়

মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনে টাকা চুরি হওয়া জোছনা পাগলীর পাশে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এন্ড সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন

গুলশানে পরিচয়, বিয়ের দাবিতে ভোলায় অনশনে তরুণী

Update Time : ০৩:০১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

গাজীপুর থেকে ভোলায় এসে প্রেমিকের বসতঘরের সামনে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন এক তরুণী। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চর কালি গ্রামের হারুন মাস্টারের বাড়িতে অনশনে বসেন তিনি। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম মো. হাফিজুর রহমান সজিব।

তরুণীর অভিযোগ, তিনি ঢাকার গুলশান-২ এ একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে মো. হাফিজুর রহমান সজিবের সঙ্গে তার পরিচয়। এক বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সজিব মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। একপর্যায়ে বিয়ে জন্য চাপ দিলে সজিব কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি ভোলায় চলে আসেন।

অনশনে বসা মেয়েটি বলেন, অনেক কষ্টে হাফিজুর রহমান সজিবের বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করে আমি এসেছি। কিন্তু তার বাড়ির লোকজন বসতঘরের গেট বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন। সজিব বসতঘরের ভেতরেই আছেন। তার বাবা-মাও ঘরেই আছেন। সজিব আমাকে বিয়ে না করলে বাড়ির সামনেই আত্মহত্যা করবো।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান সজিবের মোবাইল নম্বরে কয়েকবার ফোন দিলে রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে রিসিভ করে সংবাদকর্মীর পরিচয় শুনে কল কেটে ফোনটি বন্ধ রাখেন।

ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. ইমজামুল হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। কিন্তু মেয়েটি এখনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে