০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উজিরপুরে শাপলা বিল যেন এক লাল স্বর্গ

  • Update Time : ০৬:১২:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯
  • 365

মাহামুদুল হাসান জিল্লুঃ
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের উত্তর সাতলা গ্রামে বিশাল বিল জুড়ে ফোটে লাল শাপলা। জেলা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরের এ জায়গাটি ‘শাপলা বিল’ নামেই বেশি পরিচিত। চারপাশে গাঢ় সবুজের পটভূমিতে এ যেন এক লাল স্বর্গ।
শাপলার গ্রাম উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের সর্বত্রই লাল শাপলার বিল। এছাড়া পার্শ্ববর্তী আগৈলঝড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা ও খাজুরিয়া গ্রামেও দু’টি সুন্দর শাপলার বিল আছে।
কীভাবে যাবেন সাতলার বিলে যেতে ঢাকা থেকে লঞ্চে প্রথমে বরিশাল, সেখান থেকে অটোরিকশা ভাড়া করে যেতে হবে সাতলা। এছাড়া সড়ক পথে গৌরনদী নেমে সেখান থেকেও অটো রিকশায় যাওয়া যাবে সাতলা। শাপলার এ রাজত্ব দেখার ভালো সময় অক্টোবর এবং নভেম্বর।
যেতে হবে সকালে সাতলা বিলে ফুটন্ত শাপলার রাজত্ব দেখতে হলে জায়গাটিতে পৌঁছুতে হবে খুব সকালে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলে ফুলের পরিমাণ কমতে থাকে। ছোট নৌকায় বিল দেখা সাতলা বিলে বেড়ানোর জন্য পাওয়া যাবে ছোট ছোট নৌকা। স্থানীয় মানুষ ভ্রমণ মৌসুমে পর্যটকদের জন্য নৌকা নিয়ে অপেক্ষায় থাকেন।

শিশুদের দুরন্তপনা সাতলার শাপলা বিলে দেখা মিলবে শিশুদের দুরন্তপনা। সকালে অনেককেই দেখা যায় বিলে শাপলা সংগ্রহ করতে। অন্নের যোগান পর্যটকদের মনোরঞ্জন ছাড়াও সাতলার বিল স্থানীয়দের অন্নেরও জোগান দেয়। তরকারী হিসেবে শাপলার জনপ্রিয়তা আছে। এছাড়া বিলে প্রচুর মাছও পাওয়া যায়।
আয়ের উৎস নিম্ন আয়ের মানুষেরা সাতলা বিলের শাপলা তুলে নিয়ে বিক্রি করেন বাজারে। এ থেকে বাড়তি আয় হয় তাঁদের। স্থানীয়দের অনেকে জীবিকার জন্য বছরের একটা বড় সময় বিলের মাছ ও শাপলার ওপর নির্ভরশীল।
বাজারে শাপলা সাতলা বিলের শাপলা যায় সাধারণত বরিশাল, ঝালকাঠী ও পিরোজপুর এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে। ১৫ থেকে ২০টি শাপলার একটি আঁটি তিন থেকে পাঁচ টাকায় বিক্রি হয় এসব বাজারে।
জনপ্রিয় নতুন ভ্রমণ গন্তব্য বাংলাদেশের নতুন ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর মধ্যে সাতলা বিল অন্যতম। মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর পর্যটক সেখানে ছুটে যান প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব পর্যটকদের কাছে অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সাতলা বিলে নজর পড়েনি সরকারের। জায়গাটিতে এখনো পর্যটকদের জন্য তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই।

Tag :
জনপ্রিয়

ক্ষমতামুখী না হয়ে জনতামুখী হোন: আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ

উজিরপুরে শাপলা বিল যেন এক লাল স্বর্গ

Update Time : ০৬:১২:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯

মাহামুদুল হাসান জিল্লুঃ
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের উত্তর সাতলা গ্রামে বিশাল বিল জুড়ে ফোটে লাল শাপলা। জেলা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরের এ জায়গাটি ‘শাপলা বিল’ নামেই বেশি পরিচিত। চারপাশে গাঢ় সবুজের পটভূমিতে এ যেন এক লাল স্বর্গ।
শাপলার গ্রাম উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের সর্বত্রই লাল শাপলার বিল। এছাড়া পার্শ্ববর্তী আগৈলঝড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা ও খাজুরিয়া গ্রামেও দু’টি সুন্দর শাপলার বিল আছে।
কীভাবে যাবেন সাতলার বিলে যেতে ঢাকা থেকে লঞ্চে প্রথমে বরিশাল, সেখান থেকে অটোরিকশা ভাড়া করে যেতে হবে সাতলা। এছাড়া সড়ক পথে গৌরনদী নেমে সেখান থেকেও অটো রিকশায় যাওয়া যাবে সাতলা। শাপলার এ রাজত্ব দেখার ভালো সময় অক্টোবর এবং নভেম্বর।
যেতে হবে সকালে সাতলা বিলে ফুটন্ত শাপলার রাজত্ব দেখতে হলে জায়গাটিতে পৌঁছুতে হবে খুব সকালে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলে ফুলের পরিমাণ কমতে থাকে। ছোট নৌকায় বিল দেখা সাতলা বিলে বেড়ানোর জন্য পাওয়া যাবে ছোট ছোট নৌকা। স্থানীয় মানুষ ভ্রমণ মৌসুমে পর্যটকদের জন্য নৌকা নিয়ে অপেক্ষায় থাকেন।

শিশুদের দুরন্তপনা সাতলার শাপলা বিলে দেখা মিলবে শিশুদের দুরন্তপনা। সকালে অনেককেই দেখা যায় বিলে শাপলা সংগ্রহ করতে। অন্নের যোগান পর্যটকদের মনোরঞ্জন ছাড়াও সাতলার বিল স্থানীয়দের অন্নেরও জোগান দেয়। তরকারী হিসেবে শাপলার জনপ্রিয়তা আছে। এছাড়া বিলে প্রচুর মাছও পাওয়া যায়।
আয়ের উৎস নিম্ন আয়ের মানুষেরা সাতলা বিলের শাপলা তুলে নিয়ে বিক্রি করেন বাজারে। এ থেকে বাড়তি আয় হয় তাঁদের। স্থানীয়দের অনেকে জীবিকার জন্য বছরের একটা বড় সময় বিলের মাছ ও শাপলার ওপর নির্ভরশীল।
বাজারে শাপলা সাতলা বিলের শাপলা যায় সাধারণত বরিশাল, ঝালকাঠী ও পিরোজপুর এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে। ১৫ থেকে ২০টি শাপলার একটি আঁটি তিন থেকে পাঁচ টাকায় বিক্রি হয় এসব বাজারে।
জনপ্রিয় নতুন ভ্রমণ গন্তব্য বাংলাদেশের নতুন ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর মধ্যে সাতলা বিল অন্যতম। মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর পর্যটক সেখানে ছুটে যান প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব পর্যটকদের কাছে অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সাতলা বিলে নজর পড়েনি সরকারের। জায়গাটিতে এখনো পর্যটকদের জন্য তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই।