০৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরকীয়া–পাট কর্মকর্তা সেনা সদস্যের স্ত্রীকে নিয়ে উধাও

 

 

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় এক চাঞ্চল্যকর পরকীয়া ঘটনার জন্ম দিয়েছেন উপজেলা পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এক সেনা সদস্যের স্ত্রীকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর শ্বশুর বাদী হয়ে পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের ছেলে রিয়াজুর ইসলাম চাকরির সুবাদে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দেউলী মোড় সংলগ্ন নতিপোতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থেকে বসবাস করে আসছিলেন। একই বাড়িতে হাউলি ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের এক সেনা সদস্যের স্ত্রী নীতু (ছদ্মনাম) তার নয় বছর বয়সী ছেলে সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন।

 

দীর্ঘদিন এক বাড়িতে থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক, যা পরবর্তীতে গভীরতর রূপ নেয়। একপর্যায়ে তারা বিভিন্ন প্রলোভন ও পরিকল্পনার মাধ্যমে গৃহবধূর কাছে থাকা নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও ব্যবহার্য সামগ্রীসহ পালিয়ে যান। এই ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুর বাদী হয়ে ২৪ এপ্রিল দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

লিখিত অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তার পুত্রবধূর সঙ্গে তার সেনা সদস্য ছেলের বিয়ে হয় প্রায় ১১ বছর আগে। তাদের সংসারে জন্ম নেয় একটি ছেলে সন্তান। পরবর্তীতে কিছু পারিবারিক মনোমালিন্যের কারণে গৃহবধূ আলাদা বাসায় বসবাস করতে থাকেন। সেখানেই পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলামের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।

 

স্থানীয়রা মনে করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারই এমন পরকীয়া সম্পর্কের অন্যতম কারণ। এতে বহু পরিবার ভেঙে যাচ্ছে, সন্তানরা বঞ্চিত হচ্ছে মায়ের স্নেহ ও বাবার সাহচর্য থেকে। অনেক সময় এমন ঘটনা গড়ায় ভয়াবহ অপরাধে, যার প্রভাব পড়ে সমাজের উপরেও।

 

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, “এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছিল। পরবর্তীতে অভিযুক্ত নারী তার সন্তানকে পিতার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। বর্তমানে বাদীপক্ষের আর কোনো অভিযোগ নেই।”

 

তবে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, এ ধরনের সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে প্রশাসনের আরও কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন।

 

 

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

পরকীয়া–পাট কর্মকর্তা সেনা সদস্যের স্ত্রীকে নিয়ে উধাও

Update Time : ০৭:২৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

 

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় এক চাঞ্চল্যকর পরকীয়া ঘটনার জন্ম দিয়েছেন উপজেলা পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এক সেনা সদস্যের স্ত্রীকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর শ্বশুর বাদী হয়ে পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের ছেলে রিয়াজুর ইসলাম চাকরির সুবাদে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দেউলী মোড় সংলগ্ন নতিপোতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থেকে বসবাস করে আসছিলেন। একই বাড়িতে হাউলি ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের এক সেনা সদস্যের স্ত্রী নীতু (ছদ্মনাম) তার নয় বছর বয়সী ছেলে সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন।

 

দীর্ঘদিন এক বাড়িতে থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক, যা পরবর্তীতে গভীরতর রূপ নেয়। একপর্যায়ে তারা বিভিন্ন প্রলোভন ও পরিকল্পনার মাধ্যমে গৃহবধূর কাছে থাকা নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও ব্যবহার্য সামগ্রীসহ পালিয়ে যান। এই ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুর বাদী হয়ে ২৪ এপ্রিল দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

লিখিত অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তার পুত্রবধূর সঙ্গে তার সেনা সদস্য ছেলের বিয়ে হয় প্রায় ১১ বছর আগে। তাদের সংসারে জন্ম নেয় একটি ছেলে সন্তান। পরবর্তীতে কিছু পারিবারিক মনোমালিন্যের কারণে গৃহবধূ আলাদা বাসায় বসবাস করতে থাকেন। সেখানেই পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলামের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।

 

স্থানীয়রা মনে করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারই এমন পরকীয়া সম্পর্কের অন্যতম কারণ। এতে বহু পরিবার ভেঙে যাচ্ছে, সন্তানরা বঞ্চিত হচ্ছে মায়ের স্নেহ ও বাবার সাহচর্য থেকে। অনেক সময় এমন ঘটনা গড়ায় ভয়াবহ অপরাধে, যার প্রভাব পড়ে সমাজের উপরেও।

 

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, “এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছিল। পরবর্তীতে অভিযুক্ত নারী তার সন্তানকে পিতার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। বর্তমানে বাদীপক্ষের আর কোনো অভিযোগ নেই।”

 

তবে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, এ ধরনের সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে প্রশাসনের আরও কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন।