০৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানুষের দুঃখ–কষ্ট বুঝতে পারে ছাগল

  • Update Time : ০৬:৫১:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 385

 

 

আপনার কণ্ঠ শুনে ছাগল বুঝতে পারে, আপনার মনে এখন কী চলছে। বিজ্ঞানীদের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হংকংয়ের সিটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যালান ম্যাকএলিগটের নেতৃত্বাধীন একটি গবেষক দল ছাগলের মানসিক বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা চালান। তাঁরা ২৭টি পুরুষ ও নারী ছাগলের ওপর এ গবেষণা চালিয়েছে। ছাগলগুলো বিভিন্ন জাতের ও বিভিন্ন বয়সের ছিল এবং গৃহপালিত ছিল।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সুখী মানুষ, দুঃখী মানুষ কিংবা রাগান্বিত মানুষের কণ্ঠস্বরের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে ছাগল। তাদের মানসিক বুদ্ধিমত্তা রয়েছে এবং তারা মানুষের উপস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। সম্ভবত মানুষের সঙ্গে দলবদ্ধভাবে কাজ করার দীর্ঘ ইতিহাসের কারণে গৃহপালিত প্রাণী বা পোষা প্রাণীরা আমাদের কণ্ঠস্বরের সংবেদনশীলতা বুঝতে শিখেছে।

 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাগলগুলোর সামনে একটি স্পিকারের মাধ্যমে ‘এই দিকে তাকাও’ বাক্যাটি বাজিয়েছেন গবেষকেরা। একই বাক্য রাগী ও কোমল কণ্ঠে কয়েকবার বাজান তাঁরা। তখন দেখতে পান, রাগী কণ্ঠ বাজানোর সময় এক ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে ছাগলেরা, আবার কোমল কণ্ঠ বাজানোর সময় আরেক ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে তারা। কোমল বা সুখী কণ্ঠ বাজানোর সময় স্পিকারের দিকে আবেগময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে ছাগলগুলোকে।

পশু আচরণবিষয়ক গবেষক ও অধ্যাপক ম্যাকএলিগট বলেন, ছাগল ঠিক কুকুর ও ঘোড়ার মতোই মানুষের মুখের অভিব্যক্তি পড়তে পারে। তবে কীভাবে ছাগল এই দক্ষতা অর্জন করেছে, তা জানা জন্য আরও বিশদ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে

জনপ্রিয়

𝗠𝗼𝗵𝗮𝗺𝗺𝗲𝗱 𝗥𝗮𝘀𝗵𝗲𝗱𝘂𝗹 𝗔𝗺𝗶𝗻 𝗣𝗿𝗼𝗺𝗼𝘁𝗲𝗱 𝗮𝘀 𝗗𝗠𝗗 𝗼𝗳 𝗦𝗼𝘂𝘁𝗵𝗲𝗮𝘀𝘁 𝗕𝗮𝗻𝗸 𝗣𝗟𝗖.

মানুষের দুঃখ–কষ্ট বুঝতে পারে ছাগল

Update Time : ০৬:৫১:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

 

আপনার কণ্ঠ শুনে ছাগল বুঝতে পারে, আপনার মনে এখন কী চলছে। বিজ্ঞানীদের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হংকংয়ের সিটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যালান ম্যাকএলিগটের নেতৃত্বাধীন একটি গবেষক দল ছাগলের মানসিক বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা চালান। তাঁরা ২৭টি পুরুষ ও নারী ছাগলের ওপর এ গবেষণা চালিয়েছে। ছাগলগুলো বিভিন্ন জাতের ও বিভিন্ন বয়সের ছিল এবং গৃহপালিত ছিল।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সুখী মানুষ, দুঃখী মানুষ কিংবা রাগান্বিত মানুষের কণ্ঠস্বরের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে ছাগল। তাদের মানসিক বুদ্ধিমত্তা রয়েছে এবং তারা মানুষের উপস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। সম্ভবত মানুষের সঙ্গে দলবদ্ধভাবে কাজ করার দীর্ঘ ইতিহাসের কারণে গৃহপালিত প্রাণী বা পোষা প্রাণীরা আমাদের কণ্ঠস্বরের সংবেদনশীলতা বুঝতে শিখেছে।

 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাগলগুলোর সামনে একটি স্পিকারের মাধ্যমে ‘এই দিকে তাকাও’ বাক্যাটি বাজিয়েছেন গবেষকেরা। একই বাক্য রাগী ও কোমল কণ্ঠে কয়েকবার বাজান তাঁরা। তখন দেখতে পান, রাগী কণ্ঠ বাজানোর সময় এক ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে ছাগলেরা, আবার কোমল কণ্ঠ বাজানোর সময় আরেক ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে তারা। কোমল বা সুখী কণ্ঠ বাজানোর সময় স্পিকারের দিকে আবেগময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে ছাগলগুলোকে।

পশু আচরণবিষয়ক গবেষক ও অধ্যাপক ম্যাকএলিগট বলেন, ছাগল ঠিক কুকুর ও ঘোড়ার মতোই মানুষের মুখের অভিব্যক্তি পড়তে পারে। তবে কীভাবে ছাগল এই দক্ষতা অর্জন করেছে, তা জানা জন্য আরও বিশদ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে