রাজিবুল হক রনি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩৮ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে দীর্ঘদিন কাজ করছেন সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, সভাপতি,বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা সাকিনা খাতুন পারুল।
সাকিনা খাতুন পারুল সাবেক সহ-সভাপতি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা।
১৯৮২ সালে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের সক্রিয়া কর্মী হিসেবে ভুমিকা পালন করেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পর পর ২বার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১৪,১৪,১৫ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন মহিলা কাউন্সিলর।চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ২০১৪ সালে আওয়ামী মনোনীত ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছে আজীবন সদস্য, জাতীয় অন্ধ কল্যান সমিতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ।সদস্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
চাপাইনবাবগঞ্জ (৩৮) মহিলা সংরক্ষিত এমপি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোসাঃ সাকিনা খাতুন (পারুল) একান্ত সাক্ষাৎকারে দৈনিক গড়ব বাংলাদেশ ও দৈনিক এই আমার দেশ কে বলেন
আমি ১৯৮২ সাল থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় আছি। আমি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন সন্তান আমার মামা শহীদ বুদ্ধিজীবী নাঈমুল হক মাস্টার কে পাক বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে,আজ পর্যন্ত তার লাশটাও পাওয়া যায়নি, মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার বাবার পরিবারে ৯ জন রাষ্ট্রীয় সনদ প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন, আমার দুই সহোদার ভাই সম্মুখ যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হন। আমার আপন খালাতো ভাই বাংলাদেশ সরকারের সাবেক ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিচারপতি বজলুর রহমান ছানার ত্যাগের ইতিহাস সকলেই জানেন। আমার স্বামী আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন আমার একমাত্র ছেলে সাকিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
আমি ৯০ এর সৈরাচার বিরধী আন্দোলনে চাঁপাই নবাবগঞ্জে একমাত্র নারী কর্মী হিসেবে রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছি,১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামাত বি.এন পি অধ্যুষিত এই জেলার নির্বাচনি মাঠে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রেখেছি, ২০০৩ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠাকালে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি, ২০০৪ সালে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলাম।
২০০৭ সালে ১/১১ তে জরুরী অবস্থায়, সেনাবাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে শত শত নারী কর্মীদের নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলাম, যার দরুন আমাকে জরুরী বিধীমালা ভঙ্গের দ্বায়ে জেল জুলুমের শিকার হতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার ছিলাম এবং ২০১৩ সালে রায় পরবর্তী জেলা ব্যাপি আমার নেতা কর্মিদের উপর নির্যাতন চালানো হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু এই চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমারা সবসময় নারী ভোটারদের ভোটে পিছিয়ে থাকি,২০১৮ সালে নারী ভোটারদের কারনে আমরা ৩ টির মধ্যে ২ টিতে পরাজিত হয়েছিলাম।
এবারের ২০২৪ সালের নির্বাচনেও নারী ভোটারদের উপস্থিতি খুব কম ছিল এক্ষেত্রে আমরা অনেকটা পিছিয়ে রয়েছি। কারন ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে এই অঞ্চলের নারী সমাজকে ধর্মীয় অন্ধত্তে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে, ফতোয়া দিয়ে প্রয়োজন মত ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে অনেকটা কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমার ভীষণ মিশন জানেন, নেত্রী আমাকে ব্যাক্তিগত ভাবে চেনেন আমার পরিবারের দলের দুঃসময়ে অবদানের কথা স্মরণ করে যদি আমাকে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য করা হয় তাহলে আগামীতেও পিছিয়ে পড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের বিশেষ করে নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব ইনশাআল্লাহ্