০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে চলছে জমি প্রস্তুতের কাজ

  • Update Time : ০১:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • 115

আরিফুল ইসলাম: চলছে মাঘ মাস। দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। শীতের তীব্রতায় যখন জনজীবন স্থবির তখনও থেমে নেই চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা। ভোর হলেই ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়াকে উপেক্ষা করে কৃষকেরা বেড়িয়ে পড়েছে মাঠে। উদ্দেশ্য যে কোনো মূল্যে ধানের জমিকে চাষযোগ্য গড়ে তোলা। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা কৃষি যন্ত্রপাতি ও পেশী শক্তি দ্বারা জমির সীমানা আইল মজবুত ও আগাছা পরিষ্কার করছে। এরপর ধাপে ধাপে শ্রম দেওয়ার মাধ্যমে চাষ উপযোগী করে তুলছে নির্ধারিত জায়গা। সব মিলিয়ে কৃষকের এখন ব্যাস্ত সময় পার করছে। ধান উৎপাদনে সন্তোষজনক সাফল্য পাওয়ার জন্য তাদের যেন কোনো ক্লান্তি নেই। তাদের আশা সঠিক দিক নির্দেশনা ও ন্যায্য মূল্য পাওয়ার। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক তাহাজেল বলেন, আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে মাঠে চাষাবাদ করে যাচ্ছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও আমরা ধান লাগানোর জন্য জমি প্রস্তুত করছি। এখন শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ভোরে এসে কাদা পানির ভিতরে কাজ করতে আমাদের শরীর হিম হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সঠিক সময়ে ধান লাগাতে না পারলে ভালো ফসল ফলানো সম্ভব হবে না। তিনি আরও বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক যদি আমাদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া হয় তাহলে আমরা আরো ভালো ফসল ফলাতে সক্ষম হব। যখন আমারা ধান কেটে বিক্রয় করব তখন যেনো আমরা ন্যায্য মূল্য পাই এটাই আমার এবং সকল কৃষকদের চাওয়া। এই বিষয়ে আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এই বিষয়ে চিৎলা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন বলেন, আমরা কৃষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং তাদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি। আমাদের পরামর্শ মতো কাজ করলে আমরা আশাবাদী কৃষকেরা ভালো ফলাফল পাবে।

Tag :
জনপ্রিয়

মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনে টাকা চুরি হওয়া জোছনা পাগলীর পাশে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এন্ড সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন

তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে চলছে জমি প্রস্তুতের কাজ

Update Time : ০১:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

আরিফুল ইসলাম: চলছে মাঘ মাস। দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। শীতের তীব্রতায় যখন জনজীবন স্থবির তখনও থেমে নেই চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা। ভোর হলেই ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়াকে উপেক্ষা করে কৃষকেরা বেড়িয়ে পড়েছে মাঠে। উদ্দেশ্য যে কোনো মূল্যে ধানের জমিকে চাষযোগ্য গড়ে তোলা। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা কৃষি যন্ত্রপাতি ও পেশী শক্তি দ্বারা জমির সীমানা আইল মজবুত ও আগাছা পরিষ্কার করছে। এরপর ধাপে ধাপে শ্রম দেওয়ার মাধ্যমে চাষ উপযোগী করে তুলছে নির্ধারিত জায়গা। সব মিলিয়ে কৃষকের এখন ব্যাস্ত সময় পার করছে। ধান উৎপাদনে সন্তোষজনক সাফল্য পাওয়ার জন্য তাদের যেন কোনো ক্লান্তি নেই। তাদের আশা সঠিক দিক নির্দেশনা ও ন্যায্য মূল্য পাওয়ার। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক তাহাজেল বলেন, আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে মাঠে চাষাবাদ করে যাচ্ছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও আমরা ধান লাগানোর জন্য জমি প্রস্তুত করছি। এখন শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ভোরে এসে কাদা পানির ভিতরে কাজ করতে আমাদের শরীর হিম হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সঠিক সময়ে ধান লাগাতে না পারলে ভালো ফসল ফলানো সম্ভব হবে না। তিনি আরও বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক যদি আমাদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া হয় তাহলে আমরা আরো ভালো ফসল ফলাতে সক্ষম হব। যখন আমারা ধান কেটে বিক্রয় করব তখন যেনো আমরা ন্যায্য মূল্য পাই এটাই আমার এবং সকল কৃষকদের চাওয়া। এই বিষয়ে আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এই বিষয়ে চিৎলা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন বলেন, আমরা কৃষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং তাদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি। আমাদের পরামর্শ মতো কাজ করলে আমরা আশাবাদী কৃষকেরা ভালো ফলাফল পাবে।