০২:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিউজ প্রকাশের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা।

  • Update Time : ০৩:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • 503

স্টাফ রিপোর্টার: নিউজ প্রকাশের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীগণ র্র্যালী সহকারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করেন। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, চুয়াডাঙ্গার একটি স্থানীয় পত্রিকায় আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান ও সহকারি প্রশিক্ষক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন নিউজ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমাদের নিকট থেকে আমাদের পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য কোন শিক্ষক টাকা দাবি করেনি। আজকে আমরা যারা এই প্রতিবাদ ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছি এদের মধ্যে অধিকাংশই ফেল করেছে। তাই যদি পাস করার জন্যই আমাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়ে থাকতো তাহলে আমরা ফেল করতাম না। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে কথা বলেন, চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ড্রাইভিং ট্রেডের শিক্ষার্থী কাওসার আহমেদ, সবুজ, জাহিদ,সোহানুর, ইব্রাহিম ,মেহেদী হাসান, মশিউর রহমান ,আশিকুর রহমান ,আলমাস, সবুজ -২,শরিফুল,আরাফাত সহ অনেকে । 

এদিকে গত পরশু স্থানীয় একটি দৈনিকে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দু’জন প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রকাশিত নিউজের প্রতিবেদক বলেন,

চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষাণার্থীদের কাছ থেকে পাশ করিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রশিক্ষণার্থীদের ফেল করানোর ভীতি দেখিয়ে জনপ্রতি ২ হাজার ৫ শ টাকা করে নিয়েছেন তিনি। নিউজ প্রকাশ হওয়ায় সোমবার রাতে ওই সংবাদকর্মীর অফিসে গিয়ে সংবাদ বন্ধের জন্য ঘুষ দিতে চাইলে সংবাদকর্মী তা না নিয়ে বিক্ষুদ্ধ মনিরুজ্জামানকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সংবাদ প্রকাশের পর মনিরুজ্জামান কূল কিনারা না পেয়ে অল্প কয়েকজন অকৃতকার্য প্রশিক্ষণার্থীকে ফুসলিয়ে ঝটিকা মানববন্ধন করেছেন। 

তবে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষার্থীদের পাস করার বিষয়ে টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়া টাকা নিয়ে প্রশিক্ষনার্থীদেরকে পাস করার সুযোগও আছে কিনা সেটি আমি বলতে পারব না। ওদের ড্রাইভিং এর পরীক্ষায় পাশ ফেল এর ব্যাপার আমার হাতে নয়,এটি বিআরটিএর হাতে। এছাড়া ওই প্রজেক্টটি গত ৩১শে ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেছে।

Tag :
জনপ্রিয়

মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনে টাকা চুরি হওয়া জোছনা পাগলীর পাশে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এন্ড সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন

নিউজ প্রকাশের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা।

Update Time : ০৩:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার: নিউজ প্রকাশের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীগণ র্র্যালী সহকারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করেন। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, চুয়াডাঙ্গার একটি স্থানীয় পত্রিকায় আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান ও সহকারি প্রশিক্ষক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন নিউজ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমাদের নিকট থেকে আমাদের পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য কোন শিক্ষক টাকা দাবি করেনি। আজকে আমরা যারা এই প্রতিবাদ ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছি এদের মধ্যে অধিকাংশই ফেল করেছে। তাই যদি পাস করার জন্যই আমাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়ে থাকতো তাহলে আমরা ফেল করতাম না। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে কথা বলেন, চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ড্রাইভিং ট্রেডের শিক্ষার্থী কাওসার আহমেদ, সবুজ, জাহিদ,সোহানুর, ইব্রাহিম ,মেহেদী হাসান, মশিউর রহমান ,আশিকুর রহমান ,আলমাস, সবুজ -২,শরিফুল,আরাফাত সহ অনেকে । 

এদিকে গত পরশু স্থানীয় একটি দৈনিকে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দু’জন প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রকাশিত নিউজের প্রতিবেদক বলেন,

চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষাণার্থীদের কাছ থেকে পাশ করিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রশিক্ষণার্থীদের ফেল করানোর ভীতি দেখিয়ে জনপ্রতি ২ হাজার ৫ শ টাকা করে নিয়েছেন তিনি। নিউজ প্রকাশ হওয়ায় সোমবার রাতে ওই সংবাদকর্মীর অফিসে গিয়ে সংবাদ বন্ধের জন্য ঘুষ দিতে চাইলে সংবাদকর্মী তা না নিয়ে বিক্ষুদ্ধ মনিরুজ্জামানকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সংবাদ প্রকাশের পর মনিরুজ্জামান কূল কিনারা না পেয়ে অল্প কয়েকজন অকৃতকার্য প্রশিক্ষণার্থীকে ফুসলিয়ে ঝটিকা মানববন্ধন করেছেন। 

তবে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষার্থীদের পাস করার বিষয়ে টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়া টাকা নিয়ে প্রশিক্ষনার্থীদেরকে পাস করার সুযোগও আছে কিনা সেটি আমি বলতে পারব না। ওদের ড্রাইভিং এর পরীক্ষায় পাশ ফেল এর ব্যাপার আমার হাতে নয়,এটি বিআরটিএর হাতে। এছাড়া ওই প্রজেক্টটি গত ৩১শে ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেছে।