০৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা উপজেলাকে মমতাময়ী মায়ের মতো আগলে রেখেছেন ইউএনও রোকসানা মিতা

  • Update Time : ১১:৪৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩
  • 103

 

হাবিবুর রহমান হাবীবঃ দামুড়হুদা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভারত সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী এই জেলার সর্ব পশ্চিমে অবস্থিত দামুড়হুদা উপজেলা। ১০৭টি গ্রাম, ৭টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও ২টি থানা নিয়ে গঠিত দামুড়হুদা উপজেলা। এই উপজেলায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করেছেন। একটি উপজেলার সর্বোচ্চ পদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদ। এই মহান গুরুত্বপূর্ণ পদে অনেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন রোকসানা মিতা। তিনি এই উপজেলার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে দেখিয়ে দিয়েছেন মানুষকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। কিভাবে একটি কঠিন কাজকে খুব সহজেই সমাধান করতে হয়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একজন মমতাময়ী মায়ের মতো নিজের আঁচল দিয়ে আগলে রেখেছেন উপজেলাকে। বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তাঁর জুড়ি মেলে ভার। যে কোন কঠিন কাজকে কিভাবে সহজ করতে হয় তার সমাধানের জাদুর কাঠি তাঁর হাতেই আছে। বিপদে আপদে মানুষের কাজে ঝাঁপিয়ে পরে একজন সফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন ইউএনও রোকসানা মিতা। সরকারের নির্ধারিত কাজের বাইরেও ব্যক্তিগতভাবে অসংখ্য মানবিক কার্যক্রম সম্পাদন করায় উপজেলাবাসীর কাছে বিপদে-আপদে তার নামটি সবার আগে উচ্চারিত হয়। তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতা নন, জনপ্রতিনিধিও নন, তারপরও তার সততা কর্মস্পৃহা দায়িত্বশীলতা ও জনমানুষের প্রতি আন্তরিকতা তাকে বসিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (বিসিএস ক্যাডার) হয়েও সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কিভাবে আপনজনের মতো মিলে মিশে থাকতে হয়, তা তিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তার কর্মদক্ষতা, সততা, আন্তরিকতা ও সাহসিকতায় সকল শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন এক মহানুভবতার আইকন।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে দেখিয়েছেন চমক। তিনি উপজেলাবাসীর যে কোনো সমস্যা সমাধানে ও প্রয়োজনে, যেকোনো স্থানে পৌঁছে দেন তাৎক্ষণিক সেবা। যেন বিরতিহীন এক পথ চলা মানুষ। একজন সরকারী কর্মকর্তার কতোটা আন্তরিকতা ও মানবিকতা আছে যেটা রোকসানা মিতাকে না দেখলে, তার কার্যক্রমের কথা না শুনলে, বুঝতে পারবেন না। যার চিন্তা ও চেতনা উপজেলা বাসীদের নিয়ে। এই উপজেলা তাঁর আত্মার সাথে মিশে আছে, তার সকল স্বপ্ন এই উপজেলাকে নিয়ে। সরকার থেকে ঘোষিত আশ্রয়হীনকে আশ্রয়ের ঠিকানা তৈরি করে দেয়া। অসহায় মানুষের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া, অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তা প্রদান, বিষ্ণুপুর গ্রামের মাহাবুল-কল্পনা দম্পতি এক সাথে চার মেয়ে জন্ম দেয়ার পর ওই চার নবজাতক দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়াকে মাতৃস্নেহে বুকে তুলে নিয়ে তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও শিশুখাদ্যের ব্যবস্থা করা এবং চার নবজাতক কন্যার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দুটি ফলদ ও দুটি বনজ বৃক্ষরোপণ, বাচ্চা সহ গাভী গরু দান। ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, মাদকাসক্ত ও বিপথগামীদের আলোর পথে ফিরিয়ে আনা, ভেঙে যাওয়া সংসার জোড়া দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক ও বিশ্বাস স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালনসহ অসংখ্য মহতী কাজের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন, এভাবেই বিরতিহীন ভাবে চলছে তার পথ চলা।

ধারাবাহিক ভাবে এই সফলতার বিষয়ে জানতে চাইলে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন, আমার উপরে অর্পিত রাষ্ট্রের সকল আদেশ ও দায়িত্ব আমি সততা, স্বচ্ছতা, সাহসীকতা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করে চলেছি। আমি আমার কর্মজীবনে যেখানেই থাকিনা কেন, সকলের সাথে মিলে মিশে থাকতে চায়। বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে, একটি ডিজিটাল ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়তে রাষ্ট্রের দেয়া সকল আদেশ ও নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমি আমার কর্মজীবন যেখানেই কাটিয়েছি প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগীতা পেয়েছি এবং আগামীতেও পাবো বলে আমি বিশ্বাস করি। সকল প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ সন্মান দেয়ার মালিক। সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে, আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারি এই কামায় করি। পাশাপাশি দামুড়হুদা উপজেলাবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। উপজেলাবাসী সলক সময় সরকার কর্তৃক যে কোন ধরনের ঘোষনা মেনে চলবেন, রাষ্ট্রের

Tag :
জনপ্রিয়

মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনে টাকা চুরি হওয়া জোছনা পাগলীর পাশে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এন্ড সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন

দামুড়হুদা উপজেলাকে মমতাময়ী মায়ের মতো আগলে রেখেছেন ইউএনও রোকসানা মিতা

Update Time : ১১:৪৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

 

হাবিবুর রহমান হাবীবঃ দামুড়হুদা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভারত সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী এই জেলার সর্ব পশ্চিমে অবস্থিত দামুড়হুদা উপজেলা। ১০৭টি গ্রাম, ৭টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও ২টি থানা নিয়ে গঠিত দামুড়হুদা উপজেলা। এই উপজেলায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করেছেন। একটি উপজেলার সর্বোচ্চ পদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদ। এই মহান গুরুত্বপূর্ণ পদে অনেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন রোকসানা মিতা। তিনি এই উপজেলার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে দেখিয়ে দিয়েছেন মানুষকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। কিভাবে একটি কঠিন কাজকে খুব সহজেই সমাধান করতে হয়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একজন মমতাময়ী মায়ের মতো নিজের আঁচল দিয়ে আগলে রেখেছেন উপজেলাকে। বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তাঁর জুড়ি মেলে ভার। যে কোন কঠিন কাজকে কিভাবে সহজ করতে হয় তার সমাধানের জাদুর কাঠি তাঁর হাতেই আছে। বিপদে আপদে মানুষের কাজে ঝাঁপিয়ে পরে একজন সফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন ইউএনও রোকসানা মিতা। সরকারের নির্ধারিত কাজের বাইরেও ব্যক্তিগতভাবে অসংখ্য মানবিক কার্যক্রম সম্পাদন করায় উপজেলাবাসীর কাছে বিপদে-আপদে তার নামটি সবার আগে উচ্চারিত হয়। তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতা নন, জনপ্রতিনিধিও নন, তারপরও তার সততা কর্মস্পৃহা দায়িত্বশীলতা ও জনমানুষের প্রতি আন্তরিকতা তাকে বসিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (বিসিএস ক্যাডার) হয়েও সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কিভাবে আপনজনের মতো মিলে মিশে থাকতে হয়, তা তিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তার কর্মদক্ষতা, সততা, আন্তরিকতা ও সাহসিকতায় সকল শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন এক মহানুভবতার আইকন।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে দেখিয়েছেন চমক। তিনি উপজেলাবাসীর যে কোনো সমস্যা সমাধানে ও প্রয়োজনে, যেকোনো স্থানে পৌঁছে দেন তাৎক্ষণিক সেবা। যেন বিরতিহীন এক পথ চলা মানুষ। একজন সরকারী কর্মকর্তার কতোটা আন্তরিকতা ও মানবিকতা আছে যেটা রোকসানা মিতাকে না দেখলে, তার কার্যক্রমের কথা না শুনলে, বুঝতে পারবেন না। যার চিন্তা ও চেতনা উপজেলা বাসীদের নিয়ে। এই উপজেলা তাঁর আত্মার সাথে মিশে আছে, তার সকল স্বপ্ন এই উপজেলাকে নিয়ে। সরকার থেকে ঘোষিত আশ্রয়হীনকে আশ্রয়ের ঠিকানা তৈরি করে দেয়া। অসহায় মানুষের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া, অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তা প্রদান, বিষ্ণুপুর গ্রামের মাহাবুল-কল্পনা দম্পতি এক সাথে চার মেয়ে জন্ম দেয়ার পর ওই চার নবজাতক দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়াকে মাতৃস্নেহে বুকে তুলে নিয়ে তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও শিশুখাদ্যের ব্যবস্থা করা এবং চার নবজাতক কন্যার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দুটি ফলদ ও দুটি বনজ বৃক্ষরোপণ, বাচ্চা সহ গাভী গরু দান। ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, মাদকাসক্ত ও বিপথগামীদের আলোর পথে ফিরিয়ে আনা, ভেঙে যাওয়া সংসার জোড়া দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক ও বিশ্বাস স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালনসহ অসংখ্য মহতী কাজের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন, এভাবেই বিরতিহীন ভাবে চলছে তার পথ চলা।

ধারাবাহিক ভাবে এই সফলতার বিষয়ে জানতে চাইলে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন, আমার উপরে অর্পিত রাষ্ট্রের সকল আদেশ ও দায়িত্ব আমি সততা, স্বচ্ছতা, সাহসীকতা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করে চলেছি। আমি আমার কর্মজীবনে যেখানেই থাকিনা কেন, সকলের সাথে মিলে মিশে থাকতে চায়। বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে, একটি ডিজিটাল ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়তে রাষ্ট্রের দেয়া সকল আদেশ ও নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমি আমার কর্মজীবন যেখানেই কাটিয়েছি প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগীতা পেয়েছি এবং আগামীতেও পাবো বলে আমি বিশ্বাস করি। সকল প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ সন্মান দেয়ার মালিক। সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে, আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারি এই কামায় করি। পাশাপাশি দামুড়হুদা উপজেলাবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। উপজেলাবাসী সলক সময় সরকার কর্তৃক যে কোন ধরনের ঘোষনা মেনে চলবেন, রাষ্ট্রের