০৪:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরকীয়া সম্পর্কে অবনতি হওয়ায় শাহিনকে হত্যা করেন প্রবাসীর স্ত্রী

  • Update Time : ০৮:১০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩
  • 106

নাটোরের বড়াইগ্রামে পরকীয়ার সম্পর্কে অবনতি হওয়ায় শাহিন শাহকে (৪৫) হত্যা করেন প্রবাসীর স্ত্রী হোসনে আরা। এ ঘটনায় পুলিশ প্রবাসীর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও তাদের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে।

শনিবার দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।

নিহত শাহিন শাহ (৪৫) নাটোর সদর উপজেলার কাপুড়িয়া ইউনিয়নের দস্তানাবাদ গ্রামের নহের শাহের ছেলে।

পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, ওমান প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী অভিযুক্ত হোসনে আরার সঙ্গে শাহিন শাহর দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। তাদের সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরই জের ধরে অভিযুক্ত হোসনে আরা শাহিন শাহকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। একপর্যায়ে গত (৭ আগস্ট) রাতে শাহিন শাহকে অভিযুক্ত আসামি হোসনে আরার বাড়িতে গেলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।

পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযুক্ত হোসনে আরা শাহিনের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। খাবার খেয়ে শাহিন শাহ অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্ত হোসনে আরা গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শাহিনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে হোসনে আরা এবং তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম ইমন দুইজন মিলে তাদের বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে গর্ত করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. আক্তার হোসেন ফিরোজ শাহ্ বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় হোসনে আরা এবং তার সন্তান আশরাফুল ইসলাম ইমন বিরুদ্ধে লিখিতভাবে এজাহার দাখিল করলে পরে তা মামলা হিসেবে নেয়া হয়। পরে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন হোসনে আরা।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, বড়াইগ্রাম উপজেলার জলন্দা গ্রামের প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা (৩৫), তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম ইমন (১৪)।

গত ৭ আগস্ট থেকে ওই যুবক নিখোঁজ ছিলেন। পরে তার পরিবার বিষয়টি নাটোর সদর থানায় ও র‌্যাব নাটোর ক্যাম্পে জানান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রযুক্তির সহায়তায় জলন্দা গ্রামে ওমান প্রবাসী আইয়ুব আলীর বাড়িতে সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত করে। এর প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রবাসীর স্ত্রী হোসনে আরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি দেখিয়ে দেওয়া স্থান বাড়ির টিউবওয়েলের পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

Tag :
জনপ্রিয়

মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনে টাকা চুরি হওয়া জোছনা পাগলীর পাশে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এন্ড সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন

পরকীয়া সম্পর্কে অবনতি হওয়ায় শাহিনকে হত্যা করেন প্রবাসীর স্ত্রী

Update Time : ০৮:১০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩

নাটোরের বড়াইগ্রামে পরকীয়ার সম্পর্কে অবনতি হওয়ায় শাহিন শাহকে (৪৫) হত্যা করেন প্রবাসীর স্ত্রী হোসনে আরা। এ ঘটনায় পুলিশ প্রবাসীর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও তাদের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে।

শনিবার দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।

নিহত শাহিন শাহ (৪৫) নাটোর সদর উপজেলার কাপুড়িয়া ইউনিয়নের দস্তানাবাদ গ্রামের নহের শাহের ছেলে।

পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, ওমান প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী অভিযুক্ত হোসনে আরার সঙ্গে শাহিন শাহর দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। তাদের সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরই জের ধরে অভিযুক্ত হোসনে আরা শাহিন শাহকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। একপর্যায়ে গত (৭ আগস্ট) রাতে শাহিন শাহকে অভিযুক্ত আসামি হোসনে আরার বাড়িতে গেলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।

পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযুক্ত হোসনে আরা শাহিনের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। খাবার খেয়ে শাহিন শাহ অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্ত হোসনে আরা গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শাহিনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে হোসনে আরা এবং তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম ইমন দুইজন মিলে তাদের বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে গর্ত করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. আক্তার হোসেন ফিরোজ শাহ্ বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় হোসনে আরা এবং তার সন্তান আশরাফুল ইসলাম ইমন বিরুদ্ধে লিখিতভাবে এজাহার দাখিল করলে পরে তা মামলা হিসেবে নেয়া হয়। পরে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন হোসনে আরা।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, বড়াইগ্রাম উপজেলার জলন্দা গ্রামের প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা (৩৫), তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম ইমন (১৪)।

গত ৭ আগস্ট থেকে ওই যুবক নিখোঁজ ছিলেন। পরে তার পরিবার বিষয়টি নাটোর সদর থানায় ও র‌্যাব নাটোর ক্যাম্পে জানান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রযুক্তির সহায়তায় জলন্দা গ্রামে ওমান প্রবাসী আইয়ুব আলীর বাড়িতে সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত করে। এর প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রবাসীর স্ত্রী হোসনে আরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি দেখিয়ে দেওয়া স্থান বাড়ির টিউবওয়েলের পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।