স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা জেলার আলোকদিয়াতে অবস্থিত আত্মবিশ্বাস এনজিও তে কর্মরত কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামের ফজলুর ছেলে লম্পট জুনাইদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে কলেজ ছাত্রীকে নিয়মিত দেহভোগের অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে, লম্পট জুনাইদের সাথে নাটুদা ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীর সাথে বিগত ৯ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে(মেয়েটির মান সম্মানের কথা চিন্তা করে নাম পরিচয় গোপন করা হলো)।ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী জানান

প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে আমাকে নিয়মিত ভাবে দেহভোগ করেছে।বিভিন্ন পার্ক সহ বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে নিয়ে গিয়ে শারিরিক মেলামেশা করতো।আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে আমার পরিবারের সাথে কথা বলে ও একটি মোটরসাইকেল সহ গহনা দাবী করে। আমার পরিবার আমার কথা ও সম্মানের কথা চিন্তা করে তার দাবী মেনে নেই।গত শক্রুবার তার আমার বাড়িতে এসে বিয়ে করার কথা। সে মত আমাদের পরিবার আয়োজনও করে। কিন্তু হঠাৎ করে শক্রুবার সে জানাই আমাকে আর সে বিয়ে করবে না।সে যদি বিয়ে না করবে তবে কেন সে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষন করলো। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী আরো জানায় জুনাইদের সাথে তার সহযোগী হিসাবে নানান সময়ে তাকে সহযোগীতা করেছে সামসুলের ছেলে হেলাল,এজেরের ছেলে মফু,নহুর ছেলে আনোয়ার,ইস্রাফিল মল্লিকের ছেলে এনামুল।এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন।ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী আরো জানান অভিযোগ করার পর থেকে জুনাইদ সহ তার সহযোগীরা তাদের নানান ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে অভিযোগ তুলে নেবার জন্য। সে আমার যেকোন মূর্হুর্তে বড় ধরনের ক্ষতি সহ মেরে ফেলতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।স্থানীয় অনেকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী খুবই গরীব পরিবারের মেয়ে। তার ন্যায় বিচার পেতে মানবাধিকার সংগঠন গুলো সহ জেলা পুলিশের অভিভাবক চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।সেই সাথে আত্মবিশ্বাসের মত একটি সুনাম ধন্য এনজিওতে ওর মত লম্পট নারীলোভী ব্যাক্তি কর্মরত থাকলে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুন্ন সহ আরো নারী তার লোলুপ দৃষ্টির স্বীকার হয়ে ধর্ষনের স্বীকার হতে পারে বলে মনে করেন সচেতন মহল।তাকে চাকরি থেকে দ্রুত বরখাস্তের দাবী তুলো আত্মবিশ্বাস এনজিও কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।এ বিষয়ে জানতে জুনাইদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।জুনাইদের বাবা ফজলু জানান তার ছেলে সম্পর্ক করেছে যদি বিয়ে করে তাদের কোন আপত্তি নেই।ছেলে যদি বিয়ে না করে তবে আইনগত ভাবে যা হবে তাই মেনে নিতে হবে বলেও জানান তিনি