চুয়াডাঙ্গার অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে এক প্রেমিক যুগলের গলায় জুতার মালা পরিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে খাসকররা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাফসির আহম্মেদ লালসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলায় চেয়ারম্যান জামিন পেয়ে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বুধবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টায় বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলন চেয়ারম্যান তাফসির আহম্মেদ লাল অভিযোগ করে বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের তিওরবিলা গ্রামের পান্নানের (প্রবাসী) স্ত্রীর সাথে একই গ্রামের লালন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত ২৯ জুলাই গ্রামের শালিস সভায় আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত না থাকায় গ্রাম্য লোকজন ও মাতব্বরগণের সিদ্ধান্তে প্রেমিক জুটিকে জনসম্মুখে গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘুরানো হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনার পর আলমডাঙ্গা থানার খাসকররা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই ফরিদুল ইসলাম অজ্ঞাত কারণে আমার নির্বাচনে পরাজিত ব্যক্তিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাকে অপমান অপদস্থ সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন করার উদ্দেশে ১ জুলাই মঙ্গলবার ভোর ৪ টার দিকে আমার আলমডাঙ্গা ষ্টেশন পাড়ার বাড়িতে আসে। এ সময় আমার স্ত্রী ও কন্যাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরের আসবারপত্র ভাঙচুরসহ আলমারীতে রক্ষিত দুই লাখ টাকা নিয়ে যায়। পরে আমাকে উদ্দেশ্যে করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও ক্রস ফায়ারের হুমকি দেয়।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারম্যানের স্ত্রী নূরানী পারভেজ, কন্যা লাবন্য ও খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা।