০৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবহেলা ও অপচিকিৎসায় মৃত্যু শিমুলের। ন্যায়বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

 

“শিমুলের জন্য ন্যায়বিচার” দাবিতে শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মরহুম শামসুদ্দোহা শিমুলের স্ত্রী সাইমা সুলতানা। তিনি স্বামী শিমুলের মৃত্যুকে অবহেলা ও অপচিকিৎসাজনিত নির্মম পরিণতি বলে উল্লেখ করেন এবং জড়িত চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।সাইমা সুলতানা জানান, ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট দিবাগত রাতে রাজধানীর গ্রীন রোডে অবস্থিত কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নার্সিং হোমে নাকের সেপ্টোপ্লাস্টি অস্ত্রোপচারের সময় অধ্যাপক ডা. জাহীর আল-আমিন (বিএমডিসি রেজি নং- এ-১২৬৮৮) ও অ্যানেস্থেসিয়োলজিস্ট ডা. ইফতেযায়রুল কাওসার (বিএমডিসি রেজি নং- এ-৫৭৩৯০)-এর তত্ত্বাবধানে অপারেশন থিয়েটারেই শিমুলের মৃত্যু ঘটে। তিনি দাবি করেন, এটি চিকিৎসকদের চরম অবহেলা ও অদক্ষতার ফল।তিনি বলেন, “আমরা এসেছি ন্যায়ের দাবিতে, মানবতার স্বার্থে এবং ভবিষ্যতের শিমুলদের রক্ষা করতে। শিমুলের মৃত্যু শুধু একটি পরিবারের শোক নয়, এটি দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার নৈরাজ্যের প্রতিচ্ছবি।”শিমুলের স্ত্রীর অভিযোগ, মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, যা প্রক্রিয়াটিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহীর আল-আমিনের বিরুদ্ধে অতীতেও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ রয়েছে, যা তারা শিমুলের মৃত্যুর পর জানতে পারেন।

মরহুম শামসুদ্দোহা শিমুল ছিলেন বাংলাদেশের কর্পোরেট জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি এসিআই লজিস্টিকস (স্বপ্ন)-এর সাবেক পরিচালক এবং মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের সাবেক নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার উদ্যোগে বহু যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছিল। এই কর্মবীর এক নির্মম অবহেলার শিকার হয়ে অকালে বিদায় নেন।সাইমা সুলতানা বলেন, “মানুষ হাসপাতালে যায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার আশায়, কিন্তু শিমুল ফিরেছে নীরব, নিথর দেহ নিয়ে—যা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় কিভাবে একটি সম্ভাবনাময় জীবন অনায়াসে কেড়ে নেওয়া যায়।”সম্মেলনে উপস্থিত সকলে একমত হন যে, শিমুলের মৃত্যুর দায় কার, সেটি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

জনপ্রিয়

অবহেলা ও অপচিকিৎসায় মৃত্যু শিমুলের। ন্যায়বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

অবহেলা ও অপচিকিৎসায় মৃত্যু শিমুলের। ন্যায়বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

Update Time : ০৭:৩৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

“শিমুলের জন্য ন্যায়বিচার” দাবিতে শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মরহুম শামসুদ্দোহা শিমুলের স্ত্রী সাইমা সুলতানা। তিনি স্বামী শিমুলের মৃত্যুকে অবহেলা ও অপচিকিৎসাজনিত নির্মম পরিণতি বলে উল্লেখ করেন এবং জড়িত চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।সাইমা সুলতানা জানান, ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট দিবাগত রাতে রাজধানীর গ্রীন রোডে অবস্থিত কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নার্সিং হোমে নাকের সেপ্টোপ্লাস্টি অস্ত্রোপচারের সময় অধ্যাপক ডা. জাহীর আল-আমিন (বিএমডিসি রেজি নং- এ-১২৬৮৮) ও অ্যানেস্থেসিয়োলজিস্ট ডা. ইফতেযায়রুল কাওসার (বিএমডিসি রেজি নং- এ-৫৭৩৯০)-এর তত্ত্বাবধানে অপারেশন থিয়েটারেই শিমুলের মৃত্যু ঘটে। তিনি দাবি করেন, এটি চিকিৎসকদের চরম অবহেলা ও অদক্ষতার ফল।তিনি বলেন, “আমরা এসেছি ন্যায়ের দাবিতে, মানবতার স্বার্থে এবং ভবিষ্যতের শিমুলদের রক্ষা করতে। শিমুলের মৃত্যু শুধু একটি পরিবারের শোক নয়, এটি দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার নৈরাজ্যের প্রতিচ্ছবি।”শিমুলের স্ত্রীর অভিযোগ, মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, যা প্রক্রিয়াটিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহীর আল-আমিনের বিরুদ্ধে অতীতেও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ রয়েছে, যা তারা শিমুলের মৃত্যুর পর জানতে পারেন।

মরহুম শামসুদ্দোহা শিমুল ছিলেন বাংলাদেশের কর্পোরেট জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি এসিআই লজিস্টিকস (স্বপ্ন)-এর সাবেক পরিচালক এবং মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের সাবেক নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার উদ্যোগে বহু যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছিল। এই কর্মবীর এক নির্মম অবহেলার শিকার হয়ে অকালে বিদায় নেন।সাইমা সুলতানা বলেন, “মানুষ হাসপাতালে যায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার আশায়, কিন্তু শিমুল ফিরেছে নীরব, নিথর দেহ নিয়ে—যা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় কিভাবে একটি সম্ভাবনাময় জীবন অনায়াসে কেড়ে নেওয়া যায়।”সম্মেলনে উপস্থিত সকলে একমত হন যে, শিমুলের মৃত্যুর দায় কার, সেটি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।