০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় চোর সন্দেহে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেঁধে নির্যাতন: মূল আসামি সাইফুল গ্রেফতার

 

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী খালপাড়া গ্রামে চোর সন্দেহে একজন ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মোঃ সাইফুল ইসলাম কালুকে (৫২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই আলমগীর হোসেন ও ওসমানপুর পুলিশ ক্যাম্পের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হারদী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

 

জানাগেছে গত ১৮ এপ্রিল ভোররাতে। বাদী বজলুর রহমান (৪৬), কুমারী ফরাজী পাড়ার বাসিন্দা, তার মামার অসুস্থতার খবর পেয়ে হারদী দাসপাড়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ভোর আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে হারদী খালপাড়া এলাকায় পৌঁছে পূর্ব পরিচিত মামা সাইফুল ইসলামের বাড়িতে পানি খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করলে হঠাৎ সাইফুল তাকে “চোর” বলে চিৎকার করতে থাকেন। এতে আশেপাশের আরও ১৫-২০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে তাকে মারধর করে ও গাছে বেঁধে বাঁশের লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে নির্যাতন করে।

 

পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহত বজলুর রহমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় রুজু করা হয়।

 

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানায়, অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

জনপ্রিয়

মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনে টাকা চুরি হওয়া জোছনা পাগলীর পাশে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এন্ড সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন

আলমডাঙ্গায় চোর সন্দেহে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেঁধে নির্যাতন: মূল আসামি সাইফুল গ্রেফতার

Update Time : ০৬:১৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

 

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী খালপাড়া গ্রামে চোর সন্দেহে একজন ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মোঃ সাইফুল ইসলাম কালুকে (৫২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই আলমগীর হোসেন ও ওসমানপুর পুলিশ ক্যাম্পের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হারদী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

 

জানাগেছে গত ১৮ এপ্রিল ভোররাতে। বাদী বজলুর রহমান (৪৬), কুমারী ফরাজী পাড়ার বাসিন্দা, তার মামার অসুস্থতার খবর পেয়ে হারদী দাসপাড়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ভোর আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে হারদী খালপাড়া এলাকায় পৌঁছে পূর্ব পরিচিত মামা সাইফুল ইসলামের বাড়িতে পানি খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করলে হঠাৎ সাইফুল তাকে “চোর” বলে চিৎকার করতে থাকেন। এতে আশেপাশের আরও ১৫-২০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে তাকে মারধর করে ও গাছে বেঁধে বাঁশের লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে নির্যাতন করে।

 

পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহত বজলুর রহমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় রুজু করা হয়।

 

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানায়, অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।