০৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিকাশ প্রতারণা চক্রের দুই সদস্য দর্শনা থানা পুলিশের জালে আটক উদ্ধার মোবাইল ফোন ও নগদ ২৫,০০০ টাকা

 

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে বিকাশ প্রতারণা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন ও নগদ ২৫,০০০ টাকা জব্দ করা হয়।

 

চুয়াডাঙ্গার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর এর তত্ত্বাবধানে, দর্শনা থানার এসআই (নিঃ) মোঃ মাসুদুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।

 

অভিযানকালে ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রাত ১০:০০ ঘটিকায় দর্শনা থানাধীন পুরাতন বাজার ‘দোয়েল মেডিকেল হল’ এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের সদস্য মোঃ তাকবির ইসলাম রিয়াদ (৩০), পিতা– মোঃ তাইজুল ইসলাম, গ্রাম– দক্ষিণ চাঁদপুর (স্কুলপাড়া), থানা– দর্শনা, জেলা– চুয়াডাঙ্গাকে হাতেনাতে নগদ ২৫,০০০ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়।

 

পরবর্তীতে রিয়াদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বিশ্লেষণ করে প্রতারণা চক্রের মূলহোতা মোঃ স্বপন আলী হৃদয় (২৫), পিতা– মৃত জাবেদ সরদার, গ্রাম– মোহরকয়া (হল্ট কয়লারডর), থানা– লালপুর, জেলা– নাটোরকে শনাক্ত করে পুলিশ। ৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রাত ১:৩০ মিনিটে দর্শনা থানাধীন আকন্দবাড়ীয়া রায়পাড়া এলাকার মোঃ জাহিদুল ইসলামের বসতবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃত স্বপন আলী হৃদয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে। তিনি জানান, প্রতারণার মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা তাকবির ইসলাম রিয়াদের মাধ্যমে দর্শনা এলাকার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে নগদায়ন করে থাকেন। রিয়াদ তার অংশ রেখে অবশিষ্ট টাকা স্বপনের নিকট পাঠিয়ে দিতেন। তদন্তে জানা যায়, গত দুই মাসে এই চক্রটি প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার প্রতারণামূলক লেনদেন সম্পন্ন করেছে।

 

এ ঘটনায় দর্শনা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং পলাতক অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জব্দকৃত আলামত: ক) প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন

খ) নগদ ২৫,০০০ টাকা

 

দর্শনা থানা পুলিশের এই সফল অভিযানে চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও দৃঢ় হয়েছে।

 

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বিকাশ প্রতারণা চক্রের দুই সদস্য দর্শনা থানা পুলিশের জালে আটক উদ্ধার মোবাইল ফোন ও নগদ ২৫,০০০ টাকা

Update Time : ১২:২২:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে বিকাশ প্রতারণা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন ও নগদ ২৫,০০০ টাকা জব্দ করা হয়।

 

চুয়াডাঙ্গার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর এর তত্ত্বাবধানে, দর্শনা থানার এসআই (নিঃ) মোঃ মাসুদুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।

 

অভিযানকালে ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রাত ১০:০০ ঘটিকায় দর্শনা থানাধীন পুরাতন বাজার ‘দোয়েল মেডিকেল হল’ এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের সদস্য মোঃ তাকবির ইসলাম রিয়াদ (৩০), পিতা– মোঃ তাইজুল ইসলাম, গ্রাম– দক্ষিণ চাঁদপুর (স্কুলপাড়া), থানা– দর্শনা, জেলা– চুয়াডাঙ্গাকে হাতেনাতে নগদ ২৫,০০০ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়।

 

পরবর্তীতে রিয়াদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বিশ্লেষণ করে প্রতারণা চক্রের মূলহোতা মোঃ স্বপন আলী হৃদয় (২৫), পিতা– মৃত জাবেদ সরদার, গ্রাম– মোহরকয়া (হল্ট কয়লারডর), থানা– লালপুর, জেলা– নাটোরকে শনাক্ত করে পুলিশ। ৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রাত ১:৩০ মিনিটে দর্শনা থানাধীন আকন্দবাড়ীয়া রায়পাড়া এলাকার মোঃ জাহিদুল ইসলামের বসতবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃত স্বপন আলী হৃদয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে। তিনি জানান, প্রতারণার মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা তাকবির ইসলাম রিয়াদের মাধ্যমে দর্শনা এলাকার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে নগদায়ন করে থাকেন। রিয়াদ তার অংশ রেখে অবশিষ্ট টাকা স্বপনের নিকট পাঠিয়ে দিতেন। তদন্তে জানা যায়, গত দুই মাসে এই চক্রটি প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার প্রতারণামূলক লেনদেন সম্পন্ন করেছে।

 

এ ঘটনায় দর্শনা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং পলাতক অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জব্দকৃত আলামত: ক) প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন

খ) নগদ ২৫,০০০ টাকা

 

দর্শনা থানা পুলিশের এই সফল অভিযানে চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও দৃঢ় হয়েছে।