০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় নামাজরত বাবাকে কু-পিয়ে হ-ত্যা, মাদ্রাসাছাত্র ছেলে গ্রে-প্তার

মোঃ আব্দুল্লাহ হক চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পলাশপাড়ায় মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসাছাত্র ছেলে কে.এম. রিফাত (১৭) তার বাবা দোদুল হোসেনকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে। শনিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছেলেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করতেন বাবা দোদুল হোসেন। শনিবার তিনি ছেলের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির ভেতর নামাজরত অবস্থায় পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবার মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আঘাত করে রিফাত। ঘটনাস্থলেই দোদুল হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তারেক হাসান জানান, নিহতের শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছেলে রিফাতকে আটক করে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, “অভিযুক্ত রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পারিবারিক শাসন, প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং তরুণদের মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে এনেছে এ ঘটনা।

 

জনপ্রিয়

মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুই বন্ধু নি-হ-ত

চুয়াডাঙ্গায় নামাজরত বাবাকে কু-পিয়ে হ-ত্যা, মাদ্রাসাছাত্র ছেলে গ্রে-প্তার

Update Time : ০৬:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

মোঃ আব্দুল্লাহ হক চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পলাশপাড়ায় মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসাছাত্র ছেলে কে.এম. রিফাত (১৭) তার বাবা দোদুল হোসেনকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে। শনিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছেলেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করতেন বাবা দোদুল হোসেন। শনিবার তিনি ছেলের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির ভেতর নামাজরত অবস্থায় পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবার মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আঘাত করে রিফাত। ঘটনাস্থলেই দোদুল হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তারেক হাসান জানান, নিহতের শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছেলে রিফাতকে আটক করে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, “অভিযুক্ত রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পারিবারিক শাসন, প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং তরুণদের মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে এনেছে এ ঘটনা।