চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মেদিনীপুর ঘাড়কাটি মাঠের একটি বিল থেকে নিখোঁজ শিক্ষক সুজন আলী(৩০) গলিত লা*শ পুলিশ উদ্ধার করেছেন।
নিখোঁজ হওয়ার ২০ দিনের মাথায় শনিবার দুপুর সাড় ১২ টার দিকে পুলিশ এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে লা*শ*টি উদ্ধার করেন। পরিবারের সদস্যরা লা*শ*টি নিখোঁজ শিক্ষক সুজন আলীর বলে সনাক্ত করেন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মেদিনীপুর মাঠে ঘাড়কাঠি বিলে জনৈক সাহেদ আলী তরফদারের জমির জমির পানির মধ্যে কচুরিপানার ভিতরে মাঠে কাজ করা শ্রমিকেরা একটি গলিত লা*শ দেখতে পান। পুলিশ সংবাদটি পেয়ে গ*লি*ত অবস্থায় লা*শ*টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
লা*শ*টি ৯০ ভাগ পচে গলে যাওয়ায় সহজে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। লা*শ*টি প*চে গ*লে ক*ঙ্কা*লে পরিনত হয়েছে।
তবে আমার উক্ত ভাই অনেক আগে সড়ক দূ*র্ঘট*নায় আ*হ*ত হয়েছিল এবং তার শরীরে থাকা সার্জিক্যাল রড দেখে আমরা বুঝতে পারি লা*শ*টি আমার ভাই সুজন আলীর।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে মেদিনীপুর ঘাড়কাঠি নামক বিলের কচুরিপানার ভিতর থেকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গলিত লা*শ উদ্ধার করা হয়।
লা*শ দেখে আসলে সনাক্ত করার কোন উপায় নেই যে,লা*শ*টি কার।লা*শে*র বাম হাতে থাকা সার্জিক্যাল রড দেখে পরিবারের সদস্যদের বিশ্বাস লা*শ*টি কিন্ডার গার্টেন শিক্ষক সুজন আলীর। কিন্তু পরিক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া প্রকৃতপক্ষে লা*শ*টি কার তা সনাক্তকরণ সম্ভব নয়।
উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুস সবুর বলেন,সুজন আলী আমার আপন ছোট ভাই। আমার উক্ত ভাই জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।আমার উক্ত ভাই গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় জীবননগর পৌর এলাকার গোপালনগরের ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হয়।