১০:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাইকগাছায় শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা ও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত দর্জি কারিগররা

ঈদের কেনাকাটা,ও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত দর্জি কারিগররা।প্রথমদিকে কেনা কাটায় তেমন ভীড় না থাকলেও রমযানের শেষের দিকে দোকান গুলোতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

 পবিত্র মাহে রমজান পরিবার পরিজন নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদ পালনের জন্য পাইকগাছা উপজেলার ১০ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা বাজারগুলোতে চলছে কেনাকাটার উৎসব। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতারা তাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে খুঁজছেন ঈদের পোশাক। গত বছর সময়ের চাইতে এবার ব্যবসা বেশ ভালো হবে বলেও মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। অপর দিকে উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটের দর্জি ট্রেলার্স কারিগররা পাঞ্জাবি, ফতোয়া,শার্ট প্যান্ট তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পারকরছে।ক্রেতারা বলছেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়ছে ঈদের বাজারে।উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিত জমে উঠছে দোকান গুলোতে ঈদের কেনাকাটা। ঈদ মানে আনন্দ” ঈদ মানে চাই নতুন পোশাক। যার মধ্যে রয়েছে পাঞ্জাবী, শার্ট-প্যান্ট, জুতো, কসমেটিক্সসহ নিত্য প্রয়োজনীয় আরও অনেক কিছু। ক্রেতাদের কথা, ঈদের সময় কেনাকাটার মজাই আলাদা। সেই জন্মের পর থেকেই ঈদে কেনাকাটা চলছে। এ সময় সিয়াম সাধনার পাশাপাশি অন্য রকম আনন্দও বিরাজ করে।এখন ঈদের বাকী আর মাত্র ৪ থেকে ৫ দিন। এ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে কেনাকাটা শুরু হয়েছে। পাইকগাছা পৌর সদর বাজারের ছোট-বড় মার্কেট সহ অন্যান্য বাজারগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ লক্ষণীয়। ঈদে মহিলা ও শিশুদের পোশাকের চাহিদা বেশি বলে ব্যবসায়ীরা জানান, মহিলাদের পোশাকের মধ্যে থ্রী পিস, বোরকা, লেহেঙ্গা, হিজাব, স্কাপসহ সব ধরনের কাপড়ই ক্রেতারা কিনছেন। কেনাকাটায় শাড়ী বেচাকেনা থেমে নেই একদম। বিভিন্ন ধরণের শাড়ী কিনছেন ক্রেতারা।কসমেটিকস পণ্য বিক্রেতারা জানান, বেচাকেনা ক’দিন আগে একদমই ছিল না। আগের থেকে বর্তমানে বেচাকেনা বেশ বেড়েছে।ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, বিভিন্ন রেডিমেট কাপড় ও থ্রী পিসের দাম তুলনামূলকভাবে বেশী। তারা জানান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে ঈদের বাজারে। অনেকেই দামের কারণে পছন্দের পোশাক কিনতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই আবার ফুটপাত এবং হকার্স মার্কেট গুলোতে ভিড় করছেন। এই শ্রেণীর ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যবিত্ত ও স্বল্পআয়ের মানুষেরা।বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাক নিয়ে নিজেদের সাজিয়ে নিয়েছে উপজেলার ছোট বড় দোকানগুলো। স্বল্প আয়ের মানুষদের ভরসাস্থল ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা পিছিয়ে নেই জামা কাপড় জুতো স্যান্ডেল নিয়ে। জরি পাথর কাঁচ চুমকীর কাজ করা জমকালো পোশাক শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোয়। এছাড়াও অনেকেই পছন্দের কাপড় কিনে ভিড় জমাচ্ছেন দর্জি বাড়ি ও পছন্দের টেইলার্সে।পাইকগাছা পৌর সদরে বড় ব্যবসায়ী ফজলু ক্লথ ষ্টোরের স্বত্বাধিকারী বলেন, ঈদ যথ ঘনিয়ে আসছে ক্রেতারা কাপড়ের বিতান গুলিতে কেনাকাটায় ভীড় জমাচ্ছে। আমার গত বছরের চেয়ে এ বছর ব্যবসা ভালো হবে ইনশাআল্লাহ। আল মদিনা মার্কেট সানমুন ট্রেলার্স স্বত্বাধিকারী শেখ মাসুদুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এ ঈদে পাঞ্জাবি ফতোয়া, শার্ট প্যান্ট অর্ডার অনেক বেসি, আমার প্রতিষ্টানে কয়েকজন দর্জি নিয়োমিত গভীর রাত পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। ঈদের আগে সকল অডার ডেলিভারি দিব ইনশাআল্লাহ। 

 

Tag :
জনপ্রিয়

মেহেরপুরের এক ইউপি সদস্যের মৃত্যু  

পাইকগাছায় শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা ও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত দর্জি কারিগররা

Update Time : ০৮:০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

ঈদের কেনাকাটা,ও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত দর্জি কারিগররা।প্রথমদিকে কেনা কাটায় তেমন ভীড় না থাকলেও রমযানের শেষের দিকে দোকান গুলোতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

 পবিত্র মাহে রমজান পরিবার পরিজন নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদ পালনের জন্য পাইকগাছা উপজেলার ১০ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা বাজারগুলোতে চলছে কেনাকাটার উৎসব। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতারা তাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে খুঁজছেন ঈদের পোশাক। গত বছর সময়ের চাইতে এবার ব্যবসা বেশ ভালো হবে বলেও মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। অপর দিকে উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটের দর্জি ট্রেলার্স কারিগররা পাঞ্জাবি, ফতোয়া,শার্ট প্যান্ট তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পারকরছে।ক্রেতারা বলছেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়ছে ঈদের বাজারে।উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিত জমে উঠছে দোকান গুলোতে ঈদের কেনাকাটা। ঈদ মানে আনন্দ” ঈদ মানে চাই নতুন পোশাক। যার মধ্যে রয়েছে পাঞ্জাবী, শার্ট-প্যান্ট, জুতো, কসমেটিক্সসহ নিত্য প্রয়োজনীয় আরও অনেক কিছু। ক্রেতাদের কথা, ঈদের সময় কেনাকাটার মজাই আলাদা। সেই জন্মের পর থেকেই ঈদে কেনাকাটা চলছে। এ সময় সিয়াম সাধনার পাশাপাশি অন্য রকম আনন্দও বিরাজ করে।এখন ঈদের বাকী আর মাত্র ৪ থেকে ৫ দিন। এ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে কেনাকাটা শুরু হয়েছে। পাইকগাছা পৌর সদর বাজারের ছোট-বড় মার্কেট সহ অন্যান্য বাজারগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ লক্ষণীয়। ঈদে মহিলা ও শিশুদের পোশাকের চাহিদা বেশি বলে ব্যবসায়ীরা জানান, মহিলাদের পোশাকের মধ্যে থ্রী পিস, বোরকা, লেহেঙ্গা, হিজাব, স্কাপসহ সব ধরনের কাপড়ই ক্রেতারা কিনছেন। কেনাকাটায় শাড়ী বেচাকেনা থেমে নেই একদম। বিভিন্ন ধরণের শাড়ী কিনছেন ক্রেতারা।কসমেটিকস পণ্য বিক্রেতারা জানান, বেচাকেনা ক’দিন আগে একদমই ছিল না। আগের থেকে বর্তমানে বেচাকেনা বেশ বেড়েছে।ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, বিভিন্ন রেডিমেট কাপড় ও থ্রী পিসের দাম তুলনামূলকভাবে বেশী। তারা জানান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে ঈদের বাজারে। অনেকেই দামের কারণে পছন্দের পোশাক কিনতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই আবার ফুটপাত এবং হকার্স মার্কেট গুলোতে ভিড় করছেন। এই শ্রেণীর ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যবিত্ত ও স্বল্পআয়ের মানুষেরা।বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাক নিয়ে নিজেদের সাজিয়ে নিয়েছে উপজেলার ছোট বড় দোকানগুলো। স্বল্প আয়ের মানুষদের ভরসাস্থল ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা পিছিয়ে নেই জামা কাপড় জুতো স্যান্ডেল নিয়ে। জরি পাথর কাঁচ চুমকীর কাজ করা জমকালো পোশাক শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোয়। এছাড়াও অনেকেই পছন্দের কাপড় কিনে ভিড় জমাচ্ছেন দর্জি বাড়ি ও পছন্দের টেইলার্সে।পাইকগাছা পৌর সদরে বড় ব্যবসায়ী ফজলু ক্লথ ষ্টোরের স্বত্বাধিকারী বলেন, ঈদ যথ ঘনিয়ে আসছে ক্রেতারা কাপড়ের বিতান গুলিতে কেনাকাটায় ভীড় জমাচ্ছে। আমার গত বছরের চেয়ে এ বছর ব্যবসা ভালো হবে ইনশাআল্লাহ। আল মদিনা মার্কেট সানমুন ট্রেলার্স স্বত্বাধিকারী শেখ মাসুদুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এ ঈদে পাঞ্জাবি ফতোয়া, শার্ট প্যান্ট অর্ডার অনেক বেসি, আমার প্রতিষ্টানে কয়েকজন দর্জি নিয়োমিত গভীর রাত পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। ঈদের আগে সকল অডার ডেলিভারি দিব ইনশাআল্লাহ।