০১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যতিক্রমী উদ্যোগে বিগত ৫ বছর ধরে গ্রামের অসংখ্য রোজাদারদের পাশে কুলচারার যুবসমাজ

  • Update Time : ০৩:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • ১৮৮ Time View

স্টাফ রিপোর্টার: ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে বিগত ৫ বছর ধরে গ্রামের অসংখ্য রোজাদারদের পাশে থেকে প্রতিনিয়ত ইফতারির ব্যবস্থা করে চলেছেন কুলচারার মাঝের পাড়ার যুবসমাজ। কোন ব্যক্তি,সংস্থা বা কারোর দান দক্ষিণা নয় এ এলাকার যুব সমাজের উদ্যোগে রোজাদাররা নিজ নিজ উদ্যোগে যে যার মত আর্থিক সহায়তা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে ইফতারির ব্যবস্থা করে আসছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাধারণ মানুষের মুখে শুনে গতকাল সরেজমিনে যাওয়া হয় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন কুলচারার মাঝের পাড়ার বটতলা এলাকায়। আসরের নামাজের পরপরই সেখানে রোজাদারদের ভিড় জমে যায়। প্রায় শতাধিক রোজাদার মুসল্লিরা বিগত পাঁচ বছর ধরে এই বটতলায় এসে ইফতারি করেন এবং এখানেই জামাতের সহিত নামাজ আদায় করেন। এ বিষয়ে এই গ্রামের যুব উদ্যোক্তা রাফিউর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা কোন দাতা গোষ্ঠী, উচ্চবিত্ত মানুষের সহায়তা কিংবা কোনো সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে নয়, নিজ নিজ উদ্যোগে বিগত পাঁচ বছর ধরে এইভাবে রোজাদারদের ইফতারি করিয়ে আসছি। তিনি আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কুলচারা গ্রামের মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষদের সমন্বয়ে একদল যুবকের উদ্যোগে মাঝেরপাড়া বটতলায় ইফতারির পাশাপাশি এ এলাকার রোজাদারদের বাসায় বাসায় গিয়ে ইফতার পৌঁছে দেওয়া হয়। টানা ৫ম বারের মতো প্রতিদিন প্রায় ১৫০ পরিবারের ৪০০ জন রোজাদারদের ইফতারির ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। যাতে করে প্রত্যেক রোজাদার যেন ধনী-গরীব নির্বিশেষে একই ধরনের ইফতার খেতে পারে। ২০১৯ সালের ভয়াবহ করনা মহামারীর সময় থেকে অভাবগ্রস্থ মানুষের কথা চিন্তা করেই শুরু করা হয় এ কাজটি । আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি এই কাজটি যেন অব্যাহত রাখতে পারি। কিভাবে খরচ নির্বাহ করা হয় এমন প্রশ্নের জবাবে রাফিউর বলেন, গ্রামের সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্ত ও গরীব শ্রেনীর অনেকেই স্ব-ইচ্ছায় আর্থিক সহোযোগিতা করে যা প্রশংসার দাবিদার। 

ইফতারিতে অংশগ্রহণকারী এই গ্রামের আব্দুল গনি,আকবার আলী বিশ্বাস, মোজাম্মেল হক জানান,

 আমাদের যুবসমাজ ও এখানে যে সকল রোজাদাররা ইফতারি করতে আসেন তাদেরকে কোন দিন মুখ ফুটে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয় না। তারা নিজ উদ্যোগেই তাদের মত করে আমাদের এই ইফতারি ফান্ডে ইফতারি সামগ্রী জমা দিয়ে থাকেন। এমন রোজাদাররাও আছেন যারা কোনদিন আর্থিকভাবে বা ইফতারি সামগ্রী না দিয়েও ইফতারি করে আসছেন। আমরা তাদেরকে কোন সময় নিরুৎসাহিত করি না। 

প্রতিনিয়ত পাশে থেকে যারা প্রতিদিন শতাধিক পরিবারের রোজাদারদের ইফতারি আয়োজনে সহযোগিতা করে আসছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, আমানুর রহমান (সুপ্পা), রাফিউর রহমান (লিংকা),ফিটন বিশ্বাস,আশিক,উসমান,সাইমুম,হাবিবুর,ইয়াকিন,রমিজ,মমিন সহ আরো অনেকেই।

কুষ্টিয়ায় জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় এক কাউন্সিলর আটক

ব্যতিক্রমী উদ্যোগে বিগত ৫ বছর ধরে গ্রামের অসংখ্য রোজাদারদের পাশে কুলচারার যুবসমাজ

Update Time : ০৩:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার: ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে বিগত ৫ বছর ধরে গ্রামের অসংখ্য রোজাদারদের পাশে থেকে প্রতিনিয়ত ইফতারির ব্যবস্থা করে চলেছেন কুলচারার মাঝের পাড়ার যুবসমাজ। কোন ব্যক্তি,সংস্থা বা কারোর দান দক্ষিণা নয় এ এলাকার যুব সমাজের উদ্যোগে রোজাদাররা নিজ নিজ উদ্যোগে যে যার মত আর্থিক সহায়তা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে ইফতারির ব্যবস্থা করে আসছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাধারণ মানুষের মুখে শুনে গতকাল সরেজমিনে যাওয়া হয় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন কুলচারার মাঝের পাড়ার বটতলা এলাকায়। আসরের নামাজের পরপরই সেখানে রোজাদারদের ভিড় জমে যায়। প্রায় শতাধিক রোজাদার মুসল্লিরা বিগত পাঁচ বছর ধরে এই বটতলায় এসে ইফতারি করেন এবং এখানেই জামাতের সহিত নামাজ আদায় করেন। এ বিষয়ে এই গ্রামের যুব উদ্যোক্তা রাফিউর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা কোন দাতা গোষ্ঠী, উচ্চবিত্ত মানুষের সহায়তা কিংবা কোনো সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে নয়, নিজ নিজ উদ্যোগে বিগত পাঁচ বছর ধরে এইভাবে রোজাদারদের ইফতারি করিয়ে আসছি। তিনি আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কুলচারা গ্রামের মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষদের সমন্বয়ে একদল যুবকের উদ্যোগে মাঝেরপাড়া বটতলায় ইফতারির পাশাপাশি এ এলাকার রোজাদারদের বাসায় বাসায় গিয়ে ইফতার পৌঁছে দেওয়া হয়। টানা ৫ম বারের মতো প্রতিদিন প্রায় ১৫০ পরিবারের ৪০০ জন রোজাদারদের ইফতারির ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। যাতে করে প্রত্যেক রোজাদার যেন ধনী-গরীব নির্বিশেষে একই ধরনের ইফতার খেতে পারে। ২০১৯ সালের ভয়াবহ করনা মহামারীর সময় থেকে অভাবগ্রস্থ মানুষের কথা চিন্তা করেই শুরু করা হয় এ কাজটি । আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি এই কাজটি যেন অব্যাহত রাখতে পারি। কিভাবে খরচ নির্বাহ করা হয় এমন প্রশ্নের জবাবে রাফিউর বলেন, গ্রামের সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্ত ও গরীব শ্রেনীর অনেকেই স্ব-ইচ্ছায় আর্থিক সহোযোগিতা করে যা প্রশংসার দাবিদার। 

ইফতারিতে অংশগ্রহণকারী এই গ্রামের আব্দুল গনি,আকবার আলী বিশ্বাস, মোজাম্মেল হক জানান,

 আমাদের যুবসমাজ ও এখানে যে সকল রোজাদাররা ইফতারি করতে আসেন তাদেরকে কোন দিন মুখ ফুটে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয় না। তারা নিজ উদ্যোগেই তাদের মত করে আমাদের এই ইফতারি ফান্ডে ইফতারি সামগ্রী জমা দিয়ে থাকেন। এমন রোজাদাররাও আছেন যারা কোনদিন আর্থিকভাবে বা ইফতারি সামগ্রী না দিয়েও ইফতারি করে আসছেন। আমরা তাদেরকে কোন সময় নিরুৎসাহিত করি না। 

প্রতিনিয়ত পাশে থেকে যারা প্রতিদিন শতাধিক পরিবারের রোজাদারদের ইফতারি আয়োজনে সহযোগিতা করে আসছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, আমানুর রহমান (সুপ্পা), রাফিউর রহমান (লিংকা),ফিটন বিশ্বাস,আশিক,উসমান,সাইমুম,হাবিবুর,ইয়াকিন,রমিজ,মমিন সহ আরো অনেকেই।