০১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধর জীবন্ত ইতিহাসর সাক্ষী বধ্যভুমিগুলা।

  • Update Time : ০৫:২৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৯১ Time View

 

মোঃ আব্দুল্লাহ হক, চুয়াডাঙ্গা :

সারাদেশে বধ্যভূমির সংখ্যা থাকলও চুয়াডাঙ্গা জেলায় বধ্যভূমির সংখ্যা যন একটু বেশিই। যুদ্ধকালীন গ্রামর বিভিন বাড়িত আগুন ধরিয়ে এবং নির্বিচার মানুষক গুলি কর হত্যা কর। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালর পছন, নাটুদহ,, জীবননগরর ধাপাখালী গণকবর, মদনার হবৎপুর গ্রাম পাঁচকবর, নাটুদহর আটকবর, আলমডাঙ্গার লালব্রিজ সংলগ বধ্যভমি মুক্তিযুদ্ধর ভয়াবহ স্মতি বহন করছ।

চুয়াডাঙ্গা জলার আলমডাঙ্গায় বধ্যভমি ১৯৭১ সালর গণহত্যার নিদর্শন। আলমডাঙ্গার কুমার নদর ওপর লালব্রিজর দুপাশ ছিল পাকিস্তানী বাহিনীর ক্যাম্প। রেললাইনে খুলনাগামী ডাউন অর্থাৎ লালব্রিজর আলমডাঙ্গার পাশ ১টা ও নদর অপর পাড় কুষ্টিয়ার দিক কালিদাসপুর আরকটা ক্যা¤প ছিল। আপর দিক আসা ট্রন লালব্রিজর আলমডাঙ্গা মাথায় দাঁড় করাত পাক বাহিনী। অন্যদিক, যাওয়া ট্রন লালব্রিজর কালিদাসপুর প্রা দাঁড় করিয় নিরপরাধ যাত্রীদর ধরে ধরে নিয় যেত। অকথ্য নির্যাতন শষ নির্মমভাব হত্যা কর লাশ এ বধ্যভমিত ফল রাখত। মুক্তিযুদ্ধকালীন পাক ঘাতকরা ট্রন থামিয় স্বাধীনতাকামী প্রায় ২ হাজার নারী-পুরুষ হত্যা কর রলব্রিজর পাশ ওয়াপদা ভবনর বাউন্ডারির মধ্য ও পার্শ্ববর্তী দুটি বধ্যভমিত ফল রাখ। এ গণহত্যার প্রধান ছিলেন মজর রানা, মেজর আজম খান, ক্যাপ্টন নকডি ও হাবিলদার এনায়ত। এই লালব্রিজ স্বাধীনতা যুদ্ধর সময় ব্যাপক হত্যাকান্ড ও বাঙালি নর-নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতনর সাক্ষী হয় দাঁড়িয় আছ। বিশষ কর ১৯৭১ সালর জুন থক ৭ ডিসম্বর পর্যÍ নারকীয় নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালানা হয় । সই সময় এখান পানি উনয়ন বার্ডর হলুদ খালাসি ঘর ছিল। এ কক্ষই স্বাধীনতাকামী যুবক, নারী-পুরুষক নির্যাতন কর হত্যা করা হতা। স স্মতি স্মরণ রখ চুয়াডাঙ্গা ১ আসনর এমপি বীর মুক্তিযাদ্ধা সোলায়মান ছেলুনের নেতৃত্ব এখান বধ্যভূমি স্মতিস্তম্ভ ও কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। টর্চার সল নামক সই হলুদ কক্ষটি ঘিরে এখন বধ্যভমির স্তম্ভ বা কমপ্লেক্স। প্রতি দিন দর্শনার্থীরা আলমডাঙ্গা রলস্টশনর লালব্রিজর কাছের এ বধ্যভূমিত আসেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ পাকিস্তানী ও রাজাকারদর নারকীয় তান্ডবর ধংসলীলা দেখ যান। ২০০৯ সাল পাকবাহিনীর বাঙালি জাতির ওপর জঘন্যতম এ নির্যাতনর ইতিহাস নতুন প্রজন্মর কাছ তুল ধরত আলমডাঙ্গা বধ্যভমি সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন কমিটি বধ্যভমি স্মতিস্তম্ভ নির্মাণর উদ্যাগ নয়। ২০১২ সাল নির্মাণ করা হয় এ স্মতিস্তম্ভ। দশ স্বাধীন হওয়ার পর এ বধ্যভমির গর্ত পাওয়া গছ শত শত মাথার খুলি ও হাড়।

স্মতিস্তম্ভর দয়াল নানা ধরনর ভাষ্কর্য। সামনের সবুজ ঘাসর আঙিনায় রয়েছ বিখ্যাত শহীদদর ভাষ্কর্য মিউজিয়ামর ভিতর আছ আরা কিছু ভাস্কর্য। এছাড়া ১৭৫৭ সাল থক ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালির ধারাবাহিক মুক্তিসংগ্রামর সচিত্র ছবিও কমপ্লক্স পাওয়া যাবে

Tag :
জনপ্রিয়

ভালো মানুষ  —- রফিকুল ইসলাম 

মুক্তিযুদ্ধর জীবন্ত ইতিহাসর সাক্ষী বধ্যভুমিগুলা।

Update Time : ০৫:২৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

 

মোঃ আব্দুল্লাহ হক, চুয়াডাঙ্গা :

সারাদেশে বধ্যভূমির সংখ্যা থাকলও চুয়াডাঙ্গা জেলায় বধ্যভূমির সংখ্যা যন একটু বেশিই। যুদ্ধকালীন গ্রামর বিভিন বাড়িত আগুন ধরিয়ে এবং নির্বিচার মানুষক গুলি কর হত্যা কর। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালর পছন, নাটুদহ,, জীবননগরর ধাপাখালী গণকবর, মদনার হবৎপুর গ্রাম পাঁচকবর, নাটুদহর আটকবর, আলমডাঙ্গার লালব্রিজ সংলগ বধ্যভমি মুক্তিযুদ্ধর ভয়াবহ স্মতি বহন করছ।

চুয়াডাঙ্গা জলার আলমডাঙ্গায় বধ্যভমি ১৯৭১ সালর গণহত্যার নিদর্শন। আলমডাঙ্গার কুমার নদর ওপর লালব্রিজর দুপাশ ছিল পাকিস্তানী বাহিনীর ক্যাম্প। রেললাইনে খুলনাগামী ডাউন অর্থাৎ লালব্রিজর আলমডাঙ্গার পাশ ১টা ও নদর অপর পাড় কুষ্টিয়ার দিক কালিদাসপুর আরকটা ক্যা¤প ছিল। আপর দিক আসা ট্রন লালব্রিজর আলমডাঙ্গা মাথায় দাঁড় করাত পাক বাহিনী। অন্যদিক, যাওয়া ট্রন লালব্রিজর কালিদাসপুর প্রা দাঁড় করিয় নিরপরাধ যাত্রীদর ধরে ধরে নিয় যেত। অকথ্য নির্যাতন শষ নির্মমভাব হত্যা কর লাশ এ বধ্যভমিত ফল রাখত। মুক্তিযুদ্ধকালীন পাক ঘাতকরা ট্রন থামিয় স্বাধীনতাকামী প্রায় ২ হাজার নারী-পুরুষ হত্যা কর রলব্রিজর পাশ ওয়াপদা ভবনর বাউন্ডারির মধ্য ও পার্শ্ববর্তী দুটি বধ্যভমিত ফল রাখ। এ গণহত্যার প্রধান ছিলেন মজর রানা, মেজর আজম খান, ক্যাপ্টন নকডি ও হাবিলদার এনায়ত। এই লালব্রিজ স্বাধীনতা যুদ্ধর সময় ব্যাপক হত্যাকান্ড ও বাঙালি নর-নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতনর সাক্ষী হয় দাঁড়িয় আছ। বিশষ কর ১৯৭১ সালর জুন থক ৭ ডিসম্বর পর্যÍ নারকীয় নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালানা হয় । সই সময় এখান পানি উনয়ন বার্ডর হলুদ খালাসি ঘর ছিল। এ কক্ষই স্বাধীনতাকামী যুবক, নারী-পুরুষক নির্যাতন কর হত্যা করা হতা। স স্মতি স্মরণ রখ চুয়াডাঙ্গা ১ আসনর এমপি বীর মুক্তিযাদ্ধা সোলায়মান ছেলুনের নেতৃত্ব এখান বধ্যভূমি স্মতিস্তম্ভ ও কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। টর্চার সল নামক সই হলুদ কক্ষটি ঘিরে এখন বধ্যভমির স্তম্ভ বা কমপ্লেক্স। প্রতি দিন দর্শনার্থীরা আলমডাঙ্গা রলস্টশনর লালব্রিজর কাছের এ বধ্যভূমিত আসেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ পাকিস্তানী ও রাজাকারদর নারকীয় তান্ডবর ধংসলীলা দেখ যান। ২০০৯ সাল পাকবাহিনীর বাঙালি জাতির ওপর জঘন্যতম এ নির্যাতনর ইতিহাস নতুন প্রজন্মর কাছ তুল ধরত আলমডাঙ্গা বধ্যভমি সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন কমিটি বধ্যভমি স্মতিস্তম্ভ নির্মাণর উদ্যাগ নয়। ২০১২ সাল নির্মাণ করা হয় এ স্মতিস্তম্ভ। দশ স্বাধীন হওয়ার পর এ বধ্যভমির গর্ত পাওয়া গছ শত শত মাথার খুলি ও হাড়।

স্মতিস্তম্ভর দয়াল নানা ধরনর ভাষ্কর্য। সামনের সবুজ ঘাসর আঙিনায় রয়েছ বিখ্যাত শহীদদর ভাষ্কর্য মিউজিয়ামর ভিতর আছ আরা কিছু ভাস্কর্য। এছাড়া ১৭৫৭ সাল থক ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালির ধারাবাহিক মুক্তিসংগ্রামর সচিত্র ছবিও কমপ্লক্স পাওয়া যাবে