১২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্লিনিকের বিল দিতে নবাগত সন্তানকে বিক্রি করলেন মা

  • Update Time : ০৬:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 283

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সাত দিনের ছেলেকে বিক্রি করেছে মা। দারিদ্র্যের অজুহাতে ও স্বামীকে অপমান করে মাত্র ৫৫ হাজার টাকায় নবজাতককে বিক্রি করেছেন কোকিলা হাতুন নামের এক নারী। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে।জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর বিকেলে কালীগঞ্জের ডাক্তার ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলের জন্ম দেন কোকিলা। তারপর শিশুটিকে বিক্রি করে দেন। এ ঘটনায় কোকিলার স্বামী আকাশ আলী বাদী হয়ে উপজেলার হেলে গ্রামের সোহাগ হোসেনসহ অজ্ঞাত দুইজনের পক্ষে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নবজাতককে উদ্ধার করে পুলিশ। কালীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু আজিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আসামীর মা কোকিলা হাতুন বলেন, আমি উদাসীনতার কারণে ছেলেকে বিক্রি করে দিয়েছি এবং আমার স্ত্রীর দ্বারা অপমানিত হয়েছি। আরেকটা বিয়ের কারণে আমার স্ত্রী আমার কথা জিজ্ঞেস করে না। ক্লিনিকের খরচ চালাতে বাচ্চাদের বিক্রি করা ছাড়া আমার কোনো উপায় ছিল না।

নবজাতকটি কিনেছেন উপজেলার হেলে গ্রামের সোহাগ আলী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কোনো সন্তান নেই। আমি বাচ্চাটাকে তার মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নিলাম তাকে মানুষ করার জন্য। শিশুটির মা ও দাদিসহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পসহ ৫৫০০০/= টাকায় কিনেছি। এরপর পুলিশের নির্দেশে শিশুটিকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করি।

নিউজ: যমুনা টেলিভিশন অনলাইন।

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

ক্লিনিকের বিল দিতে নবাগত সন্তানকে বিক্রি করলেন মা

Update Time : ০৬:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সাত দিনের ছেলেকে বিক্রি করেছে মা। দারিদ্র্যের অজুহাতে ও স্বামীকে অপমান করে মাত্র ৫৫ হাজার টাকায় নবজাতককে বিক্রি করেছেন কোকিলা হাতুন নামের এক নারী। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে।জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর বিকেলে কালীগঞ্জের ডাক্তার ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলের জন্ম দেন কোকিলা। তারপর শিশুটিকে বিক্রি করে দেন। এ ঘটনায় কোকিলার স্বামী আকাশ আলী বাদী হয়ে উপজেলার হেলে গ্রামের সোহাগ হোসেনসহ অজ্ঞাত দুইজনের পক্ষে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নবজাতককে উদ্ধার করে পুলিশ। কালীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু আজিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আসামীর মা কোকিলা হাতুন বলেন, আমি উদাসীনতার কারণে ছেলেকে বিক্রি করে দিয়েছি এবং আমার স্ত্রীর দ্বারা অপমানিত হয়েছি। আরেকটা বিয়ের কারণে আমার স্ত্রী আমার কথা জিজ্ঞেস করে না। ক্লিনিকের খরচ চালাতে বাচ্চাদের বিক্রি করা ছাড়া আমার কোনো উপায় ছিল না।

নবজাতকটি কিনেছেন উপজেলার হেলে গ্রামের সোহাগ আলী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কোনো সন্তান নেই। আমি বাচ্চাটাকে তার মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নিলাম তাকে মানুষ করার জন্য। শিশুটির মা ও দাদিসহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পসহ ৫৫০০০/= টাকায় কিনেছি। এরপর পুলিশের নির্দেশে শিশুটিকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করি।

নিউজ: যমুনা টেলিভিশন অনলাইন।