মেহেরপুরে কৃষকরা সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আবাদি জমি ছাড়াও বাড়ির আঙিনায় চাষ করছেন মৌসুমি সবজি। এতে তারা নিজদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন।
সবজি চাষে ঘুরে গেছে মেহেরপুরের কৃষকদের ভাগ্যের চাকা। উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে নিজেদের অবস্থার পরিবর্তনের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন জেলার কৃষকরা। অল্প সময়ে ফসলের বাম্পার ফলনে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ফিরেছে চাঙা ভাব।
সরজমিনে দেখা গেছে, জেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ হচ্ছে। শীত মৌসুমে বাঁধাকপির ভালো ফলন হয়। এ মৌসুমে আগাম ও নাবি দু’ভাবেই চাষ হয়ে থাকে। এছাড়া গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালেও বাঁধাকপি চাষ করা হয়।
জেলার গাংনী উপজেলার সাহারবাটী গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে আগাম এফ ওয়ান সানমুন প্লাস হাইব্রিড জাতের গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষ করেছি। আগাম চাষে খরচ একটু হয়ে থাকে। বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে বাজারমূল্য ভালো পাওয়া যায়। এতে বিঘাপ্রতি এক লাখ টাকার বেশি বাঁধাকপি বেচা যায়। এই বাঁধাকপি সংগ্রহরে পর আবার শীতকালীন সবজি চাষ করা যাবে ঐ জমিতে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার ইসলামনগর গ্রামের সবজি চাষি সবুজ হোসেন বলেন, প্রতি বছর সবজি বিক্রি করে ভালো লাভ পাই। সেই টাকা দিয়ে আবার ক্ষেতে আগাম বাঁধাকপি এবং ফুলকপির চাষ করেছি। আগাম সবজি চাষে খরচের তুলনায় দ্বিগুণ লাভ হয়।
জেলা কৃষি বীজ প্রত্যায়ন অফিসার রঞ্জন কুমার ভৌমিক জানান, মেহেরপুরের মাটি উর্বর। এ জেলায় প্রায় সারা বছর বিভিন্ন সবজির চাষ করে থাকেন কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়া, সার-কীটনাশকের সহজ লভ্যতা এবং কৃষি বিভাগের সুষ্ঠু মনিটরিংয়ের কারণে কয়েক বছর এ অঞ্চলে সবজির আবাদ ভালো হচ্ছে। ভালো দামের কারণে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। এ বছর এক হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
















