খন্দকার শাহ আলম মন্টুঃ আলমডাঙ্গা পৌরসভার পাশ্ববর্তী ফরিদপুর গ্রামের মীর সামসুল ছরোয়ার সাহেবের মেজ ছেলে মীর আবু তৌহিদ (রেন্টু) ১৯৯৫ সালে আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি, ১৯৯৭ সালে আলমডাঙ্গা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে ২০০১ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ২০০২ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বিসিএস ২৫তম ব্যাচে উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশে চাকুরিতে যোগদান করেন।
২০২২ সালের ৩রা আগষ্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক আদেশে মীর আবু তৌহিদ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার পদে যোগদান করে অদ্যবধি অত্যন্ত সততা, পেশাদারীত্ব ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
রাঙ্গামাটিতে বদলি হওয়ার পূর্বে দীর্ঘদিন তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখায় উগ্রপন্থা দমন, সাইবার নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি নির্ভর পুলিশিং এর উপর বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
এই মেধাবী কর্মকর্তা ২০১৩ সালে আইভরিকোষ্ট ও মালি-তে এবং ২০১৭ সালে সুদানের দারফুরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তিনি শান্তিরক্ষা পদকেও ভূষিত হন। এছাড়াও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজে পরপর দু বছর বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল) অর্জন করেন এই অপরিমেয় মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়াও ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০১৫ এবং ২০২১ সালে আইজিপি পদক লাভ করেন।
এলাকার প্রতি সামাজিক দায়িত্ব পালনেও তৌহিদ অনন্য দৃষ্টান্ত। আলমডাঙ্গার প্রায় সকল বয়সী ও শ্রেণীর মানুষের সাথে তার যোগাযোগ ও নানান রকম সহযোগিতার বিষয়ে বিশেষ সুনাম রয়েছে। এলাকার উন্নয়নেও এই কৃতি সন্তানের কাছে মানুষের রয়েছে সর্বাত্মক প্রত্যাশা। ইতোমধ্যেই সে তার নিজ গ্রামে দৃষ্টিনন্দন বৃহৎ ঈদগাহ নির্মাণসহ স্থানীয় মসজিদের আধুনিক সংস্কারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। নিজের বেলগাছী ইউনিয়নের প্রায় সকল রাস্তা পাকা করার পিছনেও তার রয়েছে বিশাল সহযোগিতা। মানুষের যেকোন বিপদে সে সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
মীর আবু তৌহিদ ২০১০ সালে আলমডাঙ্গা ষ্টেশনরোড নিবাসী ইতালী প্রবাসী মোহা: হাফিজুর রহমান ডাব্লু মিয়ার বড় মেয়ে লাক্সমীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। বড় মেয়ে অর্শিয়া ঢাকার হলিক্রস স্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী এবং ছোট মেয়ে উমাইজার বয়স দুই বছর। স্ত্রী লাক্সমী ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ(অনার্স) এবং এমবিএম পাশ করে বর্তমানে গৃহিনী
আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানায় উদীয়মান ও এলাকার প্রতি আন্তরিক এই কৃতি সন্তানকে। সংগ্রহঃ- খন্দকার হাবিবুল করিম চনচল।