দামুড়হুদায় অবশেষে পাওয়া গেলো মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে যাওয়া নিখোঁজ বৃদ্ধার লাশ। রোববার দিবাগত রাত ১ টার দিকে উপজেলার পার কৃষ্ণপুর ব্রিজের নিচে বৃদ্ধা নারীর লাশ পাওয়া যাই। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও রোখসানা মিতা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
খুলনার ডুবুরী এবং দামুড়হুদা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা টানা দুই দিন মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে যাওয়া নিখোঁজ বৃদ্ধাকে খুঁজেও কোন হদিস করতে পারেনি। পরে তারা উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করে করে চলে যান। ৩৬ ঘন্টা পর স্থানীয় ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পারকৃষ্টপুর ব্রীজের নিচে থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে দর্শনা থানার পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন। গতকাল সকাল ৯ টার সময় জানাজা শেষে পুরাতন বাস্তপুর কবরস্থানে দাফন সম্পন করা হয়
গত শনিবার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের পশ্চিম পড়ার জুবান বিশ্বাসের স্ত্রী জায়েদা খাতুন বাড়ির অদূরে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দুইদিন পরে পানিতে তার লাশ ভেসে উঠলে পরিবারের লোকজন তাকে শনাক্ত করেন। সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও রোকসানা মিতা বলেন, দামুড়হুদা উপজেলায় মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামের জনৈক বৃদ্ধা জায়িদা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদেরকে সমবেদনা জানানো হয় এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। চলমান বর্ষা মৌসুমে নদীতে প্রবল স্রোত বিদ্যমান থাকায় এরুপ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে সকলকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
আরিফুল ইসলাম মিলন
দামুড়হুদা প্রতিনিধি
মোবা: ০১৯১১২০৭২৪৬