১২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডুতে এক স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল,শহরজুড়ে সমালোচনা

  • Update Time : ০৯:৩০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
  • 95

 

হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) থেকে রাব্বুল হুসাইন: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এক মহিলার সাথে স্কুল শিক্ষকের অবাধ যৌনাচারের একাধিক ছবি ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এতে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী ও সচেতন মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।জানাগেছে,উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের তৈলটুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও এক প্রবাসীর স্ত্রীর অবাধ যৌনাচারের অন্তত ৫ টি অশ্লীল ছবি শহরের সচেতন মহোলের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে।

স্কুল শিক্ষকের এমন আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একজন শিক্ষকের এ ধরণের অ-সামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে।তেমন অপরদিকে,অনৈতিক কাজে লিপ্ত শিক্ষককে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বরখাস্ত অথবা বহিষ্কার না করায় বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক- কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।বিবাহ বহির্ভূত অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত এবং সেটা ভাইরাল হয়ে শহরের অধিকাংশ মানুষের কাছে থাকার পরও তিনি কিভাবে তার দায়িত্বে বহাল থাকেন সে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।

একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন,ঐ শিক্ষকের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাবো না।বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঐ শিক্ষকের ক্লাশ বর্জন করেছেন বলে জানা যায়।তৈলটুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুজন সিনিয়র শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। কোনো শিক্ষক এমনটা করতে পারে তা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি না। কোথাও মুখ দেখাতে পারছি না। আমাদের প্রতিষ্ঠানে আমাদের এমন একজন সহকর্মী আছে এটা ভাবতেই আমরা লজ্জা পাচ্ছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,ভাই যা হবার হয়ে গেছে। আমার ইজ্জত সম্মান আপনি বাঁচান।এ বিষয়ে তৈলটুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অবিভাবক আমাকে এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। ভাইরাল ছবির মেয়েটা তো বিদ্যালয়ের কেউ না। তাহলে অবিভাবকরা কেন তাদের সন্তানদের পাঠাতে ভয় পাবে। তবে এমন শিক্ষক বিদ্যালয়ে থাকাটা অস্বস্হির। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন,বিষয়টি এ ধরনের হয়ে থাকলে তা খুবই খারাপ। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাথে আমি দ্রুত কথা বলে কি ব্যবস্হা গ্রহন করা যায় তা দেখব।

Tag :
জনপ্রিয়

আলমডাঙ্গায় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

হরিণাকুণ্ডুতে এক স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল,শহরজুড়ে সমালোচনা

Update Time : ০৯:৩০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

 

হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) থেকে রাব্বুল হুসাইন: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এক মহিলার সাথে স্কুল শিক্ষকের অবাধ যৌনাচারের একাধিক ছবি ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এতে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী ও সচেতন মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।জানাগেছে,উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের তৈলটুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও এক প্রবাসীর স্ত্রীর অবাধ যৌনাচারের অন্তত ৫ টি অশ্লীল ছবি শহরের সচেতন মহোলের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে।

স্কুল শিক্ষকের এমন আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একজন শিক্ষকের এ ধরণের অ-সামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে।তেমন অপরদিকে,অনৈতিক কাজে লিপ্ত শিক্ষককে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বরখাস্ত অথবা বহিষ্কার না করায় বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক- কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।বিবাহ বহির্ভূত অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত এবং সেটা ভাইরাল হয়ে শহরের অধিকাংশ মানুষের কাছে থাকার পরও তিনি কিভাবে তার দায়িত্বে বহাল থাকেন সে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।

একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন,ঐ শিক্ষকের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাবো না।বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঐ শিক্ষকের ক্লাশ বর্জন করেছেন বলে জানা যায়।তৈলটুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুজন সিনিয়র শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। কোনো শিক্ষক এমনটা করতে পারে তা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি না। কোথাও মুখ দেখাতে পারছি না। আমাদের প্রতিষ্ঠানে আমাদের এমন একজন সহকর্মী আছে এটা ভাবতেই আমরা লজ্জা পাচ্ছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,ভাই যা হবার হয়ে গেছে। আমার ইজ্জত সম্মান আপনি বাঁচান।এ বিষয়ে তৈলটুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অবিভাবক আমাকে এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। ভাইরাল ছবির মেয়েটা তো বিদ্যালয়ের কেউ না। তাহলে অবিভাবকরা কেন তাদের সন্তানদের পাঠাতে ভয় পাবে। তবে এমন শিক্ষক বিদ্যালয়ে থাকাটা অস্বস্হির। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন,বিষয়টি এ ধরনের হয়ে থাকলে তা খুবই খারাপ। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাথে আমি দ্রুত কথা বলে কি ব্যবস্হা গ্রহন করা যায় তা দেখব।