০২:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামীকাল চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ০৫:৩৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯
  • ২১৬ Time View

শাপলা বাংলা ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন আগামীকাল সোমবার। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের আমন্ত্রণে পাঁচদিনের সরকারি সফরে চীনের দালিয়ানের উদ্দেশে তিনি এদিন ঢাকা ত্যাগ করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট (বিজি ১৭২০) আগামীকাল বিকেলে দালিয়ানের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। বিমানটি ২ জুলাই স্থানীয় সময় ১২টা ২৫ মিনিটে লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ানের দালিয়ান ঝৌশুজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা শেষে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে শাংগ্রি-লা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। দালিয়ান সফরকালে তিনি এ হোটেলেই অবস্থান করবেন।

২ জুলাই সকালে দালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠেয় ডব্লিউইএফ সামার দাভোস সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং বেইজিংয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ও প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাকি বৈঠক করবেন তিনি।

সোমবার চীনের দালিয়ানে তিন দিনব্যাপী ‘ডব্লিইএফ অ্যানুয়েল মিটিং অব দ্যা নিউ চ্যাম্পিয়নস-২০১৯’ শুরু হবে, যা ডব্লিউইএফ সামার দাভোস নামেও পরিচিত।

সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘লিডারশিপ ৪.০- সাকসিডিং ইন এ নিউ এরা অব গ্লোবালাইজেশন।’ লিয়াওডং রাজ্যের দালিয়ান উত্তরপূর্ব এশিয়ার ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র এবং উত্তর চীনের হংকং হিসেবেও সুপরিচিত।

মঙ্গলবার দালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বিশ্ব অথনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান কস শোয়াবের কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। বিকেলে ‘কো-অপারেশন ইন দ্যা প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন।

বিকেলে দালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে শোয়াবের দফতরে অনুষ্ঠেয় ‘কো-অপারেশন ইন দ্যা প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী ৩ জুলাই চীন সরকারের সরবরাহকৃত একটি বিশেষ ভাড়া করা বিমানে স্থানীয় সময় ১১টায় বেইজিংয়ের উদ্দেশে দালিয়ান ত্যাগ করবেন শেখ হাসিনা। একই দিন বিমানটি স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে পৌঁছবে।

বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে দিয়ায়োতাই স্টেট গেস্ট হাইজে নিয়ে যাওয়া হবে। চীনের রাজধানীতে সফরকালে শেখ হাসিনা এ হোটেলেই অবস্থান করবেন।

বিকেলে তিনি বেইজিংয়ের লিজেনডাল হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগ দেবেন। ৪ জুলাই সকালে শেখ হাসিনা স্বাগত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

পরে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে একটি দ্বিপীয় বৈঠক করবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চুক্তি স্বার অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত এক ভোজসভায় অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। একই দিন বিকেলে সিসিপিআইটিতে চীনা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি বিজনেস গোল টেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। ৫ জুলাই সকালে চাইনিজ থিংক ট্যাংক ‘পাঙ্গোয়াল ইনস্টিটিউশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

শেখ হাসিনার সঙ্গে তার হোটেল স্যুটে চীনের বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দেখা করার কথা রয়েছে এবং এনপিসির চেয়ারম্যান লি ঝাংশুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠক হবে।

বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দিয়াওইয়ুতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় এক বৈঠকে মিলিত হবেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে চীনা প্রেসিডেন্টের আয়োজিত একটি ভোজ সভায় অংশ নেবেন।

চীন সফর শেষে বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় ৬ জুলাই বেলা ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন প্রধানমন্ত্রী এবং একই দিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) পৌঁছবেন তিনি।

‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’স অ্যানুয়াল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়নস ২০১৯-এ অংশ নিতে ডালিয়ানে আগামী সপ্তাহে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ হাজার ৮শ’র বেশি প্রতিনিধি অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান, ব্যবসায়ী নেতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীরাও থাকবেন।

সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বিশ্বের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ, আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও কারিগরি সংকটের সঙ্গে কীভাবে খাপ খাওয়ানো যায় তার একটি নতুন কৌশলগত উপায় সম্পর্কে নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করবেন।

Tag :
জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় পাখিভ্যানের ধাক্কায় এক জন বাইসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে 

আগামীকাল চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৫:৩৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯

শাপলা বাংলা ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন আগামীকাল সোমবার। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের আমন্ত্রণে পাঁচদিনের সরকারি সফরে চীনের দালিয়ানের উদ্দেশে তিনি এদিন ঢাকা ত্যাগ করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট (বিজি ১৭২০) আগামীকাল বিকেলে দালিয়ানের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। বিমানটি ২ জুলাই স্থানীয় সময় ১২টা ২৫ মিনিটে লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ানের দালিয়ান ঝৌশুজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা শেষে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে শাংগ্রি-লা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। দালিয়ান সফরকালে তিনি এ হোটেলেই অবস্থান করবেন।

২ জুলাই সকালে দালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠেয় ডব্লিউইএফ সামার দাভোস সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং বেইজিংয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ও প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাকি বৈঠক করবেন তিনি।

সোমবার চীনের দালিয়ানে তিন দিনব্যাপী ‘ডব্লিইএফ অ্যানুয়েল মিটিং অব দ্যা নিউ চ্যাম্পিয়নস-২০১৯’ শুরু হবে, যা ডব্লিউইএফ সামার দাভোস নামেও পরিচিত।

সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘লিডারশিপ ৪.০- সাকসিডিং ইন এ নিউ এরা অব গ্লোবালাইজেশন।’ লিয়াওডং রাজ্যের দালিয়ান উত্তরপূর্ব এশিয়ার ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র এবং উত্তর চীনের হংকং হিসেবেও সুপরিচিত।

মঙ্গলবার দালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বিশ্ব অথনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান কস শোয়াবের কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। বিকেলে ‘কো-অপারেশন ইন দ্যা প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন।

বিকেলে দালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে শোয়াবের দফতরে অনুষ্ঠেয় ‘কো-অপারেশন ইন দ্যা প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী ৩ জুলাই চীন সরকারের সরবরাহকৃত একটি বিশেষ ভাড়া করা বিমানে স্থানীয় সময় ১১টায় বেইজিংয়ের উদ্দেশে দালিয়ান ত্যাগ করবেন শেখ হাসিনা। একই দিন বিমানটি স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে পৌঁছবে।

বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে দিয়ায়োতাই স্টেট গেস্ট হাইজে নিয়ে যাওয়া হবে। চীনের রাজধানীতে সফরকালে শেখ হাসিনা এ হোটেলেই অবস্থান করবেন।

বিকেলে তিনি বেইজিংয়ের লিজেনডাল হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগ দেবেন। ৪ জুলাই সকালে শেখ হাসিনা স্বাগত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

পরে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে একটি দ্বিপীয় বৈঠক করবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চুক্তি স্বার অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত এক ভোজসভায় অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। একই দিন বিকেলে সিসিপিআইটিতে চীনা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি বিজনেস গোল টেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। ৫ জুলাই সকালে চাইনিজ থিংক ট্যাংক ‘পাঙ্গোয়াল ইনস্টিটিউশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

শেখ হাসিনার সঙ্গে তার হোটেল স্যুটে চীনের বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দেখা করার কথা রয়েছে এবং এনপিসির চেয়ারম্যান লি ঝাংশুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠক হবে।

বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দিয়াওইয়ুতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় এক বৈঠকে মিলিত হবেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে চীনা প্রেসিডেন্টের আয়োজিত একটি ভোজ সভায় অংশ নেবেন।

চীন সফর শেষে বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় ৬ জুলাই বেলা ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন প্রধানমন্ত্রী এবং একই দিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) পৌঁছবেন তিনি।

‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’স অ্যানুয়াল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়নস ২০১৯-এ অংশ নিতে ডালিয়ানে আগামী সপ্তাহে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ হাজার ৮শ’র বেশি প্রতিনিধি অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান, ব্যবসায়ী নেতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীরাও থাকবেন।

সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বিশ্বের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ, আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও কারিগরি সংকটের সঙ্গে কীভাবে খাপ খাওয়ানো যায় তার একটি নতুন কৌশলগত উপায় সম্পর্কে নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করবেন।