০৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দর্শনায় কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ: এক মাস পর সাত সহকর্মীর নামে হত্যা মামলা

  • Update Time : ০৯:৫৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • 35

 

 

মোঃ আব্দুল্লাহ হক চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:

 

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ভবন থেকে পুলিশ কনস্টেবল শামিম রেজা সাজুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক মাস পর তার বাবা হাসেম আলী ফরাজী সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) দর্শনা থানা আমলি আদালতে মামলাটি করা হলে আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-কে দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান লাভলু জানান, আদালতে দাখিল করা অভিযোগটি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

নিহত শামিম রেজা সাজু কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন এবং চেকপোস্টের নতুন ভবনের দোতলায় সহকর্মীদের সঙ্গে থাকতেন। গত ১৮ এপ্রিল সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন বিষয়টিকে অপমৃত্যু হিসেবে দায়ের করা হলেও পরিবারের দাবি অনুযায়ী এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

 

মামলার এজাহারে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন— সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) তারেক মাহমুদ, পুলিশ সদস্য লাভলুর রহমান, কনস্টেবল মিঠুন হোসেন, কনস্টেবল সহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মেহেদী হাসান, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী এবং কনস্টেবল সোহেল রানা।

 

বাদী হাসেম আলী ফরাজীর অভিযোগ, তার ছেলে শামিম রেজা বিবাহিত এবং তার পাঁচ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক জীবনে কোনো অশান্তি না থাকলেও দর্শনায় বদলি হওয়ার পর থেকে শামিম বৈষম্যের শিকার হন। ১ থেকে ৬ নম্বর আসামিরা নিয়মিতভাবে তাকে মানসিক চাপ দিতেন, গালিগালাজ করতেন এবং হত্যার হুমকি দিতেন। ১৭ এপ্রিল এসব হুমকি পাওয়ার পর শামিম রেজা তার গ্রামের সহকর্মী সোহেল রানাকে বিষয়টি হোয়াটসঅ্যাপে জানান। তবে সোহেল রানা তা পরিবারের কাউকে না জানিয়ে উল্টো অভিযুক্তদের জানিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা সম্মিলিতভাবে ১৭ এপ্রিল রাত পৌনে ১১টার পর কোনো একসময় শামিম রেজাকে হত্যা করে মরদেহ সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রমাণ সাজায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

 

ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন ও ন্যায়বিচারের জন্য নিহতের পরিবার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি

জানিয়েছে।

 

Tag :
জনপ্রিয়

𝗠𝗼𝗵𝗮𝗺𝗺𝗲𝗱 𝗥𝗮𝘀𝗵𝗲𝗱𝘂𝗹 𝗔𝗺𝗶𝗻 𝗣𝗿𝗼𝗺𝗼𝘁𝗲𝗱 𝗮𝘀 𝗗𝗠𝗗 𝗼𝗳 𝗦𝗼𝘂𝘁𝗵𝗲𝗮𝘀𝘁 𝗕𝗮𝗻𝗸 𝗣𝗟𝗖.

দর্শনায় কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ: এক মাস পর সাত সহকর্মীর নামে হত্যা মামলা

Update Time : ০৯:৫৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

 

মোঃ আব্দুল্লাহ হক চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:

 

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ভবন থেকে পুলিশ কনস্টেবল শামিম রেজা সাজুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক মাস পর তার বাবা হাসেম আলী ফরাজী সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) দর্শনা থানা আমলি আদালতে মামলাটি করা হলে আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-কে দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান লাভলু জানান, আদালতে দাখিল করা অভিযোগটি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

নিহত শামিম রেজা সাজু কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন এবং চেকপোস্টের নতুন ভবনের দোতলায় সহকর্মীদের সঙ্গে থাকতেন। গত ১৮ এপ্রিল সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন বিষয়টিকে অপমৃত্যু হিসেবে দায়ের করা হলেও পরিবারের দাবি অনুযায়ী এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

 

মামলার এজাহারে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন— সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) তারেক মাহমুদ, পুলিশ সদস্য লাভলুর রহমান, কনস্টেবল মিঠুন হোসেন, কনস্টেবল সহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মেহেদী হাসান, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী এবং কনস্টেবল সোহেল রানা।

 

বাদী হাসেম আলী ফরাজীর অভিযোগ, তার ছেলে শামিম রেজা বিবাহিত এবং তার পাঁচ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক জীবনে কোনো অশান্তি না থাকলেও দর্শনায় বদলি হওয়ার পর থেকে শামিম বৈষম্যের শিকার হন। ১ থেকে ৬ নম্বর আসামিরা নিয়মিতভাবে তাকে মানসিক চাপ দিতেন, গালিগালাজ করতেন এবং হত্যার হুমকি দিতেন। ১৭ এপ্রিল এসব হুমকি পাওয়ার পর শামিম রেজা তার গ্রামের সহকর্মী সোহেল রানাকে বিষয়টি হোয়াটসঅ্যাপে জানান। তবে সোহেল রানা তা পরিবারের কাউকে না জানিয়ে উল্টো অভিযুক্তদের জানিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা সম্মিলিতভাবে ১৭ এপ্রিল রাত পৌনে ১১টার পর কোনো একসময় শামিম রেজাকে হত্যা করে মরদেহ সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রমাণ সাজায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

 

ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন ও ন্যায়বিচারের জন্য নিহতের পরিবার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি

জানিয়েছে।