০৫:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার মাটিতে কালো আঙুর চাষ করে বাজিমাত কলেজছাত্র শামিমের

 

 

চুয়াডাঙ্গার মাটিতে কালো আঙুর চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কলেজছাত্র শামিম হোসেন। ইউটিউবে বিদেশি একটি প্রতিবেদন দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ৮ কাঠা জমিতে আঙুরের চারা রোপণ করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর আঙুর বাগানে থোকা থোকা ফল ঝুলছে। স্বপ্ন দেখছেন বাণিজ্যিকভাবে আঙুর উৎপাদন ও রপ্তানির।

 

শামিম হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং দামুড়হুদার আবদুল ওয়াদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

 

সরেজমিনে তাঁর বাগানে গিয়ে দেখা যায়, আঙুর বাগানটি সুরক্ষার জন্য চারপাশে তারকাঁটা, মশারি ও নেটের জাল দিয়ে ঘেরা। প্রতিটি গাছে থোকা থোকা আঙুর ঝুলছে।

 

শামিম হোসেন বলেন, “একদিন ইউটিউবে একটি বিদেশি ভিডিও দেখি এবং কৌতূহলবশত আঙুর চাষ শুরু করি। পরীক্ষামূলকভাবে ৮ কাঠা জমিতে চাষ করি। এতে আমার প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে যেভাবে ফলন হয়েছে, তাতে আমি প্রায় ৪ লাখ টাকার আঙুর বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।”

 

তিনি আরও বলেন, “এখন আড়াই বিঘা জমিতে আঙুর চাষ করছি। গত বছর চারা রোপণ করেছিলাম, এ বছর ফল পেয়েছি। এলাকার অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে চাষ শুরু করেছেন। আঙুর চাষে সফলতা পেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং নতুন উদ্যোক্তাও তৈরি হবে।”

 

তবে শামিম জানান, এখনো পর্যন্ত কৃষি অধিদপ্তর থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি। তিনি বলেন, “কৃষি বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি—যদি তারা আমাদের পাশে দাঁড়ায়, আমরা আরও বড় কিছু করতে পারব।”

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, “চুয়াডাঙ্গার কিছু উদ্যোক্তা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে বাইরে থেকে চারা এনে আঙুর বাগান করছেন। ফলনও ভালো পাচ্ছেন। শামিম হোসেন তাদের মধ্যে একজন সফল চাষি। প্রথমে ৮ কাঠা জমিতে শুরু করে এখন আড়াই বিঘা জমিতে আঙুর চাষ করছেন তিনি।”

 

তিনি আরও বলেন, “চুয়াডাঙ্গার মাটি ও আবহাওয়া আঙুর চাষের জন্য উপযোগী। এই চাষে সফলতা এলে বিদেশ থেকে আঙুর আমদানির প্রয়োজন কমে আসবে এবং দেশীয় উৎপাদনে লাভবান হবে দেশ। যদিও আমরা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে পারছি না, তবে পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা

দিয়ে পাশে আছি।”

জনপ্রিয়

𝗠𝗼𝗵𝗮𝗺𝗺𝗲𝗱 𝗥𝗮𝘀𝗵𝗲𝗱𝘂𝗹 𝗔𝗺𝗶𝗻 𝗣𝗿𝗼𝗺𝗼𝘁𝗲𝗱 𝗮𝘀 𝗗𝗠𝗗 𝗼𝗳 𝗦𝗼𝘂𝘁𝗵𝗲𝗮𝘀𝘁 𝗕𝗮𝗻𝗸 𝗣𝗟𝗖.

চুয়াডাঙ্গার মাটিতে কালো আঙুর চাষ করে বাজিমাত কলেজছাত্র শামিমের

Update Time : ০৯:৫৯:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

 

 

চুয়াডাঙ্গার মাটিতে কালো আঙুর চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কলেজছাত্র শামিম হোসেন। ইউটিউবে বিদেশি একটি প্রতিবেদন দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ৮ কাঠা জমিতে আঙুরের চারা রোপণ করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর আঙুর বাগানে থোকা থোকা ফল ঝুলছে। স্বপ্ন দেখছেন বাণিজ্যিকভাবে আঙুর উৎপাদন ও রপ্তানির।

 

শামিম হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং দামুড়হুদার আবদুল ওয়াদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

 

সরেজমিনে তাঁর বাগানে গিয়ে দেখা যায়, আঙুর বাগানটি সুরক্ষার জন্য চারপাশে তারকাঁটা, মশারি ও নেটের জাল দিয়ে ঘেরা। প্রতিটি গাছে থোকা থোকা আঙুর ঝুলছে।

 

শামিম হোসেন বলেন, “একদিন ইউটিউবে একটি বিদেশি ভিডিও দেখি এবং কৌতূহলবশত আঙুর চাষ শুরু করি। পরীক্ষামূলকভাবে ৮ কাঠা জমিতে চাষ করি। এতে আমার প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে যেভাবে ফলন হয়েছে, তাতে আমি প্রায় ৪ লাখ টাকার আঙুর বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।”

 

তিনি আরও বলেন, “এখন আড়াই বিঘা জমিতে আঙুর চাষ করছি। গত বছর চারা রোপণ করেছিলাম, এ বছর ফল পেয়েছি। এলাকার অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে চাষ শুরু করেছেন। আঙুর চাষে সফলতা পেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং নতুন উদ্যোক্তাও তৈরি হবে।”

 

তবে শামিম জানান, এখনো পর্যন্ত কৃষি অধিদপ্তর থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি। তিনি বলেন, “কৃষি বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি—যদি তারা আমাদের পাশে দাঁড়ায়, আমরা আরও বড় কিছু করতে পারব।”

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, “চুয়াডাঙ্গার কিছু উদ্যোক্তা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে বাইরে থেকে চারা এনে আঙুর বাগান করছেন। ফলনও ভালো পাচ্ছেন। শামিম হোসেন তাদের মধ্যে একজন সফল চাষি। প্রথমে ৮ কাঠা জমিতে শুরু করে এখন আড়াই বিঘা জমিতে আঙুর চাষ করছেন তিনি।”

 

তিনি আরও বলেন, “চুয়াডাঙ্গার মাটি ও আবহাওয়া আঙুর চাষের জন্য উপযোগী। এই চাষে সফলতা এলে বিদেশ থেকে আঙুর আমদানির প্রয়োজন কমে আসবে এবং দেশীয় উৎপাদনে লাভবান হবে দেশ। যদিও আমরা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে পারছি না, তবে পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা

দিয়ে পাশে আছি।”