খন্দকার শাহ আলম মন্টুঃ কুষ্টিয়া মিরপুরের জায়গা জমি ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে সংঘর্ষ, আপন চাচা ও চাচাত ভাইদের হামলায় মালিহাদ ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের কান্দিপাড়ার জুহুর ইসলামের ছেলে তৌফিক ইসলাম (১৭)নিহত হয়েছেন। নিহত তৌফিক ইসলামের আগামীকাল সোমবার চাকরির উদ্দেশ্যে কুয়েতে যাবার কথা ছিল।
মিরপুর মালিহাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আল আলামিন বুলবুল জানান, গত শুক্রবার দুপুর বেলা নিহত তৌফিকের পরিবারের সাথে চাচা ও চাচাত ভাইদের সাথে জায়গা জমি ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় তৌফিকের চাচা লাল চাঁদ, ছেলে রঞ্জিত, চাচা মহসিন ও মহসিনের ছেলে শাহীন সহ ৮-১০জন লাঠি শোটা নিয়ে তৌফিকদের বাড়ি আক্রমনের উদ্দেশ্য রওনা হয়। এই সময় প্রাণভয়ে তৌফিকদের পরিবারের লোকজন পার্শ্ববর্তী মাঠে অবস্থান করছিলো। সেখানে গিয়ে তাড়িয়ে ধরে তৌফিকের পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে তৌফিকের পক্ষে তৌফিক,আব্বা জহুরুল ইসলাম, ছোট ভাই বাঁধন, চাচা রফিকুল ইসলাম, চাচী সুলতানা গুরুতরভাবে আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তৌফিকের অবস্হার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর ৪:৩০মি তৌফিক মারা যায়। সকাল ৭টায় লাশ গ্রামে আসে।
গতকাল শনিবার বাদ মাগরিব আসাননগর আন্জুর দাখিল মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে সংলগ্ন কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
জানাজায় মিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মমিনুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) আব্দুল আজিজ, কাকিলাদহ ক্যাম্প ইনচার্জ নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
মিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, তৌফিকের মৃত্যু ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। যার আগামীকাল সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য বিদেশে যাওয়ার কথা তাকে লাশ হয়ে আজ কবরে যেতে হলো।
এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহসিন নামে একজন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামি রঞ্জিত সহ অন্যান্যদের গ্রেফতার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি মমিনুল ইসলাম।