০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া

  • Update Time : ১২:২৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 379

 

 

আজ রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত। বিশ্ব মুসলিমবাসীর বিশ্বাস, এ রাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করে থাকে অসংখ্য বান্দা। এ জন্যই এ রজনীকে আরবিতে ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘নিষ্কৃতি ও মুক্তির রজনী’ বলা হয়।

 

অনেকেই শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত ও কীভাবে পড়তে হবে জানতে চান। সাধারণত শবে বরাতের নামাজ নফল। তাই এই নামাজ আর অন্য নামাজের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। এই রাত্রির নামাজে ভিন্ন কোনো পদ্ধতি মহানবী (সা.) অবলম্বন করেননি। স্বাভাবিক নিয়মে দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত করে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি যতটুকু পারেন পড়তে পারেন।

 

এদিন মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাযত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দুই রাকাত করে মোট ৬ রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম।

 

এশার জামাতের পর সারারাত দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করা যায়। আর জীবনে কাজা হয়ে যাওয়া নামাজগুলো আদায়ের সুযোগ রয়েছে এই রাতে।

 

এ ছাড়াও পড়তে পারেন ‘সালাতুল তাসবীহ এর নামাজ। এই নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন নামাজ হলো উত্তম ইবাদত।

 

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে শাবানে ১ দিন রোজা রেখেছে, তাকে আমার সাফায়াত হবে।

 

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

 

নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

 

বাংলায় নিয়ত করলে এই ভাবে করতে পারেন: ‘শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবার।’

 

লাইলাতুল বারাতের ফজিলত

 

হজরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআ’লা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতিত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’

 

বিশেষ দোয়া

 

রমজানের দুই মাস আগ থেকেই রাসুল (স.) একটি দোয়া বেশি বেশি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই দোয়াটি আমরা পুরো রজব-শাবানে পড়তে পারি। দোয়াটি হলো— اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ (অর্থ) ‘হে আল্লাহ, আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রজব মাস শুরু হলে রাসুল (স.) এই দোয়া পাঠ করতেন। (বায়হাকি: ৩৫৩৪; নাসায়ি: ৬৫৯; মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬

জনপ্রিয়

𝗠𝗼𝗵𝗮𝗺𝗺𝗲𝗱 𝗥𝗮𝘀𝗵𝗲𝗱𝘂𝗹 𝗔𝗺𝗶𝗻 𝗣𝗿𝗼𝗺𝗼𝘁𝗲𝗱 𝗮𝘀 𝗗𝗠𝗗 𝗼𝗳 𝗦𝗼𝘂𝘁𝗵𝗲𝗮𝘀𝘁 𝗕𝗮𝗻𝗸 𝗣𝗟𝗖.

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া

Update Time : ১২:২৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

 

আজ রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত। বিশ্ব মুসলিমবাসীর বিশ্বাস, এ রাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করে থাকে অসংখ্য বান্দা। এ জন্যই এ রজনীকে আরবিতে ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘নিষ্কৃতি ও মুক্তির রজনী’ বলা হয়।

 

অনেকেই শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত ও কীভাবে পড়তে হবে জানতে চান। সাধারণত শবে বরাতের নামাজ নফল। তাই এই নামাজ আর অন্য নামাজের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। এই রাত্রির নামাজে ভিন্ন কোনো পদ্ধতি মহানবী (সা.) অবলম্বন করেননি। স্বাভাবিক নিয়মে দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত করে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি যতটুকু পারেন পড়তে পারেন।

 

এদিন মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাযত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দুই রাকাত করে মোট ৬ রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম।

 

এশার জামাতের পর সারারাত দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করা যায়। আর জীবনে কাজা হয়ে যাওয়া নামাজগুলো আদায়ের সুযোগ রয়েছে এই রাতে।

 

এ ছাড়াও পড়তে পারেন ‘সালাতুল তাসবীহ এর নামাজ। এই নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন নামাজ হলো উত্তম ইবাদত।

 

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে শাবানে ১ দিন রোজা রেখেছে, তাকে আমার সাফায়াত হবে।

 

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

 

নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

 

বাংলায় নিয়ত করলে এই ভাবে করতে পারেন: ‘শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবার।’

 

লাইলাতুল বারাতের ফজিলত

 

হজরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআ’লা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতিত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’

 

বিশেষ দোয়া

 

রমজানের দুই মাস আগ থেকেই রাসুল (স.) একটি দোয়া বেশি বেশি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই দোয়াটি আমরা পুরো রজব-শাবানে পড়তে পারি। দোয়াটি হলো— اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ (অর্থ) ‘হে আল্লাহ, আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রজব মাস শুরু হলে রাসুল (স.) এই দোয়া পাঠ করতেন। (বায়হাকি: ৩৫৩৪; নাসায়ি: ৬৫৯; মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬