০৯:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় মুক্তামালা হত্যা মামলার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ি,এরশাদপুরের বহুল আলোচিত পান্টু হুজুরসহ ৩ জন গ্রেফতার

  • Update Time : ০৯:০১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১
  • 80

 

আলমডাঙ্গা অফিসঃ আলমডাঙ্গা এরশাদপুর পান্টু হুজুরের কথিত আস্তানায় মুক্তামালা হত্যা মামলার অভিযোগে স্বামী জহুরুল ইসলাম,  শাশুড়ি জহুরা খাতুন ও এরশাদপুরের বহুল আলোচিত পান্টু হুজুরসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
এজাহারসূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বাথানপাড়ার আব্দুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি অসুস্থ হলে তিনি নিজের বিধবা যুবতী কন্যা মুক্তা মালাকে (৩২) নিয়ে আলমডাঙ্গার এরশাদপুর গ্রামের পান্টু হুজুরের দরবারে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানে আস্তানায় পান্টু হুজুরের খাদেম হিসেবে পরিচিত এরশাদপুর গ্রামের ইছাহক আলীর ছেলে জহুরুল ইসলামের সাথে মুক্তামালার প্রেমের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরইএক পর্যায়ে ৬/৭ মাস পূর্বে তারা ভালবেসে বিয়ে করে। বিয়ের পর মুক্তামালা স্বামীর সাথে পান্টু হুজুরের আস্তানায় বসবাস করে আসছিল। বিয়ের পর থেকেই জামাই জহুরুলের মা জহুরা খাতুন বউমা মুক্তামালাকে ভালোভাবে নেননি। নানা অত্যাচার করে ঘরের ভেতর আটকে রাখতেন এবং ছেলে জহুরুল ও পান্টু হুজুরের সাথে পারামার্শ করে বিভিন্ন চক্রান্ত করতো। এরপর থেকে তারা সকলে মিলে মুক্তামালার উপর অমানসিক অত্যাচার শুরু করে। এক পর্যায়ে গত ২মে রবিবার সকাল ৮টার দিকে পরিকল্পনা করে মুক্তামালাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশের গলায় উড়না পেচিয়ে পান্টু হুজুরের ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে লাশ দরবারের নিজস্ব ভ্যানে করে বাপের বাড়ি গাংনী উপজেলার বাথানপাড়ায় পাঠিয়ে দেন। ঘটনাটি কাউকে না বলতে হুমকি দেওয়া হয়। পরে আত্মীয় স্বজনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আব্দুর রশিদ লাশ নিয়ে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশকে জানান। পরে আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে জহুরুল ইসলাম ও পান্টু হুজুরসহ ৪ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ গত ঐদিনই রবিবার এরশাদপুর গ্রামের ইছাহকের ছেলে জহুরুল ইসলাম, জহুরুলের মা জহুরা খাতুন ও সালাউদ্দীন পান্টু হুজুরকে গ্রেফতার করেছে। থানা পুলিশ আজ সোমবার পান্টু হুজুর সহ ৩ জনকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রেরণ করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
Tag :
জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় তেলবাহী ট্রেনের আটটি বগি লাইনচ্যুত: খুলনার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ

আলমডাঙ্গায় মুক্তামালা হত্যা মামলার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ি,এরশাদপুরের বহুল আলোচিত পান্টু হুজুরসহ ৩ জন গ্রেফতার

Update Time : ০৯:০১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১

 

আলমডাঙ্গা অফিসঃ আলমডাঙ্গা এরশাদপুর পান্টু হুজুরের কথিত আস্তানায় মুক্তামালা হত্যা মামলার অভিযোগে স্বামী জহুরুল ইসলাম,  শাশুড়ি জহুরা খাতুন ও এরশাদপুরের বহুল আলোচিত পান্টু হুজুরসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
এজাহারসূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বাথানপাড়ার আব্দুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি অসুস্থ হলে তিনি নিজের বিধবা যুবতী কন্যা মুক্তা মালাকে (৩২) নিয়ে আলমডাঙ্গার এরশাদপুর গ্রামের পান্টু হুজুরের দরবারে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানে আস্তানায় পান্টু হুজুরের খাদেম হিসেবে পরিচিত এরশাদপুর গ্রামের ইছাহক আলীর ছেলে জহুরুল ইসলামের সাথে মুক্তামালার প্রেমের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরইএক পর্যায়ে ৬/৭ মাস পূর্বে তারা ভালবেসে বিয়ে করে। বিয়ের পর মুক্তামালা স্বামীর সাথে পান্টু হুজুরের আস্তানায় বসবাস করে আসছিল। বিয়ের পর থেকেই জামাই জহুরুলের মা জহুরা খাতুন বউমা মুক্তামালাকে ভালোভাবে নেননি। নানা অত্যাচার করে ঘরের ভেতর আটকে রাখতেন এবং ছেলে জহুরুল ও পান্টু হুজুরের সাথে পারামার্শ করে বিভিন্ন চক্রান্ত করতো। এরপর থেকে তারা সকলে মিলে মুক্তামালার উপর অমানসিক অত্যাচার শুরু করে। এক পর্যায়ে গত ২মে রবিবার সকাল ৮টার দিকে পরিকল্পনা করে মুক্তামালাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশের গলায় উড়না পেচিয়ে পান্টু হুজুরের ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে লাশ দরবারের নিজস্ব ভ্যানে করে বাপের বাড়ি গাংনী উপজেলার বাথানপাড়ায় পাঠিয়ে দেন। ঘটনাটি কাউকে না বলতে হুমকি দেওয়া হয়। পরে আত্মীয় স্বজনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আব্দুর রশিদ লাশ নিয়ে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশকে জানান। পরে আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে জহুরুল ইসলাম ও পান্টু হুজুরসহ ৪ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ গত ঐদিনই রবিবার এরশাদপুর গ্রামের ইছাহকের ছেলে জহুরুল ইসলাম, জহুরুলের মা জহুরা খাতুন ও সালাউদ্দীন পান্টু হুজুরকে গ্রেফতার করেছে। থানা পুলিশ আজ সোমবার পান্টু হুজুর সহ ৩ জনকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রেরণ করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।