০৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের প্রথম ডাকঘর চুয়াডাঙ্গায়: ইতিহাস ও বর্তমান চিত্র

 

বাংলাদেশের ডাকসেবার ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল এক অধ্যায় রচিত হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। দেশের প্রথম ডাকঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বড়বাজার পাড়ায়। ব্রিটিশ আমলে, ১৮৬০ সালে এই ডাকঘরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তবে ইতিহাসবিদদের মতে, এরও আগে ১৮০৬ সালে কলকাতার সঙ্গে ডাক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চুয়াডাঙ্গায় বাংলা অঞ্চলের প্রথম ডাকঘর স্থাপন করা হয়েছিল।

 

চুয়াডাঙ্গার ভৌগোলিক অবস্থান, তৎকালীন ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গুরুত্ব এবং ভারতের নদীয়া জেলার সীমানার নিকটবর্তী হওয়ায় ডাকঘর স্থাপনের জন্য এটি ছিল উপযুক্ত স্থান। প্রাচীন ভবনটি পাতলা ইট ও চুন-সুরকির মিশ্রণে নির্মিত হয়েছিল, যা একসময় ডাকবিনিময় ও যোগাযোগের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখান থেকেই দেশের ডাকসেবার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় এবং জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়।

 

বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা ডাকঘর এখনো সেবা প্রদান করছে, তবে ঐতিহাসিক ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। জেলা ও দেশের মানুষের কাছে এটি শুধু একটি ডাকঘর নয়, বরং ইতিহাসের সাক্ষী এবং গর্বের প্রতীক।

 

স্থানীয়রা মনে করেন, বাংলাদেশের ডাকসেবার সূতিকাগার হিসেবে চুয়াডাঙ্গা ডাকঘরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সংরক্ষণ করা জরুরি। এটি শুধুমাত্র ডাক যোগাযোগ নয়, বরং দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসেরও অবিচ্ছেদ্য অংশ।

 

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের প্রথম ডাকঘর চুয়াডাঙ্গায়: ইতিহাস ও বর্তমান চিত্র

Update Time : ০৬:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

 

বাংলাদেশের ডাকসেবার ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল এক অধ্যায় রচিত হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। দেশের প্রথম ডাকঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বড়বাজার পাড়ায়। ব্রিটিশ আমলে, ১৮৬০ সালে এই ডাকঘরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তবে ইতিহাসবিদদের মতে, এরও আগে ১৮০৬ সালে কলকাতার সঙ্গে ডাক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চুয়াডাঙ্গায় বাংলা অঞ্চলের প্রথম ডাকঘর স্থাপন করা হয়েছিল।

 

চুয়াডাঙ্গার ভৌগোলিক অবস্থান, তৎকালীন ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গুরুত্ব এবং ভারতের নদীয়া জেলার সীমানার নিকটবর্তী হওয়ায় ডাকঘর স্থাপনের জন্য এটি ছিল উপযুক্ত স্থান। প্রাচীন ভবনটি পাতলা ইট ও চুন-সুরকির মিশ্রণে নির্মিত হয়েছিল, যা একসময় ডাকবিনিময় ও যোগাযোগের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখান থেকেই দেশের ডাকসেবার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় এবং জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়।

 

বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা ডাকঘর এখনো সেবা প্রদান করছে, তবে ঐতিহাসিক ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। জেলা ও দেশের মানুষের কাছে এটি শুধু একটি ডাকঘর নয়, বরং ইতিহাসের সাক্ষী এবং গর্বের প্রতীক।

 

স্থানীয়রা মনে করেন, বাংলাদেশের ডাকসেবার সূতিকাগার হিসেবে চুয়াডাঙ্গা ডাকঘরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সংরক্ষণ করা জরুরি। এটি শুধুমাত্র ডাক যোগাযোগ নয়, বরং দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসেরও অবিচ্ছেদ্য অংশ।