আলমডাঙ্গা অফিসঃ আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের হাউসফুল এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে তিনটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরি ও একটি বেকারিকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৪ মে (বুধবার) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ১টা পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে তাকে সহযোগিতা করেন আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোক্তা অধিকার ইন্সপেক্টর মোঃ নিজামুদ্দিন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল। অভিযান চলাকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম উৎপাদন, ট্রেড লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না থাকা এবং বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়াই পণ্য উৎপাদনের অভিযোগে শাপলা সুপার আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক মোঃ মিরাজ (২২) কে ২০ হাজার টাকা, মুসা সুপার আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক সুমন আহমেদকে ২০ হাজার টাকা এবং মুবিন সুপার আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক সাগর আহমেদকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, একই অপরাধে আরজু ফুড নামের একটি বেকারিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোঃ আব্দুল আলী (৩৭)সহ সবাই জরিমানা পরিশোধ করেন। অভিযান চলাকালে লোটাস সুপার আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক মোঃ সবুজ আলী খবর পেয়ে কারখানা বন্ধ করে পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান। অভিযান শেষে তিনি বলেন, আইসক্রিম একটি শিশু খাদ্য। কোমলমতি শিশুরা এই খাবার খেয়ে থাকে। কিন্তু পরিদর্শিত কারখানাগুলোর পরিবেশ ছিল একেবারেই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। এই অবস্থায় সতর্কতামূলকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অনিয়ম দূর না হলে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে বলে সতর্কবার্তা দেন তিনি। তিনি আরও জানান, যেসব কাগজপত্র ও অনুমোদনে সমস্যা রয়েছে তা দ্রুত ঠিক করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এরকম অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।