০৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোজার প্রকৃত নিয়ত কীভাবে করা উচিত?

 

ইসলামী শিক্ষায় নিয়ত মানে হলো— অন্তরের ইচ্ছা ও সংকল্প। তাই রোজার জন্য মনে মনে সংকল্প করাই যথেষ্ট। আপনি যদি মনে করেন, “আমি আগামীকাল রোজা রাখব”— তাহলেই নিয়ত হয়ে যায়।

হাদিস ও ফিকহের আলোকে নিয়তের নিয়ম

১. নবী (সা.) বলেন:

إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ

অর্থ: নিশ্চয়ই সকল কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। (বুখারি, হাদিস: ১; মুসলিম, হাদিস: ১৯০৭)

২. রোজার নিয়ত রাতের মধ্যেই করতে হবে:

নবী (সা.) বলেছেন—

“যে ব্যক্তি ফজরের আগে নিয়ত করবে না, তার রোজা হবে না।” (সুনান আন-নাসায়ি: ২৩৩৩)

সাহরির সময় নিয়ত করা যায় কি?

হ্যাঁ, সাহরির সময় খাওয়া নিজেই রোজার নিয়ত হিসেবে গণ্য হয়, যদি কেউ মনে মনে রোজার সংকল্প করে।

সঠিক ও সহজ উপায়

রাতে বা সাহরির সময় মনে মনে বলুন: “আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আগামীকাল রোজা রাখছি।”

মুখে আরবি বা বাংলা নিয়ত পড়া বাধ্যতামূলক নয়, তবে পড়লে সমস্যা নেই।

 

উপসংহার

রোজার নিয়ত মুখে বলা জরুরি নয়, বরং অন্তরে দৃঢ় সংকল্প করাই যথেষ্ট। তবুও যদি কেউ প্রচলিত আরবি নিয়ত পড়ে, তাহলে তা বিদআত নয়, তবে বাধ্যতামূলকও নয়।

 

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

রোজার প্রকৃত নিয়ত কীভাবে করা উচিত?

Update Time : ০৯:১২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

ইসলামী শিক্ষায় নিয়ত মানে হলো— অন্তরের ইচ্ছা ও সংকল্প। তাই রোজার জন্য মনে মনে সংকল্প করাই যথেষ্ট। আপনি যদি মনে করেন, “আমি আগামীকাল রোজা রাখব”— তাহলেই নিয়ত হয়ে যায়।

হাদিস ও ফিকহের আলোকে নিয়তের নিয়ম

১. নবী (সা.) বলেন:

إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ

অর্থ: নিশ্চয়ই সকল কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। (বুখারি, হাদিস: ১; মুসলিম, হাদিস: ১৯০৭)

২. রোজার নিয়ত রাতের মধ্যেই করতে হবে:

নবী (সা.) বলেছেন—

“যে ব্যক্তি ফজরের আগে নিয়ত করবে না, তার রোজা হবে না।” (সুনান আন-নাসায়ি: ২৩৩৩)

সাহরির সময় নিয়ত করা যায় কি?

হ্যাঁ, সাহরির সময় খাওয়া নিজেই রোজার নিয়ত হিসেবে গণ্য হয়, যদি কেউ মনে মনে রোজার সংকল্প করে।

সঠিক ও সহজ উপায়

রাতে বা সাহরির সময় মনে মনে বলুন: “আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আগামীকাল রোজা রাখছি।”

মুখে আরবি বা বাংলা নিয়ত পড়া বাধ্যতামূলক নয়, তবে পড়লে সমস্যা নেই।

 

উপসংহার

রোজার নিয়ত মুখে বলা জরুরি নয়, বরং অন্তরে দৃঢ় সংকল্প করাই যথেষ্ট। তবুও যদি কেউ প্রচলিত আরবি নিয়ত পড়ে, তাহলে তা বিদআত নয়, তবে বাধ্যতামূলকও নয়।