১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে

  • Update Time : ০৮:২১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • 116

চুয়াডাঙ্গায় মশক নিধনের পদক্ষেপ না থাকায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেয়ার জন্য ২০ শয্যা পৃথকভাবে রাখা হয়েছে। এ ওয়ার্ডে বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত একজন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪০ জনে। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন। ভর্তি আছেন ১৮ জন । তিনজন নারী ও ১৫ জন পুরুষ রোগী । এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের ববিউল ইসলামের স্ত্রী নাহার (৫০) জানান, পেশাগত কারণে তারা ঢাকা উত্তরার আজিমপুরে থাকেন। সেখান থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় কোনো হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারার কারেণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বসু ভান্ডারদহের ইসমাঈলের স্ত্রী সালমা (৩০) জানান, ঢাকায় বেড়াতে যেয়ে জ্বর হয়। জ্বর থেকে সুস্থ না হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় এসে টেস্ট করান, এতে তার পজিটিভ আসে।

দামুড়হুদা উপজেলার সুবোলপুর গ্রামের আলেপ (৪০) জানান, ডেঙ্গু রোগীর বেড আরো বাড়ানো দরকার । আমরা ঠাসাঠাসি করে এই রুমে আছি। যেখানে পাঁচজনের থাকার কথা সেখানে আমরা আটজন আছি।

একই উপজেলার জযরাম গ্রামের আব্দুল খালেক জানান, আমরা বাইরে রুমে আছি। এখানে ফ্যান বা এসির ব্যবস্থা নাই।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার রোগীর সাথে থাকা মুন্সি জহুর আক্তার জানান, রোগী দিন দিন বাড়ছে রুম সংখ্যা বাড়ানো দরকার ।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাসিন্দা রনি জানান, ড্রেণ নিয়মিত পরিস্কার না করার কারণে এডিস মশা বাড়ছে। তাছাড়া নিয়মিত স্প্রে করলে ডেঙ্গু মহামারি হিসেবে আসতো না । তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গার ড্রেণেজ ব্যবস্থা যদি এমন থাকে তাহলে ঢাকার মত অবস্থা হবে আমাদের।

এদিকে ৯ নং কাউন্সিলারকে স্প্রে করার কথা বললে তিনি জানান, মেয়রকে এ ব্যাপারে বলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: ফাতেহ আকরাম জানান, এখন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। ২০ জনকে ছাড়পত্র দিয়েছিও একজনকে রেফার্ড করা হয়েছে। আমাদের কিছু অবকাঠামোগত সমস্যা আছে, পিডাব্লিউডিকে জানিয়েছে। অচিরেই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গায় ডেঙ্গু রোগীদের সুন্দরভাবে ম্যানেজ করা হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীদের ১০০% ঔষধ সাপ্লাই আছে। তিনি আরো জানান, খুলনা বিভাগের মধ্যে আমরা ভাল অবস্থা আছি । ডেঙ্গু ওয়ার্ডে দুইজন কনসালটেন্ট ও ‘এ’ বিভাগে একজন মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডা: হাসানুর রহমানকে বিশেষভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঔষধ বিতরণের পাশে কিয়স্কিতে ভিডিও চিত্র দেখানো হচ্ছে। নতুন ভবন ও পুরাতন ভবনের সামনে ব্যনার ঝুলিয়েও জনসাধারণকে সচেতন করার পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ

Tag :
জনপ্রিয়

মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনে টাকা চুরি হওয়া জোছনা পাগলীর পাশে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এন্ড সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন

চুয়াডাঙ্গায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে

Update Time : ০৮:২১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

চুয়াডাঙ্গায় মশক নিধনের পদক্ষেপ না থাকায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেয়ার জন্য ২০ শয্যা পৃথকভাবে রাখা হয়েছে। এ ওয়ার্ডে বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত একজন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪০ জনে। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন। ভর্তি আছেন ১৮ জন । তিনজন নারী ও ১৫ জন পুরুষ রোগী । এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের ববিউল ইসলামের স্ত্রী নাহার (৫০) জানান, পেশাগত কারণে তারা ঢাকা উত্তরার আজিমপুরে থাকেন। সেখান থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় কোনো হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারার কারেণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বসু ভান্ডারদহের ইসমাঈলের স্ত্রী সালমা (৩০) জানান, ঢাকায় বেড়াতে যেয়ে জ্বর হয়। জ্বর থেকে সুস্থ না হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় এসে টেস্ট করান, এতে তার পজিটিভ আসে।

দামুড়হুদা উপজেলার সুবোলপুর গ্রামের আলেপ (৪০) জানান, ডেঙ্গু রোগীর বেড আরো বাড়ানো দরকার । আমরা ঠাসাঠাসি করে এই রুমে আছি। যেখানে পাঁচজনের থাকার কথা সেখানে আমরা আটজন আছি।

একই উপজেলার জযরাম গ্রামের আব্দুল খালেক জানান, আমরা বাইরে রুমে আছি। এখানে ফ্যান বা এসির ব্যবস্থা নাই।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার রোগীর সাথে থাকা মুন্সি জহুর আক্তার জানান, রোগী দিন দিন বাড়ছে রুম সংখ্যা বাড়ানো দরকার ।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাসিন্দা রনি জানান, ড্রেণ নিয়মিত পরিস্কার না করার কারণে এডিস মশা বাড়ছে। তাছাড়া নিয়মিত স্প্রে করলে ডেঙ্গু মহামারি হিসেবে আসতো না । তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গার ড্রেণেজ ব্যবস্থা যদি এমন থাকে তাহলে ঢাকার মত অবস্থা হবে আমাদের।

এদিকে ৯ নং কাউন্সিলারকে স্প্রে করার কথা বললে তিনি জানান, মেয়রকে এ ব্যাপারে বলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: ফাতেহ আকরাম জানান, এখন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। ২০ জনকে ছাড়পত্র দিয়েছিও একজনকে রেফার্ড করা হয়েছে। আমাদের কিছু অবকাঠামোগত সমস্যা আছে, পিডাব্লিউডিকে জানিয়েছে। অচিরেই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গায় ডেঙ্গু রোগীদের সুন্দরভাবে ম্যানেজ করা হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীদের ১০০% ঔষধ সাপ্লাই আছে। তিনি আরো জানান, খুলনা বিভাগের মধ্যে আমরা ভাল অবস্থা আছি । ডেঙ্গু ওয়ার্ডে দুইজন কনসালটেন্ট ও ‘এ’ বিভাগে একজন মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডা: হাসানুর রহমানকে বিশেষভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঔষধ বিতরণের পাশে কিয়স্কিতে ভিডিও চিত্র দেখানো হচ্ছে। নতুন ভবন ও পুরাতন ভবনের সামনে ব্যনার ঝুলিয়েও জনসাধারণকে সচেতন করার পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ