দামুড়হুদার গ্রাম বাংলার প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহি লাঠি খেলা।চুয়াডাঙা জেলার এক মাত্র লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন দর্শনা বাউল পরিষদের আয়োজনে লাঠি খেলোয়াড়েরা তাদের শারিরীক বিভিন্ন কসরত প্রদর্শন করে।ঢোল খোল ঝুমুর আর চড়বড়ি বাদ্যের তালে তালে নেচে নেচে গ্রাম জনপদের সাধারন ও সব বয়সি মানুষের আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়ে তোলেন।
বুধবার ( ২ জুলাই) দিন ব্যাপি উপস্হিত সাধারন ও উৎসুক জনতাও হাতে তালি দিয়ে খেলোয়াড়দেরকে উৎসাহ যোগায়।
দর্শনা এলাকার শৈলমারি, উজলপুর, উজলপুর মাঠপাড়া, আকন্দবাড়িয়া, সিংহনগর রাঙিয়ারপোতা গ্রামের চৌরাস্তামোড়, হাটমোড় বড় উঠানে খেলোয়াড়েরা লাঠি খেলা দেখায়।
লাঠি খেলা দলের ওস্তাদ পিন্টু ফকির ও খোকা বিশ্বাস জানায় প্রতিবছর শ্রাবন মাসের এই দিনে গুড়ি গুড়ি বৃস্টি উপেক্ষা করে ঐতিহ্যবাহি সংগঠন বাউল পরিষদের সদস্যরা এ অন্চলের মানুষদের বিনোদন দিতে লাঠিখেলা করে থাকেন, যে খেলাটি মানুষের খুবই আনন্দের খোরাক যুগিয়ে থাকে।
দামুড়হুদা আঃ ওদুদ শাহ্ ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মিজানুর রহমান মন্ডল ও চুয়াডাঙা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ মুন্সি আবু সাইফ জানান জেলার একমাত্র লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন “বাউল পরিষদের কর্মি খেলোয়াড়েরা শুধুমাত্র লাঠি খেলা দেখিয়ে এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছে।
বাউল পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের লোকসংগীত শিল্পী ধীরু বাউল জানালেন সংগঠনটি প্রায় দু যুগ (২৪ বছর) সময় ধরে গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া লাঠি খেলা, জারিগান,ঝাপানগান, লালন, বাউল ভাব বিচ্ছেদ সহ লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন ধারা নিয়ে সুনামের সাথে চর্চা প্রচার ও প্রসার করে চলেছে।চুযাডাঙা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক মুন্সি আঃমান্নান জানান সংগঠনটিকে সহযোগিতা ও বাচিঁয়ে রাখতে আমাদের সকলেরই এগিয়ে আসা দরকার, তিনি বল্লেন ১৯৯৯ সালে স্হাপিত , ‘মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় অবিকল অবিচল’ শ্লোগান নিয়ে লোকজ সংগঠন বাউল পরিষদের পথচলা। এখানে সরকারি সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়ানো হলে সংগঠনটি বাংলার আদি সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস