ইমরুল শাহেদ :হঠাৎ করেই শোনা যায় অপু বিশ্বাস অমুক ছবিতে অভিনয় করছেন। আবার শোনা যায় অমুক ছবিটি ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু এই ধরাছাড়ার নেপথ্য তাৎপর্য কি? সম্প্রতি অপু বিশ্বাস অভিনীত প্রিয় কমলা ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। সিনেমা হলে ছবিটি দর্শক টানতে পারেনি। টিভি প্রিমিয়ার হলেও কারো কাছ থেকে ছবিটি নিয়ে কোনো আলোচনাও শোনা যায়নি। এখন তিনি অনুদানের ‘ছায়াবৃক্ষ’ নামে একটি ছবিতে কাজ করছেন। তিনি সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ভালো গল্প পাচ্ছি না বলেই কাজ করা হয়ে উঠছে না। অভিনয়ে বিরতি ভাঙার পর এখন পর্যন্ত অনেক ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। তার বেশিরভাগ ছবির গল্প পড়ে হতাশ হয়েছি। ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে এসে সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কোনো কাজ করতে চাই না।’ তিনি ক্যারিয়ারের বর্তমান পর্যায়ে এসে তার উপলব্ধির কথাও বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভালো ছবির জন্যই দর্শক হলে যাবেন, এটাই সত্যি। টাকা খরচ করে হলে গিয়ে নষ্ট করার মতো সময় এখন কারো নেই। মানুষের হাতে মোবাইল ফোন, যেখানে বিনোদনের অভাব নেই। এমন একটা সময়ে যে কোনো ধরনের ছবি বানিয়ে দর্শক হলে টানা যাবে না।’ সমস্যা এখানেই। চলচ্চিত্রে শুধু মহামারির কারণে খরা চলছে না। ভালো নির্মাতা, বৈশিষ্টমণ্ডিত চিত্রনাট্য, গল্পের নতুনত্ব এবং দর্শক মনোরঞ্জনের উপকরণহীন ছবি দেখতে দর্শক কেন সিনেমা হলে যাবে। এছাড়া সংকট দেখা দিয়েছে ভালো শিল্পীরও। সবাই নায়িকা, সবাই নায়ক – এই হলো চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত যে পারফর্মারেরই বক্তব্য। সংশ্লিষ্টরা এসব কথা অহংকার করেই বলেন। এই বিষয়ে আলোকপাত করে একজন নির্মাতা বলেন, নতুনদের আসতেই হবে। তাদেরকে অভিনয় উপযোগী করে তৈরিও করতে হবে। দর্শক পছন্দের মানসম্মত নতুন চিন্তাধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ করা গেলে তারা হাতের মোবাইল থেকে অবশ্যই সিনেমা হলে ফিরে আসবেন। উক্ত নির্মাতা বাজেটের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ২০ লাখ টাকার ছবি দিয়ে নির্মাতারা নিজেদের আনন্দিত করতে পারলেও দর্শককে আনন্দ দিতে পারবেন বলে মনে হয় না। মানসম্মত ভালো ছবি নির্মাণ করতে হলে প্রয়োজনীয় বাজেট লাগবেই।