০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগর উপজেলায় প্রায় ডজনখানেক ব্যক্তি নেই অনুমোদিত ডিগ্রি, তবুও তারা দাঁতের চিকিৎসক!

  • Update Time : ১২:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • ১৩২ Time View

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় প্রায় ডজনখানেক ব্যক্তি অনুমোদিত সনদ ছাড়াই দাঁতের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনুমোদিত চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানের কোনো সনদ না নিয়েই নিজের ইচ্ছামতো নামের আগে বড় বড় ডিগ্রি ব্যবহার করে দাঁতের চিকিৎসালয় খুলে বসেছেন তারা।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) স্বীকৃত সার্জন কিংবা ডিএমটি ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না হয়েও নামের আগে ডাক্তার, ডেন্টিস্ট, ডিডিটি, বিডিএ, ভিডি, ডিটি, এলএমএফসহ নানা চটকদার বিশেষণ লিখে রোগী বাগিয়ে নিতে ব্যস্ত এসব নামধারী চিকিৎসকরা। প্রকাশ্যে চেম্বার খুলে দিনের পর দিন তারা কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও জেলা বা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তেমন কোনো তদারকি চোখে পড়েনি।

 

উপজেলায় দুইজন ডেন্টাল সার্জন এবং দুজন ডেন্টিস্ট ছাড়া জীবননগরে ডিগ্রিধারী দাঁতের কোনো চিকিৎসক বা ডেন্টিস্ট নেই। তবে জীবননগর পৌর শহরের ঢাকা ডেন্টাল, নিরাময় ডেন্টাল হোম, নিউ ডেন্টাল হোম, মা ডেন্টাল হোম, বিল্লাল ডেন্টাল কেয়ারসহ উপজেলার প্রায় ডজনখানেক দাঁতের চিকিৎসালয় বিনা সনদেই চলছে।

Doc-4.jpg

 

সরেজমিন এসব চিকিৎসালয় ঘুরে দেখা যায়, দাঁতের ফিলিং, স্কেলিং, লাইট কিউর, ফিলিং ক্যাপ, দাঁত ওঠানো, দাঁত বাঁধানোর সব কাজই করা হচ্ছে। বিভিন্ন কাজে রোগীদের কাছ থেকে এক হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। তবে এসব ডাক্তারের কেউই অনুমোদিত ডিগ্রিধারী নন। এছাড়া ডাক্তারি সনদপত্রও দেখাতে পারেননি তারা।

জীবননগরের ঢাকা ডেন্টালে রফিকুল আলম নামে এক ব্যক্তি ঢাকা থেকে ভিডি ডিগ্রি নিয়ে দন্ত চিকিৎসক পরিচয়ে প্রাকটিস করছেন। তার কাছে ভিডি ডিগ্রিটা কী এবং এই ডিগ্রি নিয়ে চেম্বার খুলে প্রাকটিস করা যায় কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, আগে থেকে প্রাকটিস করছি। আর এভাবেই চলছে, আমাদের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।

 

উপজেলার নিরাময় ডেন্টাল হোমের পরিচালক হাবিবুর রহমান নামের আগে ডাক্তার লাগিয়ে চেম্বার খুলে বসেছেন। এ বিষয়ে কোনো অনুমতি আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজেকে একজন দন্ত চিকিৎসক দাবি করে বলেন, আমরা গ্রাম্য ডাক্তার। ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে তারপর চেম্বার খুলেছি।

Doc-4.jpg

নিউ ডেন্টাল হোমে গ্যারান্টি সহকারে দাঁত তোলা, ফুল সেট দাঁত বাঁধানোসহ অন্য রোগের চিকিৎসা করেন আব্দুল জব্বার। তিনিও নামের আগে ডাক্তার বসিয়ে চেম্বার খুলেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি রাজি হননি।

মা ডেন্টাল হোমে গেলে প্রতিষ্ঠানের মালিক মতিয়ার রহমান নিজেকে ডেন্টিস্ট দাবি করে বলেন, আমি শুধু পরিচিত মানুষদের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। ডিগ্রি না থাকলে পরিচিত বা অপরিচিত যে কাউকেই চিকিৎসা দেওয়া অপরাধ, এমন প্রশ্নের তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

এছাড়া জীবননগর শহরের বিল্লাল ডেন্টাল কেয়ারসহ উপজেলার গ্রাম্য বাজারগুলোতে নাম না থাকা বেশ কয়েকটি দন্ত চিকিৎসালয় খুলে বসা ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করে তাদের প্রয়োজনীয় ডিগ্রি ও চেম্বার খোলার অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে, তারা অপারগতা প্রকাশ করেছেন এবং কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল সার্জন কবিতা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবননগরে ডেন্টাল সার্জন বা ডেন্টাল টেকনোলজি ডিগ্রিধারী নেই বললেই চলে। আর যারা বিডিএসের বাইরে তার হলেন কোয়াক বা হাতুড়ে। আমরা এ বিষয়ে সর্তক আছি। প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Doc-4.jpg

জীবননগর পৌর শহরের আদর্শ ডেন্টাল হোমে প্রাকটিস করেন ডেন্টাল সার্জন ডা. জান্নাতুল নাহিদ মিতু। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবননগরে কেবল দুইজন বিডিএস এবং দুইজন ডিএমটি ডিগ্রিধারী আছেন। এর বাইরে আর যারা চেম্বার পরিচালনা করছেন, আমার জানামতে তারা সবাই ডিগ্রিধারী নন। আইনত তারা চেম্বার খুলে প্রাকটিস করতে পারেন না। জেলা বা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তদারকি বাড়ালে এগুলো ধরা পড়বে।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হাসান বলেন, বিডিএস ও এমবিবিএস ছাড়া কেউ নামের আগে চিকিৎসক বা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। কেউ যদি ডিগ্রি না নিয়েই নামের আগে চিকিৎসক শব্দ ব্যবহার করেন এবং অবৈধভাবে চেম্বার খুলে প্রাকটিস করে থাকেন আমরা ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেব। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগে মনিটরিং আছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, চিকিৎসা পেশার মতো একটি সুরক্ষিত পেশায় জড়িয়ে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে যারা খেলছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আমি সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলবো।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন ছাড়া কেউ নামের আগে বা পরে ডাক্তার বা উচ্চতর ডিগ্রি বিষয়ে কোনোও কিছুই ব্যবহার করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এছাড়া নিবন্ধিত চিকিৎসক বা দন্ত চিকিৎসকদের তাদের সাইনবোর্ডে, প্রেসক্রিপশন প্যাড বা ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদিতে পিজিটি, বিএইচএস, এফসিপিএস (পার্ট-১ ও পার্ট-২ ), এমডি (ইন কোর্স), (পার্ট-১), (পার্ট-২), (থিসিস পর্ব), (শেষ পর্ব), কোর্স কমপ্লিটেড (সিসি), এমএস (ইন কোর্স) ইত্যাদি এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া ফেলোশিপ এবং প্রশিক্ষণ, যেমন এফআরসিপি, এফআরএইচএস, এফআইসিএ, এফআইসিএস, এফএএমএস, এফআইএজিপি ইত্যাদি উল্লেখ না করার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। কারণ, এগুলো বিএমডিসি স্বীকৃত নয়

Tag :
জনপ্রিয়

বাংলাদেশে সহিংস আক্রমণ থেকে বিক্ষোভকারীদের রক্ষার আহ্বান জাতিসংঘের

জীবননগর উপজেলায় প্রায় ডজনখানেক ব্যক্তি নেই অনুমোদিত ডিগ্রি, তবুও তারা দাঁতের চিকিৎসক!

Update Time : ১২:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় প্রায় ডজনখানেক ব্যক্তি অনুমোদিত সনদ ছাড়াই দাঁতের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনুমোদিত চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানের কোনো সনদ না নিয়েই নিজের ইচ্ছামতো নামের আগে বড় বড় ডিগ্রি ব্যবহার করে দাঁতের চিকিৎসালয় খুলে বসেছেন তারা।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) স্বীকৃত সার্জন কিংবা ডিএমটি ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না হয়েও নামের আগে ডাক্তার, ডেন্টিস্ট, ডিডিটি, বিডিএ, ভিডি, ডিটি, এলএমএফসহ নানা চটকদার বিশেষণ লিখে রোগী বাগিয়ে নিতে ব্যস্ত এসব নামধারী চিকিৎসকরা। প্রকাশ্যে চেম্বার খুলে দিনের পর দিন তারা কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও জেলা বা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তেমন কোনো তদারকি চোখে পড়েনি।

 

উপজেলায় দুইজন ডেন্টাল সার্জন এবং দুজন ডেন্টিস্ট ছাড়া জীবননগরে ডিগ্রিধারী দাঁতের কোনো চিকিৎসক বা ডেন্টিস্ট নেই। তবে জীবননগর পৌর শহরের ঢাকা ডেন্টাল, নিরাময় ডেন্টাল হোম, নিউ ডেন্টাল হোম, মা ডেন্টাল হোম, বিল্লাল ডেন্টাল কেয়ারসহ উপজেলার প্রায় ডজনখানেক দাঁতের চিকিৎসালয় বিনা সনদেই চলছে।

Doc-4.jpg

 

সরেজমিন এসব চিকিৎসালয় ঘুরে দেখা যায়, দাঁতের ফিলিং, স্কেলিং, লাইট কিউর, ফিলিং ক্যাপ, দাঁত ওঠানো, দাঁত বাঁধানোর সব কাজই করা হচ্ছে। বিভিন্ন কাজে রোগীদের কাছ থেকে এক হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। তবে এসব ডাক্তারের কেউই অনুমোদিত ডিগ্রিধারী নন। এছাড়া ডাক্তারি সনদপত্রও দেখাতে পারেননি তারা।

জীবননগরের ঢাকা ডেন্টালে রফিকুল আলম নামে এক ব্যক্তি ঢাকা থেকে ভিডি ডিগ্রি নিয়ে দন্ত চিকিৎসক পরিচয়ে প্রাকটিস করছেন। তার কাছে ভিডি ডিগ্রিটা কী এবং এই ডিগ্রি নিয়ে চেম্বার খুলে প্রাকটিস করা যায় কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, আগে থেকে প্রাকটিস করছি। আর এভাবেই চলছে, আমাদের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।

 

উপজেলার নিরাময় ডেন্টাল হোমের পরিচালক হাবিবুর রহমান নামের আগে ডাক্তার লাগিয়ে চেম্বার খুলে বসেছেন। এ বিষয়ে কোনো অনুমতি আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজেকে একজন দন্ত চিকিৎসক দাবি করে বলেন, আমরা গ্রাম্য ডাক্তার। ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে তারপর চেম্বার খুলেছি।

Doc-4.jpg

নিউ ডেন্টাল হোমে গ্যারান্টি সহকারে দাঁত তোলা, ফুল সেট দাঁত বাঁধানোসহ অন্য রোগের চিকিৎসা করেন আব্দুল জব্বার। তিনিও নামের আগে ডাক্তার বসিয়ে চেম্বার খুলেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি রাজি হননি।

মা ডেন্টাল হোমে গেলে প্রতিষ্ঠানের মালিক মতিয়ার রহমান নিজেকে ডেন্টিস্ট দাবি করে বলেন, আমি শুধু পরিচিত মানুষদের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। ডিগ্রি না থাকলে পরিচিত বা অপরিচিত যে কাউকেই চিকিৎসা দেওয়া অপরাধ, এমন প্রশ্নের তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

এছাড়া জীবননগর শহরের বিল্লাল ডেন্টাল কেয়ারসহ উপজেলার গ্রাম্য বাজারগুলোতে নাম না থাকা বেশ কয়েকটি দন্ত চিকিৎসালয় খুলে বসা ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করে তাদের প্রয়োজনীয় ডিগ্রি ও চেম্বার খোলার অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে, তারা অপারগতা প্রকাশ করেছেন এবং কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল সার্জন কবিতা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবননগরে ডেন্টাল সার্জন বা ডেন্টাল টেকনোলজি ডিগ্রিধারী নেই বললেই চলে। আর যারা বিডিএসের বাইরে তার হলেন কোয়াক বা হাতুড়ে। আমরা এ বিষয়ে সর্তক আছি। প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Doc-4.jpg

জীবননগর পৌর শহরের আদর্শ ডেন্টাল হোমে প্রাকটিস করেন ডেন্টাল সার্জন ডা. জান্নাতুল নাহিদ মিতু। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবননগরে কেবল দুইজন বিডিএস এবং দুইজন ডিএমটি ডিগ্রিধারী আছেন। এর বাইরে আর যারা চেম্বার পরিচালনা করছেন, আমার জানামতে তারা সবাই ডিগ্রিধারী নন। আইনত তারা চেম্বার খুলে প্রাকটিস করতে পারেন না। জেলা বা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তদারকি বাড়ালে এগুলো ধরা পড়বে।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হাসান বলেন, বিডিএস ও এমবিবিএস ছাড়া কেউ নামের আগে চিকিৎসক বা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। কেউ যদি ডিগ্রি না নিয়েই নামের আগে চিকিৎসক শব্দ ব্যবহার করেন এবং অবৈধভাবে চেম্বার খুলে প্রাকটিস করে থাকেন আমরা ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেব। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগে মনিটরিং আছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, চিকিৎসা পেশার মতো একটি সুরক্ষিত পেশায় জড়িয়ে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে যারা খেলছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আমি সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলবো।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন ছাড়া কেউ নামের আগে বা পরে ডাক্তার বা উচ্চতর ডিগ্রি বিষয়ে কোনোও কিছুই ব্যবহার করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এছাড়া নিবন্ধিত চিকিৎসক বা দন্ত চিকিৎসকদের তাদের সাইনবোর্ডে, প্রেসক্রিপশন প্যাড বা ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদিতে পিজিটি, বিএইচএস, এফসিপিএস (পার্ট-১ ও পার্ট-২ ), এমডি (ইন কোর্স), (পার্ট-১), (পার্ট-২), (থিসিস পর্ব), (শেষ পর্ব), কোর্স কমপ্লিটেড (সিসি), এমএস (ইন কোর্স) ইত্যাদি এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া ফেলোশিপ এবং প্রশিক্ষণ, যেমন এফআরসিপি, এফআরএইচএস, এফআইসিএ, এফআইসিএস, এফএএমএস, এফআইএজিপি ইত্যাদি উল্লেখ না করার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। কারণ, এগুলো বিএমডিসি স্বীকৃত নয়