বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ অাজ ৪ মে বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধাল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের গোমা দক্ষিণ কৃষ্ণকাঠী গ্রামের রকমান কারালের পুত্র বারেক কড়ালকে বিকেল ৩ টায় গ্রেফতার করেছে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ। তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
প্রতিবেশি মোস্তফা ফকিরের ছেলে নোমান ফকিরের সাথে তার পাশের ঘরের চাচির সাথে গভীর নলকূপ থেকে পানি উত্তোলন কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটিতে হয়। এই সময় তার দুই চাচাতো ভাই বশির ফকির ও সালাম ফকির প্রতিবাদ করতে এলে এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে বারেক কড়ালের নির্দেশে নোমান ফকির ঘর থেকে ধারালো দা নিয়ে এসে বশির ফকির ও সালাম ফকিরের উপর এলোপাথারি কোপ দেয়। বশির ফকিরের মাথার উপরে কোপ পরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ও সালাম ফকিরের বুকের পাজরে কোপ দেয়। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, শাওন ফকির কিশোর গ্যাং লিডার ঢাকা নারায়ণগঞ্জ এলাকায় আগে বসবাস করত সেখানে তার বিশাল ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। মাদকের সাথে রয়েছে যোগসুত্র নিজেও মাদক সেবন করে। এলাকায় একের পর এক অপকর্ম করে বেড়ালেও কিশোর গ্যাং শাওন রয়ে যাচ্ছেন অধরা। শাওনের সেন্টার দাতা গডফাদার বারেক আড়ালে ছত্রছায়ায় শাওন এলাকায় গড়ে তুলেছে সন্ত্রাসের রাজত্ব। কিছুদিন আগে বাড়ির উপরে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া চাচাতো বোনকে নিয়ে ভেগে গিয়ে বিয়েও করেন শাওন। তার এই বাল্যবিবাহের কারণে পারিবারিকভাবে ডিভোর্স দেওয়া হয় ওই চাচাতো বোনকে। একের পর এক তার এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। এলাকাবাসী মনে করেন এই কিশোর গ্যাং শাওনকে আইনের আওতায় আনা না হলে এর চেয়েও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
এ হামলার ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় ৬ জনকে অাসামি করে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। মামলা হওয়ার পর থেকে সন্ত্রাসী শাওন পলাতক রয়েছে। মামলা নং -২১। এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলাউদ্দিন মিলন জানান, অন্য অাসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।