চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সিজার অপারেশনের কয়েক ঘণ্টা পর নুপুর (২৫) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে নবজাতক ছেলে সন্তান সুস্থ রয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কালিদাসপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও রুপালির মেয়ে নুপুরকে আলমডাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সংলগ্ন পপুলার মেডিকেল সেন্টার (প্রাঃ)-এ ভর্তি করা হয়। সকাল ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাজনীন সুলতানা কনা ও চিকিৎসক ডা. আদিল উদ্দিন মোস্তফা আদনান যৌথভাবে সিজার অপারেশন সম্পন্ন করেন।ক্লিনিক সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৪টার দিকে রোগীর রক্তচাপ হঠাৎ কমে যায়। অবস্থার অবনতি হলে নুপুরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়ায় রেফার করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে মৃতদেহ বাবার বাড়ি পাইকপাড়ায় নেওয়া হয়। নুপুরের আগে আরও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। ক্লিনিকের নার্স তাসফিয়া জানান, ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সিজার করা হয়। তবে বিকেলের পর থেকে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এদিকে ঘটনার পর পপুলার মেডিকেল সেন্টারের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল হককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। রিসেপশনের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরাও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রসঙ্গত, এর আগেও একই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয়ভাবে মৌখিকভাবে অপারেশন নিষিদ্ধ থাকলেও নিয়মিতভাবে এখানে সিজারসহ বিভিন্ন অস্ত্রোপচার চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. শারমিন আক্তার বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে এ ঘটনার খবর পেয়েছি। শিগগিরই তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবগত করা হয়েছে।” স্বাস্থ্যসেবার নামে অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা অবহেলায় প্রাণহানির ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
১২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম : :