০৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ভ্যানচালক আলমগীর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩

 

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানাধীন আইন্দিপুরে পেশায় ভ্যানচালক আলমগীর হোসেন আলমের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। ৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ সকালে আইন্দিপুর গ্রামের ছাতিয়ানতলা মাঠের রওশন মাস্টারের বাঁশবাগানের পাশের খালের কচুড়িপানার নিচে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ভিকটিমের মা জহুরা খাতুন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, আর্থিক সংকটে থাকা তিন আসামি ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ২ অক্টোবর রাতে তারা ভালাইপুর থেকে নাইলনের রশি কিনে আলমগীরের পাখিভ্যান ভাড়া নিয়ে বড়গাংণীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এক পর্যায়ে তারা আলমগীরকে হত্যার পর তার মরদেহ খালের কচুড়িপানার নিচে লুকিয়ে রাখে। পরে ভ্যানটি ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম ২০ অক্টোবর সাতক্ষীরার আশাশুনি এবং ১১ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন আসামি মোঃ জিনারুল হক, মোঃ ইমরান ও মোঃ মাসুমকে গ্রেফতার করে। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে পুলিশের এ সফলতায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে ভিকটিমের পরিবার।

 

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ভ্যানচালক আলমগীর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩

Update Time : ০৭:১৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

 

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানাধীন আইন্দিপুরে পেশায় ভ্যানচালক আলমগীর হোসেন আলমের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। ৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ সকালে আইন্দিপুর গ্রামের ছাতিয়ানতলা মাঠের রওশন মাস্টারের বাঁশবাগানের পাশের খালের কচুড়িপানার নিচে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ভিকটিমের মা জহুরা খাতুন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, আর্থিক সংকটে থাকা তিন আসামি ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ২ অক্টোবর রাতে তারা ভালাইপুর থেকে নাইলনের রশি কিনে আলমগীরের পাখিভ্যান ভাড়া নিয়ে বড়গাংণীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এক পর্যায়ে তারা আলমগীরকে হত্যার পর তার মরদেহ খালের কচুড়িপানার নিচে লুকিয়ে রাখে। পরে ভ্যানটি ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম ২০ অক্টোবর সাতক্ষীরার আশাশুনি এবং ১১ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন আসামি মোঃ জিনারুল হক, মোঃ ইমরান ও মোঃ মাসুমকে গ্রেফতার করে। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে পুলিশের এ সফলতায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে ভিকটিমের পরিবার।