০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে আম সংগ্রহ মৌসুম উদ্বোধন

  • Update Time : ১০:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
  • ৩৪০ Time View

 

প্রায় ১৪০ কোটি টাকার আশা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় বাণিজ্যিকভাবে আম সংগ্রহ মৌসুম উদ্বোধন করা হয়েছে।রবিবার (১৪ মে) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের আদর্শ সরকারী মহিলা কলেজ পাড়ায় মহলদার আম্রকাননে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান আঁটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের আম গাছ থেকে আম সংগ্রহ মৌসুম উদ্বোধন করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে মহলদার আম্রকানন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আম সংগ্রহ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা।

অনুষ্ঠানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহীন শাহনেয়াজ রাব্বি, মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কুদ্দুস মহলদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম,সহসভাপতি কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাসসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আম সংগ্রহ মৌসুমের উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আম প্রকৃতির নিয়মেই পাকে। অপরিপক্ক আম পেড়ে বাজারে বিক্রি করে চুয়াডাঙ্গার আমের সুনাম যেনো নষ্ট না হয় সে কারণে আম সংগ্রহের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা অনুসরণ করে আম সংগ্রহ করে বাজারজাত করলে কোন প্রকার সমস্যা থাকবে না। ২২ মে (৮ জ্যৈষ্ঠ) থেকে হিমসাগর, ২৫ মে (১১ জ্যৈষ্ঠ) থেকে ল্যাংড়া, ৫ জুন (২২ জ্যৈষ্ঠ) থেকে আম্রপালি (বারি আম-৩), ২১ জুন (৭ আষাঢ়) থেকে ফজলি এবং ১ জুলাই (১৭ আষাঢ়) থেকে আশ্বিনা বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ অব্যাহত থাকবে। কোন অবস্থাতেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া যাবে না। কেউ যেনো কোনভাবে অপরিপক্ক আম গাছ থেকে পেড়ে বাজারজাত না করতে পরে এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি থাকবে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৭৪০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২৮০ হেক্টর, দামুড়হদা উপজেলায় ৭৯৫ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আমের আবাদ হয়েছে। জেলার জন্য আম সংগ্রহের যে সূচি দেয়া হয়েছে, তার বাইরে কেউ অপরিপক্ক ও অস্বাস্থ্যকর আম বাজারজাত করতে পারবেন না।

তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আম বাজারজাতের ব্যাপারে কোন প্রকার অনিয়ম হলে সেটা আপনারা তুলে ধরলে ওই ব্যবসার্য়ী ও আমবাগান মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সহায়ক হবে। তিনি আরো জানান, এ বছর চুয়াডাঙ্গার আম জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে।

কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে না পড়লে এ মৌসুমে প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে। এখন ৭০ টাকা কেজি দরে আম বাগান থেকে খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। গড়ে ৪০ কেজি দরে বিক্রির হিসাব ধরলে প্রায় ১৪০ কোটি টাকায় আম বিক্রি হবে এ জেলার

Tag :
জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে ১৩ বাইক আটক ও ৩ টি মামলা 

চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে আম সংগ্রহ মৌসুম উদ্বোধন

Update Time : ১০:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

 

প্রায় ১৪০ কোটি টাকার আশা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় বাণিজ্যিকভাবে আম সংগ্রহ মৌসুম উদ্বোধন করা হয়েছে।রবিবার (১৪ মে) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের আদর্শ সরকারী মহিলা কলেজ পাড়ায় মহলদার আম্রকাননে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান আঁটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের আম গাছ থেকে আম সংগ্রহ মৌসুম উদ্বোধন করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে মহলদার আম্রকানন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আম সংগ্রহ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা।

অনুষ্ঠানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহীন শাহনেয়াজ রাব্বি, মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কুদ্দুস মহলদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম,সহসভাপতি কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাসসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আম সংগ্রহ মৌসুমের উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আম প্রকৃতির নিয়মেই পাকে। অপরিপক্ক আম পেড়ে বাজারে বিক্রি করে চুয়াডাঙ্গার আমের সুনাম যেনো নষ্ট না হয় সে কারণে আম সংগ্রহের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা অনুসরণ করে আম সংগ্রহ করে বাজারজাত করলে কোন প্রকার সমস্যা থাকবে না। ২২ মে (৮ জ্যৈষ্ঠ) থেকে হিমসাগর, ২৫ মে (১১ জ্যৈষ্ঠ) থেকে ল্যাংড়া, ৫ জুন (২২ জ্যৈষ্ঠ) থেকে আম্রপালি (বারি আম-৩), ২১ জুন (৭ আষাঢ়) থেকে ফজলি এবং ১ জুলাই (১৭ আষাঢ়) থেকে আশ্বিনা বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ অব্যাহত থাকবে। কোন অবস্থাতেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া যাবে না। কেউ যেনো কোনভাবে অপরিপক্ক আম গাছ থেকে পেড়ে বাজারজাত না করতে পরে এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি থাকবে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৭৪০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২৮০ হেক্টর, দামুড়হদা উপজেলায় ৭৯৫ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আমের আবাদ হয়েছে। জেলার জন্য আম সংগ্রহের যে সূচি দেয়া হয়েছে, তার বাইরে কেউ অপরিপক্ক ও অস্বাস্থ্যকর আম বাজারজাত করতে পারবেন না।

তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আম বাজারজাতের ব্যাপারে কোন প্রকার অনিয়ম হলে সেটা আপনারা তুলে ধরলে ওই ব্যবসার্য়ী ও আমবাগান মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সহায়ক হবে। তিনি আরো জানান, এ বছর চুয়াডাঙ্গার আম জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে।

কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে না পড়লে এ মৌসুমে প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে। এখন ৭০ টাকা কেজি দরে আম বাগান থেকে খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। গড়ে ৪০ কেজি দরে বিক্রির হিসাব ধরলে প্রায় ১৪০ কোটি টাকায় আম বিক্রি হবে এ জেলার