এখন পর্যন্ত এ খবরটি সর্বমোট দেখা হয়েছে 142
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ টিকেট কালোবাজারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাদের আটক করেন সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকার আব্দুল মতিনের স্ত্রী আয়েশা বেগম, একই এলাকার আনিছ মিয়ার ছেলে আরাফাত, জেলা শহরের কাজীপাড়া এলাকার জালাল বেদার ছেলে মো. সালাউদ্দিন ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুর এলাকার অয়ন চন্দ্র দাসের ছেলে বিপ্লব চন্দ্র দাস।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে অনেকদিন ধরে টিকেট কালোবাজারি হয়ে আসছিলো। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসেন অভিযান পরিচালনা করেন।
ইউএনও ও এসিল্যান্ড নিজেদের পরিচয় গোপন করে ছদ্মবেশে টিকেট কাউন্টারের বাইরে অধিক মূল্যে টিকেট কেনার সময় ৪ টিকেট কালোবাজারীকে আটক করেন। আটক ৪ জনের মধ্যে ১ জন রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মী, ১ জন কাউন্টারম্যান ও ১ জন নারী রয়েছে।
আটক ৪ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে প্রতিনিয়ত টিকেট কালোবাজারী করে আসছিলেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আয়েশা বেগম ও আরাফাতকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বিপ্লব চন্দ্র দাস ও মো. সালাউদ্দিনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, অনেক দিন ধরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে টিকেট কালোবাজারী হয়ে আসছিলো। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে দুপুরে রেলস্টেশনে অভিযান পরিচালনা করে ৪ টিকেট কালোবাজারীকে আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ছদ্মবেশে আমি নিজে ৬০ টাকা মূল্যের টিকেট ২০০ টাকা করে ৫টি টিকেট ১ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটক ৪ জনের মধ্যে ২ জনকে ছয় মাসের ও ২ জনকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনকে টিকেট কারোবাজারী মুক্ত করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন
মতামত জানান