০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার ভিমরুল্লার কুখ্যাত মাদক সম্রাট হাফিজুর রহমান ওরফে হ্যাপি বেপরোয়া:পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা

  • Update Time : ০৮:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
  • ৪৬ Time View

স্টাফ রিপোর্টারঃ সরকার যখন মাদকের বিরুদ্ধে সারাদেশে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যহত রেখেছে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জিরোটলারেন্স অভিযান চলছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মাদক বিরোধী অভিযানে চুয়াডাঙ্গা সহ সারাদেশে নিহত হয়েছে অনেক বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীরা। কিন্তুু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভিমরুল্লা নতুন জেলখানা একাধীক মাদক মামলার আসামী কুখ্যাত মাদক সম্রাট মোঃ হাফিজুর রহমান ওরফে হ্যাপি ধরা ছোয়ার বাইরে রমরমা মাদক ব্যবসা করছে এলাকায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  মাদক সম্রাট হ্যাপি চুয়াডাঙ্গা পৌর ভিমরুল্লা নতুন জেলখানা এলাকার আব্দুল ছাক্তীর ওরফে আবন মোল্লার ছেলে। এই মাদক ব্যবসায়ীর নামে রাজবাড়ী জেলা সহ চুয়াডাঙ্গা বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। কুখ্যাত এ মাদক ব্যবসায়ী কে প্রশাসন গ্রেপ্তার না করায় হতাশ এলাকাবাসী।

 

 

জানা গেছে, একাধিক মাদক মামলা ও সন্ত্রাসী মামলার আসামী

কুখ্যাত মাদক সম্রাট হ্যাপি  বর্তমানে জেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তার নিজের সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে করে বিভিন্ন স্থানে ফেনসিডিল, গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রয় করছে প্রকাশ্যে। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ২০- ৩০ মটোরসাইকেল যোগে প্রতিনিয়ত যুবকরা মাদক সেবনের জন্য 

ভিমরুল্লায় দিকে ছুটে আসে মাদক ব্যবসায়ী হ্যাপি কাছে। মাদক ব্যবসায়ী হ্যাপি  তার নিজ বাড়িতে তার ফ্যামিলির সকলে মিলে এই ব্যবসার সাথে জড়িত । তার নিজ বাড়িতে মাদকের স্পর্ট তৈরি করেছে এ মাদক ব্যবসায়ী হ্যাপি । দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত সে।

 

 

 

গোপনসুত্রে জানা যায় , ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাজবাড়ী গোয়ালন্দ ঘাট ডিবি পুলিশ মাদকদ্রব্য সহ আটক করে।  এবং গত ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার দামুডহুদা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হাফিজুর ওরফে হ্যাপি বিরুদ্ধ দুটি মামলা হয়। কিন্তু জামিনে এসে আবার তিনি প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করে।

এলাকাবাসী সুত্রে আরো জানা গেছে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র

করে এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে থাকেন এই কুখ্যাত মাদক

ব্যবসায়ী হ্যাপি । 

 

 

নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেকে জানান, মাদক ব্যবসায়ী হ্যাপিকে মাদক ব্যবসা বন্ধের প্রতিবাদ করলে শুরু হয় তার অত্যাচার এবং সে দা-কুড়াল নিয়ে যায় মানুষকে হত্যা করার জন্য। এলাকাবাসী বলে, বর্তমান হ্যাপি খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। তাদের সাথে কেউ সহজে কথা বলে না। সবাই তাকে ভয় পায়। হ্যাপি মাদক ব্যবসা করে অনেক টাকার মালিক হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে নানাভাবে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।  অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাদক কারবারি হ্যাপি’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে তার কারনে। হাফিজুর রহমান ওরফে হ্যাপি’র বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল

Tag :
জনপ্রিয়

পাইকগাছায় একটি লাউ গাছের এক বোটায় ২০টি লাউ ধরেছে

চুয়াডাঙ্গার ভিমরুল্লার কুখ্যাত মাদক সম্রাট হাফিজুর রহমান ওরফে হ্যাপি বেপরোয়া:পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা

Update Time : ০৮:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ সরকার যখন মাদকের বিরুদ্ধে সারাদেশে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যহত রেখেছে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জিরোটলারেন্স অভিযান চলছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মাদক বিরোধী অভিযানে চুয়াডাঙ্গা সহ সারাদেশে নিহত হয়েছে অনেক বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীরা। কিন্তুু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভিমরুল্লা নতুন জেলখানা একাধীক মাদক মামলার আসামী কুখ্যাত মাদক সম্রাট মোঃ হাফিজুর রহমান ওরফে হ্যাপি ধরা ছোয়ার বাইরে রমরমা মাদক ব্যবসা করছে এলাকায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  মাদক সম্রাট হ্যাপি চুয়াডাঙ্গা পৌর ভিমরুল্লা নতুন জেলখানা এলাকার আব্দুল ছাক্তীর ওরফে আবন মোল্লার ছেলে। এই মাদক ব্যবসায়ীর নামে রাজবাড়ী জেলা সহ চুয়াডাঙ্গা বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। কুখ্যাত এ মাদক ব্যবসায়ী কে প্রশাসন গ্রেপ্তার না করায় হতাশ এলাকাবাসী।

 

 

জানা গেছে, একাধিক মাদক মামলা ও সন্ত্রাসী মামলার আসামী

কুখ্যাত মাদক সম্রাট হ্যাপি  বর্তমানে জেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তার নিজের সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে করে বিভিন্ন স্থানে ফেনসিডিল, গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রয় করছে প্রকাশ্যে। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ২০- ৩০ মটোরসাইকেল যোগে প্রতিনিয়ত যুবকরা মাদক সেবনের জন্য 

ভিমরুল্লায় দিকে ছুটে আসে মাদক ব্যবসায়ী হ্যাপি কাছে। মাদক ব্যবসায়ী হ্যাপি  তার নিজ বাড়িতে তার ফ্যামিলির সকলে মিলে এই ব্যবসার সাথে জড়িত । তার নিজ বাড়িতে মাদকের স্পর্ট তৈরি করেছে এ মাদক ব্যবসায়ী হ্যাপি । দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত সে।

 

 

 

গোপনসুত্রে জানা যায় , ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাজবাড়ী গোয়ালন্দ ঘাট ডিবি পুলিশ মাদকদ্রব্য সহ আটক করে।  এবং গত ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার দামুডহুদা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হাফিজুর ওরফে হ্যাপি বিরুদ্ধ দুটি মামলা হয়। কিন্তু জামিনে এসে আবার তিনি প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করে।

এলাকাবাসী সুত্রে আরো জানা গেছে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র

করে এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে থাকেন এই কুখ্যাত মাদক

ব্যবসায়ী হ্যাপি । 

 

 

নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেকে জানান, মাদক ব্যবসায়ী হ্যাপিকে মাদক ব্যবসা বন্ধের প্রতিবাদ করলে শুরু হয় তার অত্যাচার এবং সে দা-কুড়াল নিয়ে যায় মানুষকে হত্যা করার জন্য। এলাকাবাসী বলে, বর্তমান হ্যাপি খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। তাদের সাথে কেউ সহজে কথা বলে না। সবাই তাকে ভয় পায়। হ্যাপি মাদক ব্যবসা করে অনেক টাকার মালিক হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে নানাভাবে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।  অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাদক কারবারি হ্যাপি’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে তার কারনে। হাফিজুর রহমান ওরফে হ্যাপি’র বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল